আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স কিভাবে কাজ করে
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ( artificial intelligence in Bengali ) হলো এমন একটি সিস্টেম যেখানে যেকোনো মেশিন বা রোবট গুলোকে আরও উন্নত করার পরিকল্পনা করা হয়। যাতে মেশিন গুলি যেকোনো জিনিস বুঝতে পারে শিখতে পারে এবং তার জন্য বিচার ও দিতে পারে।
AI বা artificial intelligence হলো computer science এর একটি ভাগ। তাহলে জানা যাক আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স কিভাবে কাজ করে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স কিভাবে কাজ করে
- আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি
- আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বলতে কি বুঝায়
- আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর জনক কে
- আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার
- আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর খারাপ দিক
- আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স কিভাবে কাজ করে
- আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স কোন ধরনের ক্যারিয়ার
- আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি ভবিষ্যৎ পৃথিবীকে নিয়ন্ত্রণ করবে
- আমাদের শেষ কথা
আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি
Artificial intelligence এর বাংলা অর্থ হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এখানে কৃত্রিম এর মানে হলো কোনো ব্যাক্তির দ্বারা তৈরি করা আর বুদ্ধিমত্তা মানে হলো ইন্টেলিজেন্স বা ভাবার শক্তি। বিজ্ঞানের একটি অন্যতম শাখা হলো AI computer। এই শাখায় এমন এমন মেশিন তৈরি করা হয় যেগুলো পুরোপুরি মানুষের মত আচরণ করে এবং মানুষের মতো চিন্তা ভাবনা এর ক্ষমতা রাখে। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি তা জানতে থাকুন আমাদের সাথে
যখন কোনো কম্পিউটার কে এমন ভাবে তৈরি করা হয় যাতে সেটি মানুষের বুদ্ধিমত্তা কে বুঝে শুনে কাজ করতে পারে তখন তাকে artificial intelligence বলে। মানে, যখন আমরা কোনো মেশিন এর মধ্যে এমন কোনো প্রোগ্রাম সেট করি যাতে সেই মেশিন মানুষের মতো কাজ করে তাকে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বলে।
আরও পড়ুনঃ ফেসবুক থেকে আয় করার উপায়
আমাদের মানুষদের মধ্যে জে intelligence টা থাকে সেটা আমাদের সাহায্য করে কিছু শুনে কিছু স্পর্শ করে অনুভব করে অপর জনের সাথে কিভাবে ব্যবহার করা উচিত সেটার সিদ্ধান্ত নিতে। কিন্তু কম্পিউটার এর মধ্যে এই ইন্টেলিজন্স টিকে ডেভেলপ করানো হয় যাতে সে মানুষের মতো চিন্তা ভাবনা করার ক্ষমতা রাখতে পারে।
কম্পিউটার সাইন্স এর বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর সামনে AI এর কিছু পরিকল্পনা তুলে ধরেছিল, সেখানে তারা বলেছিলেন যে AI computer এর দ্বারা এমন একটি software তৈরি করা হচ্ছে যাতে সে সেরকম ভেবেই ভাবতে পারে যেমন করে মানুষের মস্তিষ্ক বুঝতে পারে।
AI এর একটি ভাগ হলো মেশিন learning। তাই কম্পিউটার সাইন্স এ AI কে মেশিন learning এর নামেও চেনা যায়। এটা system কে নিজে থেকে অনুভব করে শেখার ক্ষমতা প্রদান করে। আর এই সিস্টেম টি কম্পিউটার কে মানুষের সাহায্য ছাড়াই নিজে থেকে আরও উন্নত হওয়ার ক্ষমতা দিয়ে থাকে।
আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বলতে কি বুঝায়
আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বলতে কি বুঝায় এ প্রশ্নের উত্তর খুজতে জানতে হবে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর অপর নাম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হল মেশিন, বিশেষ করে কম্পিউটার সিস্টেম দ্বারা মানুষের বুদ্ধিমত্তা প্রক্রিয়ার অনুকরণ। এআই-এর নির্দিষ্ট অ্যাপ্লিকেশনগুলির মধ্যে রয়েছে বিশেষজ্ঞ সিস্টেম , প্রাকৃতিক ভাষা প্রক্রিয়াকরণ , বক্তৃতা স্বীকৃতি এবং মেশিন দৃষ্টি।
আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর জনক কে
আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর জনক কে এই নিয়ে অনেকের ই অনেক প্রশ্ন রয়েছে। তাহলে জানা যাক এই বিষয়ে। Artificial intelligence শব্দটি প্রথম বার ব্যবহার করেন জন ম্যাকার্থি। সেই জন্য তাকে ফাদার অফ AI বলা হয়।
আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার
AI এর হাইপ যেমন ত্বরান্বিত হয়েছে, বিক্রেতারা তাদের পণ্য এবং পরিষেবাগুলি কীভাবে ব্যবহার করে তা প্রচার করার জন্য তীব্র ঝাঁকুনি দিচ্ছে। প্রায়শই, তারা যাকে এআই হিসাবে উল্লেখ করে তা কেবল প্রযুক্তির একটি উপাদান, যেমন মেশিন লার্নিং । মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম লেখা এবং প্রশিক্ষণের জন্য এআই-এর জন্য বিশেষ হার্ডওয়্যার এবং সফ্টওয়্যারের ভিত্তি প্রয়োজন।
কোনো একক প্রোগ্রামিং ভাষা এআই-এর সমার্থক নয়, তবে পাইথন, আর, জাভা, সি++ এবং জুলিয়ার বৈশিষ্ট্য রয়েছে এআই বিকাশকারীদের কাছে জনপ্রিয়। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার সম্পর্কে জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।
আরও পড়ুনঃ Chrome এর সুবিধা ও অসুবিধা
সাধারণভাবে, এআই সিস্টেমগুলি প্রচুর পরিমাণে লেবেলযুক্ত প্রশিক্ষণ ডেটা গ্রহণ করে, পারস্পরিক সম্পর্ক এবং নিদর্শনগুলির জন্য ডেটা বিশ্লেষণ করে এবং ভবিষ্যতের অবস্থা সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করতে এই নিদর্শনগুলি ব্যবহার করে কাজ করে। এইভাবে, একটি চ্যাটবট যাকে পাঠ্যের উদাহরণ দেওয়া হয় তা মানুষের সাথে আজীবন আদান-প্রদান করতে শিখতে পারে
বা একটি চিত্র শনাক্তকরণ সরঞ্জাম লক্ষ লক্ষ উদাহরণ পর্যালোচনা করে চিত্রের বস্তুগুলি সনাক্ত করতে এবং বর্ণনা করতে শিখতে পারে। নতুন, দ্রুত উন্নত জেনারেটিভ এ আই কৌশল বাস্তবসম্মত পাঠ্য, ছবি, সঙ্গীত এবং অন্যান্য মিডিয়া তৈরি করতে পারে।
আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর খারাপ দিক
খুব দ্রুত পৃথিবী হাতের মুঠোয় চলে আসছে মানে এই নয় যে তার সব কিছুই শুভকর, তার নেতিবাচক দিকও থাকে। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর খারাপ দিক সম্পর্কে জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।
আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর খারাপ দিক সমুহ নিম্নরুপ
পক্ষপাত
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এআই সিস্টেমগুলো মানুষের পক্ষপাতের উত্তরাধিকারী হতে পারে বা স্থায়ী করতে পারে। এরফলে কিছু নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অন্যায্য ফলাফল এবং বৈষম্য দেখা দেয়।
চাকরির স্থানচ্যুতি
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এআই এর অনেক কাজ স্বয়ংক্রিয় করার সম্ভাবনা রয়েছে, যার ফলে বেকারত্ব এবং অর্থনৈতিক বৈষম্য হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ কোটিপতি হওয়ার ইসলামিক উপায়
গোপনীয়তার উদ্বেগ
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এআই সিস্টেমগুলি বিপুল পরিমাণে ব্যক্তিগত ডেটা সংগ্রহ এবং সংরক্ষণ করতে পারে, যা শোষণ বা অপব্যবহার করা যেতে পারে।
স্বচ্ছতার অভাব
কিছু আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এআই সিস্টেম অস্বচ্ছ হতে পারে, তারা কীভাবে সিদ্ধান্ত নেয় বা সিদ্ধান্তে পৌঁছায় তা বোঝা কঠিন করে তোলে।
নির্ভরতা
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এআই-এর উপর অত্যধিক নির্ভরতা মানুষের মধ্যে সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা এবং সিদ্ধান্ত নেয়ার দক্ষতা হারাতে পারে।
নিরাপত্তা ঝুঁকি
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এআই সিস্টেম হ্যাকিংয়ের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, যা সাইবার আক্রমণ এবং ডেটা লঙ্ঘনের কারণ হতে পারে।
নৈতিক দ্বিধা
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এআই জটিল নৈতিক প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারে, যেমন মানুষের মঙ্গলের চেয়ে দক্ষতা বা লাভকে অগ্রাধিকার দেয়া কখনও নৈতিক কিনা।
জবাবদিহিতার অভাব
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এআই সিস্টেমগুলি মানুষের তত্ত্বাবধান ছাড়াই কাজ করতে পারে, তাদের কাজ বা ত্রুটির জন্য তাদের জবাবদিহি করা কঠিন করে তোলে।
আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স কিভাবে কাজ করে
আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স কিভাবে কাজ করে তা জানতে এর প্রকারভেদ জানা জরুরি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণাকে কতগুলো উপশাখায় বিভক্ত করা যায়, যা নির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য যথার্থ। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় এমন প্রোগ্রাম যুক্ত থাকে যা অনলাইন দুনিয়ার যেকোনো তথ্য প্রসেস করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা কর্মী নিয়োগ দিচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে। (আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স কিভাবে কাজ করে তা জানতে আমাদের সাথেই থাকুন)এছাড়াও গুগল, ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউব ইত্যাদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সফল ব্যবহার করছে। আপনি যখন গুগলে কোনো কিছু সার্চ করেন, তখন গুগল আপনার ইন্টারনেটের footprints দেখে আপনার কাংখিত ফলাফল আপনার কাছে প্রদর্শন করে।
আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স কোন ধরনের ক্যারিয়ার
এআই ইঞ্জিনিয়াররা পেশাদার যারা এআই এবং মেশিন লার্নিং কৌশলগুলি ব্যবহার করে অ্যাপ্লিকেশন এবং সিস্টেমগুলি বিকাশ করতে যা সংস্থাগুলিকে আরও দক্ষ হতে সহায়তা করে। এআই ইঞ্জিনিয়ারিং এমন সরঞ্জাম, সিস্টেম এবং প্রক্রিয়াগুলির বিকাশের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে যা এআইকে বাস্তব বিশ্বের সমস্যাগুলিতে প্রয়োগ করতে সক্ষম করে।
চাহিদার শীর্ষে থাকা এআই ক্যারিয়ারের মধ্যে রয়েছে মেশিন লার্নিং ইঞ্জিনিয়ার, ডেটা সায়েন্টিস্ট, এআই রিসার্চ সায়েন্টিস্ট, রোবোটিক্স ইঞ্জিনিয়ার, ইউএক্স ডিজাইনার, এআই এথিসিস্ট এবং বিজনেস ইন্টেলিজেন্স ডেভেলপার। এক দশক আগে, অনেকেই বিশ্বাস করতেন না যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এমন একটি গেম-চেঞ্জার হতে পারে
আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স কোন ধরনের ক্যারিয়ার তা নিম্নরুপ:
- রোবটিক্স ইঞ্জিনিয়ার
- সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার
- কম্পিউটার ভিশন ইঞ্জিনিয়ার
- ডাটা সাইন্টিস্ট
- স্থপতি
- ডাটা এনালিস্ট
- ডেভলপার
আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি ভবিষ্যৎ পৃথিবীকে নিয়ন্ত্রণ করবে
এই উদ্বেগ তৈরি হয়েছে মূলত চ্যাটজিপিটি নামের একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বাজারে আসার পর। ভাষাভিত্তিক এই চ্যাটবট তার তথ্যভাণ্ডার বিশ্লেষণ করে প্রায় সব প্রশ্নেরই জবাব দিতে পারে।
চ্যাটজিপিটি রচনা লিখতে পারে, চাকরির বা ছুটির আবেদন, যেকোনো রিপোর্ট তৈরি করতে পারে, এমনকি গান ও কবিতাও লিখতে পারে। তবে কি আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স ভবিষ্যৎ পৃথিবীকে নিয়ন্ত্রণ করবে? চলুন উত্তর খুজি
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই ক্ষমতা দেখে সারা বিশ্বের প্রযুক্তি বিষয়ক নীতি-নির্ধারক, বিনিয়োগকারী এবং নির্বাহীরা নড়ে চড়ে বসেন। এক হাজারের মতো ব্যক্তি এক খোলা চিঠিতে এই প্রযুক্তির ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, গবেষণায় এখনই রাশ টেনে না ধরলে সমাজ ও মানবজাতি বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়বে।
আমাদের শেষ কথাঃ আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স কিভাবে কাজ করে
দিন দিন পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে, সেই সামান্য গননা কারী যন্ত্র থেকে আজ মানুষের হাতে আছে আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজান্স তথা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। যা আজ মানুষের শক্তি ছাপিয়ে ভবিষ্যৎ পৃথিবীর নিয়ন্ত্রক হতে চলেছে। আবার এর মাধ্যমে অনেকের চাকরি হারাবে কারও আবার ক্যারিয়ার এর দিগন্ত খুলে যাবে।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন -আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স কিভাবে কাজ করে - আমাদের সাথে এতক্ষন থাকার জন্য ধন্যবাদ।
fasttechit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url