পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম কয়টি - পবিত্রতা অর্জনের গুরুত্ব
প্রিয় পাঠক ও পাঠিকা আসসালামু আলাইকুম।পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম কয়টি আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে।আমাদের সকলের পাক পবিত্র থাকা প্রয়োজন তাই জানা প্রয়োজন পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম কয়টি তো চলুন জেনে নেওয়া যাক পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম কয়টি ও কি কি?
পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম কয়টি এবং পবিত্রতা অর্জনের গুরুত্ব সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে তাই যারা এই বিষয়ে জানতে চান তারা আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পযন্ত পড়তে থাকুন।
পেজ সূচিপত্র ঃ পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম কয়টি - পবিত্রতা অর্জনের গুরুত্ব
- পাক পবিত্রতা কাকে বলে
- পবিত্রতা কত প্রকার
- পবিত্রতা অর্জনের গুরুত্ব
- পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম কয়টি
- পবিত্রতা অর্জনের দিক দিয়ে পাক পানি কত প্রকার
- পবিত্রতা সম্পর্কে ঘটনা
- পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম কয়টি - পবিত্রতা অর্জনের গুরুত্বঃ শেষ কথা
পাক পবিত্রতা কাকে বলে
পবিত্রতা কাকে বলে? পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম কয়টি? পানি ও মাটি ব্যবহার করার দ্বারা যা কিছু অর্জিত হয়ে থাকে তাকে পাক পবিত্রতা বলা হয়।তিনটি নিয়মে পাক পবিত্রতা অর্জন করা যায় আর তা হলো- গোসল এর মাধ্যমে, অযুর মাধ্যমে, এবং তায়াম্মুম এর মাধ্যমে। আর আমাদের সবসময় পাক পবিত্র থাকা প্রয়োজন।পবিত্রতা ইমানের অঙ্গ।পানি দ্বরা অযু গোসল করার মাধ্যমে পবিত্র হওয়া যায় আর যদি পানি না পাওয়া যায় তাহলে মাটি দ্বারা তায়াম্মুম এর মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করা যায়। আশা করি বুঝতে পারলেন পাক পবিত্রতা কাকে বলে।এখন চলুন নিচের অংশে জেনে নিন পাক পবিত্রতা কত প্রকার।
পবিত্রতা কত প্রকার
আজকের আর্টিকেলের আলোচ্য বিষয় হলো পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম কয়টি এবং পবিত্রতা অর্জনের গুরুত্ব এই বিষয়ে জানতে পারবেন কিন্তু তার আগে চলুন জানা যাক পবিত্রতা কত প্রকার। ইসলাম একটি সুন্দর ধর্ম আর ইসলাম এর অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হলো পাক পবিত্রতা। অনেকভাবে পবিত্রতা অর্জন করা যায় বা করা উচিত।
আরো পড়ুনঃ রোজা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে গোসলের নিয়ম - রমজানে স্বপ্নদোষ হলে
করণীয়
যেমন শারিরীক পবিত্রতা,মানসিক পবিত্রতা, বিশ্বাস এর পবিত্রতা, কর্ম ক্ষেত্রে পবিত্রতা বা কর্মে পবিত্রতা,ভাষা বা কথা বলার ভিতর পবিত্রতা, দৃষ্টি ভঙ্গির পবিত্রতা, অর্থের পবিত্রতা, পরিবেশের পবিত্রতা, ইত্যাদি এগুলো সব দিক দিয়েই আমাদের পবিত্র থাকতে হবে তাহলেই পবিত্র মুমিন হওয়া যাবে। আশা করি বুঝতে পারলেন পবিত্রতা কত প্রকার এখন চলুন নিচের অংশে জানা যাক পবিত্রতা অর্জনের গুরুত্ব সম্পর্কে।
পবিত্রতা অর্জনের গুরুত্ব
পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ আর পবিত্রতা অর্জনের গুরুত্ব অনেক পবিত্র থাকা এবং আল্লাহর
ইবাদতের মাধ্যমে জান্নাত লাভ করা যাবে। পবিত্রতা অর্জনের গুরত্ব এর কথা বলতে গেলে
আগে আসে সালাত কারণ সালাত কবুল হওয়ার জন্য প্রথম শর্ত হচ্ছে পবিত্রতা। আর
পবিত্রতা অর্জন না করলে সালাত হবে না। আর ইসলামের পরিভাষায় সবদিক দিয়েই
পবিত্রতা অর্জন করতে হবে শারীরিক মানসিক আর্থিক। এবং এ সকল আরও যত বিষয় আছে সব
দিক দিয়েই পাক পবিত্র থাকতে হবে। এইসব দিক দিয়েই পবিত্রতা অর্জনের গুরুত্ব অনেক
বেশি।
পবিত্রতা অর্জনের দুটি মাধ্যম হচ্ছে ওযু এবং গোসল করা। এবং অজু গোসল করার জন্য
যদি পানি না পাওয়া যায় তাহলে মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করার মাধ্যমে পবিত্রতা
অর্জন করা যায়। পবিত্রতা অর্জনের গুরুত্ব হলো সালাত কবুল হওয়ার কারণ অপবিত্র
থাকলে সালাত কবুল হবে না। নাপাক অবস্থায় অপবিত্র অবস্থায় কোনো ইবাদতই হয় না
তাই পবিত্রতা অর্জনের গুরুত্ব অপরিসীম। আশা করি বুঝতে পেরেছেন পবিত্রতা অর্জনের
গুরুত্ব কি কেন পবিত্র থাকতে হবে। এখন চলুন নিচের অংশ জানা যাক পবিত্রতা
অর্জনের মাধ্যম কয়টি।
পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম কয়টি
পাক পবিত্রতা কাকে বলে পবিত্রতা কত প্রকার এবং পবিত্রতা অর্জনের গুরুত্ব সম্পর্কে
ইতোমধ্যে জানতে পেরেছেন কিন্তু অনেকেই জানেন না পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম
কয়টি। আমাদের পবিত্র থাকার জন্য পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম কয়টি তা জানতে হবে তো
চলুন জেনে নেওয়া যাক পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম কয়টি কিভাবে পবিত্র থাকবেন।
আরো পড়ুনঃ বাচ্চাদের পাতলা পায়খানা হলে কি খাবার খেতে হবে
পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম কয়টি পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যমে হলো দুই টি 1. গোসল করা। 2. অজু করা এবং তাইয়াম্মুম করা। আপনি যদি বেশি অপবিত্র হয়ে থাকেন তাহলে অজু বা তায়াম্মুম দিয়ে পবিত্র হওয়া যাবে না। যদি সহবাস বা স্বপ্ন দোষ হয়ে থাকে তাহলে গোসল এর মাধ্যমে পবিত্র হওয়া যাবে। আর যদি ছোট ছোট কারণে অপবিত্র হয়ে যান তাহলে অজু বা তায়াম্মুম করার মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করা যাবে। আশা করি বুঝতে পারলেন পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম কয়টি এবং কিভাবে পবিত্রতা অর্জন করা যায়।
পবিত্রতা অর্জনের দিক দিয়ে পাক পানি কত প্রকার
পবিত্রতা অর্জনের জন্য পানির প্রয়োজন হয় কিন্তু সেই পানি হতে হবে পাক পবিত্র
তাছাড়া সে সেই পানি থেকে পবিত্রতা অর্জন করা যাবে না। পবিত্র হওয়ার জন্য
গোসল এবং অজু করতে হয় তাই সেই গোসল এবং অজুর পানি পাক হতে হবে। টিউবওয়েল
ঝরনা এগুলোতে পাক পানি পাওয়া যায়। চলুন নিচের অংশের জেনে নেওয়া যাক পবিত্রতা
সম্পর্কে ঘটনা।
পবিত্রতা সম্পর্কে ঘটনা
পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ এবং পবিত্রতা অর্জন কারি ব্যক্তিকে আল্লাহ পছন্দ করেন। পবিত্রতা সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একটা ঘটনা বলা হলো। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন কিছু সাহাবী সঙ্গে করে নিয়ে গাধার পিঠে করে কোথাও যাইতেছিল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গাধার পিঠে বসে ছিলেন তখন ওই গাধা একটি কবরের সামনে গিয়ে লাফিয়ে উঠলো তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পড়ে যাওয়ার উপক্রম হলেন।
আরো পড়ুনঃ নবী (সাঃ) কতবার হজ্জ করেছেন?
তখন সাহাবীরা রাসুলুল্লাহ (সা) কে বলছেন আপনার গাধা এমন করে লাফাচ্ছে কেন। তখন
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন এই কবরে আজাব হচ্ছে কিন্তু আযাবের
কারণ কোন বড় বিষয় না কারণ হলো এই ব্যক্তি প্রসাব পায়খানা করার পরে ভালোমতো পাক
পবিত্র না হয়ে নামাজ পড়তো এই কারণে আজাব দেওয়া হচ্ছে। তাহলে বুঝতে
পারলেন পবিত্রতা আমাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম কয়টি - পবিত্রতা অর্জনের গুরুত্বঃ শেষ কথা
প্রিয় বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হলো পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম কয়টি পাক পবিত্রতা কাকে বলে পবিত্রতা কত প্রকার পবিত্রতা অর্জনের গুরুত্ব পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম কয়টি পবিত্রতা সম্পর্কে ঘটনা আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে পবিত্রতা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন তাই আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন এবং এরকম আরও আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েব সাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। ২৩৩৫৭
fasttechit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url