কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

ঘুম থেকে ওঠার পর এক মগ কফি না হলে অনেকেরই দিন শুরু হয় না।ঘুম ভাব কাটিয়ে  চনমনে একটা দিন শুরুর কারিগরি যেন কফি!তাইতো কফি পান যাদের অভ্যেস,একটা দিন কফি না হলে যেনো সারাদিন আলস্য ভর করে থাকে। কফি তো আমরা খেয়েই থাকি কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে কী আমরা জানতে চেষ্টা করেছি কখনো? কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা স্বাস্থ্য সচেতন একজন মানুষ হিসেবে জেনে রাখতেই হয়। 

কফি খাওয়ার উপকারিতা এবং উপকারিতা সম্পর্কে জানবো তবে তার আগে কফির বিষয়ে বেসিক কিছু তথ্য জেনে নেই।

পোস্ট সূচিপত্রঃ কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

কফি কি

কফি তো আমাদের কাছে খুব জনপ্রিয় পানীয়, কিন্তু আমরা কী জানি কফি কী জিনিস আসলে? কফি কী এই তথ্য আমাদের অনেকেরই অজানা। আমরা বাজারে যে কফি পাই সেটা কিন্তু আসলে প্রসেসজড।কফি চেরি নামক এক ধরণের ফলের বিজ পুড়িয়ে গুড়ো করে কফি তৈরি করা হয়।বিশ্বের ৭০ টি দেশে এই কফি বীজ পাওয়া যায়।কফিতে ক্যাফেইন নামক এক ধরণের উত্তেজক পদার্থ থাকে।

আড়ও পড়ুনঃ কিসমিসের উপকারিতা ও অপকারিতা

কফি বীজ আবার দু ধরণের হয়, একটি অ্যারাবিকা অপরটি রোবাস্টা। অ্যারাবিকা সাধারণত মিহি,হালকা এবং সুবাসযুক্ত হয়ে থাকে।

আর রোবস্টা বেশ তিতকুটে এবং অতিরিক্ত ক্যাফেইন সমৃদ্ধ হয়ে থাকে। এতো কফি কী সেটা সম্পর্কে জেনে নিলাম। কফি খাওয়ার  উপকারিতা এবং উপকারিতা সম্পর্কে জানতে আরো কিছু বিষয় জেনে রাখা ভালো।

কফির প্রকারভেদ

কফি আমাদের অনেকের নিত্য দিনকার পানীয়,কিন্তু কফির প্রকারভেদ কী আমরা জানি?কফির প্রকারভেদ জানলে আপনার অবাকই লাগবে কারণ বহু রকমের কফির প্রচলন রয়েছে। কফি খাওয়ার উপকারিতা এবং উপকারিতা জানার আগে কত রকম ভাবে আমরা কফি খাই সেটাও জানা থাকা দরকার তো!

এক্সপ্রেসোঃ

কফি পাউডারের সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে ঘন কফির মিশ্রণ তৈরি করা হয়, যা এক্সপ্রেসো নামে পরিচিত। এটি কফি তৈরির মূল উপাদানের একটি। এর স্বাদ অত্যন্ত তেতো।

অ্যামেরিকানোঃ

এক্সপ্রেসোর সঙ্গে গরম পানি মিশিয়ে তৈরি হয় অ্যামেরিকানো। এতে  দুধ বা ক্রিম ব্যবহৃত হয় না। ল্যাটিন আমেরিকায় এর প্রচলন সর্বপ্রথম দেখা যায়। তবে ইতালিতেও এ ধরনের কফির প্রচলন ছিল। এটি বেশ কড়া কিন্তু এর স্বাস্থ্য গুণ  ভালো।

ফ্ল্যাট হোয়াইটঃ

এক্সপ্রেসোর সঙ্গে ভাপ ওঠানো দুধ মিশিয়ে তৈরি হয় ফ্ল্যাট হোয়াইট। সঙ্গে ক্রিমও মেশানো হয়ে থাকে। ১৯৮০-এর দিকে অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম এই কফি প্রস্তুত করা হয়। তবে এর উদ্ভব নিউজিল্যান্ডে প্রথম,এরকম কথাও শোনা যায়।

মাকিয়াটোঃ

এক্সসপ্রেসোর সঙ্গে পানি বা দুধের পরিবর্তে মিল্ক ফোম দিলে তৈরী হবে মাকিয়াটো। এটি বেশ কড়া। বলা যায়, এক্সপ্রেসোর পরে এটিই সব থেকে কড়া কফি।

ল্যাটেঃ

এক্সপ্রেসো, দুধ ও মিল্ক ফোমের মিশ্রণে তৈরি হয় লাটে। একটি কাপে চার ভাগের একভাগ এক্সপ্রেসো, দুই ভাগ দুধ ও একভাগ মিল্ক ফোম এই অনুপাতে লাটে তৈরি করা হয়। দুধের পরিমাণ বেশি থাকায় এটি বেশ হালকা। লাটেতে ফোমের ওপর বিভিন্ন শিল্পকর্ম করে পরিবেশন করা হয়।

ক্যাপাচিনোঃ

ল্যাটের মতো ক্যাপেচিনোতেও এক্সপ্রেসো, দুধ ও মিল্ক ফোম_ এ তিনটি উপকরণ ব্যবহার করা হয়।এটাই ল্যাটের সাথে এর পার্থক্য  ক্যাপেচিনো তৈরি করতে একটি কাপের তিন ভাগ ধরে প্রতিটি উপাদান সমান অনুপাতে ব্যবহার করা হয়।  ক্যাপেচিনোতেও ফোমের ওপর বিভিন্ন ডিজাইন করে পরিবেশন করা হয়। এটিই সর্বাধিক জনপ্রিয় ধরনের কফি।

মকাঃ

এক্সপ্রেসো, দুধ ও মিল্ক ফোমের সঙ্গে  চকলেট সিরাপ যুক্ত হয়ে তৈরী হয়ে যায় মজাদার মকা। অনেকে এটিকে চকলেট কফিও বলে থাকে।  ইয়েমেনের মকা নগরীর নামে এই কফির নামকরণ করা হয়।

এফগ্যাটোঃ

দুধের সঙ্গে ভ্যানিলা আইসক্রিম দিয়ে তার ওপর এক্সপ্রেসো ঢেলে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে এফোগ্যাটো। এটি ডেজার্ট হিসেবেও খাওয়া হয়। ইউরোপে বেশ জনপ্রিয় এফোগ্যাটো। এ তো গেলো প্রচলিত কফির প্রকারভেদ।এ ছাড়াও  আইস কফি, কেরেমেল মাকিয়াটো, কোল্ড ব্রিউ কফি, ফ্রেপে ইত্যাদি বেশ জনপ্রিয় কফি।

বিভিন্ন দেশে নিজেদের বিশেষ উপাদান বা রেসিপি ব্যবহার করেও ভিন্ন স্বাদের কফি তৈরি হয়। টার্কিশ কফি, আইরিশ কফিতে দেশীয় স্বাদ যুক্ত করা হয়। কফির প্রকারভেদ তো জানলাম, এবার তো কফি খাওয়ার উপকারিতা এবং উপকারিতা জেনে নেয়া দরকার।

ব্ল্যাক কফির উপকারিতা ও অপকারিতা

কফির দানার সাথে শুধু পানি মিশিয়ে তৈরী হয় ব্ল্যাক কফি।অনেকে এতে দুধ,চিনিও মেশা তবে সেটাকে আর ওভাবে ব্ল্যাক কফি বলা যায় না।

কফি খাওয়ার উপকারিতা এবং উপকারিতা জানতে এসেছেন অথচ ব্ল্যাক কফির উপকারিতা ও উপকারিতা সম্পর্কে জানবেন না সেটা কী করে হয়?

আড়ও পড়ুনঃ ডার্ক চকলেট খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা

৮ আউন্স বা কফির দোকানে রেগুলার কাপের সমপরিমাণ কফি পান করলে শারীরিক নানা উপকার মিলতে পারে। চলুন জেনে নেই ব্ল্যাক কফির উপকারিতা ও অপকারিতা।

ব্ল্যাক কফিতে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। কয়েকটি গবেষণা বলছে নিয়মিত দুএক কাপ কফি পান করতে পারলে  তা হৃদযন্ত্র সুস্থ  রাখার পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।

ধারণা করা হয় ব্ল্যাক কফিতে এমন উপাদান আছে যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটা স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি বয়স বৃদ্ধির কারণে স্মৃতিলোপ পাওয়ার ঝুঁকি কমায়।

পরিমিত পরিমাণে ব্ল্যাক কফি নিয়মিত খাওয়া হলে যকৃতের ক্যান্সার, ফ্যাটি লিভার, হেপাটাইটিস, অ্যাল্কোহলের কারণে হওয়া ‘লিভার সিরোসিস’ হওয়ার ঝুঁকি কমে। ব্ল্যাক কফি যকৃতের ক্ষতিকারক এনজাইমের মাত্রা কমাতেও সহায়তা করে।

কফি মূত্রবর্ধক। তাই, কফি পান শরীর থেকে ক্ষতিকারক উপাদান ও ব্যাক্টেরিয়া বের করে দিয়ে পাকস্থলী পরিষ্কার করতে ও শরীর সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। 

ব্ল্যাক কফিতে নানা রকমের আন্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় যা শরীর সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এতে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন বি টু, বি থ্রি এবং বি ফাইভ এবং ম্যাঙ্গানিজ। ব্ল্যাক কফি পানের অপকারিতাও যে নেই তা কিন্তু নয়।

অতিরিক্ত কফি পান শরীরের ওপর হরমোনের চাপ বাড়ায়। এতে মানসিক চাপ ও উদ্বেগ বাড়ে। তাই কফি পরিমিত পান করা উচিত।

কফি উচ্চ ক্যাফেইন সমৃদ্ধ। এটা পেটের নানা রকম সমস্যা ও অম্ল, বুক জ্বালাপোড়া করা এমনকি কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

অতিরিক্ত ব্ল্যাক কফি গ্রহণ করা হলে দেহ প্রয়োজনীয় খনিজ যেমন- লৌহ, ক্যালসিয়াম ও জিংক শোষণ করতে বাধা পায়।

অতিরিক্ত কফি খেলে কি হয়

কফি তো কম বেশি আমরা সবাই খাই।কফি খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা জানা আমাদের জন্য জরুরি,অতিরিক্ত কফি খেলে কি হয় শরীরের জন্য সেটা উপকারী নাকি অপকারী সেটা এই তথ্যেই জানা যাবে।

কফিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফেইন। এই ক্যাফেইনের জন্য কফি খেলে পেটে কিছু হরমোন বেরিয়ে আসে। যা পেটে গ্যাস কিংবা অ্যাসিডিটির সমস্যা সৃষ্টি করে। এতে করে পাকস্থলীর নানা জটিলতা দেখা দেয়।

অতিরিক্ত কফি পান হাড় ক্ষয়ের কারণ হতে পারে।এই সমস্যার পেছনেও রয়েছে সেই ক্যাফেইন। এ কারণেই অস্টিওপোরোসিসে আক্রান্ত রোগীদের কফি খাওয়া বারন।

এদিকে কফি যে আমাদের ক্লান্তি কমায় তা তো জানি কিন্তু অতিরিক্ত কফি খেলে কী হয় জানেন?নিয়মিত অতিরিক্ত পরিমাণ কফি পারে শরীর অনেক বেশী ক্লান্তি বোধ করতে পারে একটা সময় গিয়ে। এই বিষয় গুলো কী জানতেন আগে?কফি খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা জানা তাহলে প্রয়োজনীয় কিনা ভাবুন তো!

কফি খেলে কি উপকার হয়

কফি খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে জানতে বসেছি সেখানে তো কফি খেলে কি উপকার হয় সেটা জানাটা বাঞ্চনীয়।কফি খেলে কী উপকার হয় সেটা জেনে নেয়া যাক এবার।

কফি আমাদের শরীরকে চনমনে করে, আমাদের হৃদপিন্ডের গতি বাড়ায় শরীরকে উদ্যমী হতে সাহায্য করে ফলে যেকোনো কাজের আগে কফি পান করলে শরীরে আলাদা শক্তি পাওয়া যায়।

আড়ও পড়ুনঃ মানুষ আইসক্রিম পছন্দ করে কেন

কফি মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করে মানসিক চাপের সময় 200 মিলিগ্রাম ক্যাফেইন শরীরে গেলে মনোযোগ বৃদ্ধি পায় এছাড়াও আলঝেইমা বা স্মৃতিভ্রষ্ট রোগের ক্ষেত্রে বিশেষ উপকারী পদার্থ ক্যাফেইন।

কফি টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে,সেই সাথে ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায় কফি।

বিভিন্ন কারণে লিভার বা যকৃতে অনেক সময় মেদ বৃদ্ধি পায়। যকৃতের মেদ কমাতে কফি কখনো কখনো কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

কফি খেলে কি ঘুম কম হয়

কফি খেলে কি ঘুম কম হয়? কফি খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা এসবের মধ্যে ঘুমের বিষয়টি অবশ্যই আসে,কারণ আমরা অনেকেই এটা নিয়ে দ্বন্দ্বে ভুগি যে কফি খেলে কি ঘুম কম হয় কিনা।

কফি খেলে ঘুম না হওয়ার বিষয়টি সত্য। গবেষণায় দেখা গেছে যারা দিনে তিন কাপের বেশি কফি পান করে তাদের স্বাভাবিক ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে,অর্থাৎ ঘুম কমে যায়। গবেষণা বলছে, কফি পানকারীদের ঘুম স্বাভাবিকের তুলনায় ৭৯ মিনিট কম হয়।

কফি খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতায় কফি খেলে ঘুম কেন হয় না সেটাও জানানো দরকার। কফিতে থাকে ক্যাফেইন যা শরীরকে ক্লান্তিবোধের হরমোন অ্যাডোনোসিনকে আটকে দেয় এবং শরীর উত্তেজনাকারী হরমোন অ্যাড্রেনালিন হরমোন ক্ষরণের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে শরীর নিস্তেজ হয় না,এবং ঘুম কেটে যায়।

কফি খেলে কি ওজন কমে

কফি খেলে কী ওজন কমে,আপনার কী মনে হয়?আমরা প্রায়ই এটা নিয়ে দ্বিধায় পড়ে যাই যে কফি খেলে কি ওজন কমে নাকি বাড়ে! কফি খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা জানতে চাইছি অথচ এটা জানবো না তা কী করে হয়!

কফি শরীরের ওজন কমাতে আসলেই কার্যকরী,তবে সেটা সব ধরণের কফিতে নয় বিশেষ উপায়ে কফি বানিয়ে পান করলে ওজন কমে যাওয়ার সুযোগ তৈরী হয়। অন্যদিকে আবার অতিরিক্ত চিনি মিশ্রিত কফি ওজন বাড়িয়ে দিতেও পার।

দুধ কফি খাওয়ার উপকারিতা 

আমরা দুধ কফি পছন্দ করি,তবে দুধ কফি খাওয়ার উপকারিতা কী আমরা জানি? দুধ কফি খাওয়ার অভ্যাস আমরা অনেক সময় খারাপ মনে করি।কফি খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা জানতে এসে জেনে নিন যে দুধ কফি খাওয়ার উপকারিতাই আসলে বেশি।

দুধ কফি শরীরে অ্যান্টি অনফ্লেমেটরি উপাদান তৈরী করে যা শরীর কে বিভিন্ন ইনফেকশনের হাত থেকে বাঁচায়।

এছাড়াও দুধ কফিতে অ্যান্টি অক্সিডেন্টের পরিমাণ বেশি থাকে যা বিভিন্ন ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ যেমন আর্থ্রাইটিস ধরনের সমস্যা রোধে সহায়তা করে।

কফি খেলে কি ত্বক কালো হয়

কফি খেলে কি ত্বক কালো হয় এমন ভাবনা আমাদের অনেকের মনেই আসে।চলে জেনে নেই কফি খেলে কি ত্বক কালো হয় কিনা।

অতিরিক্ত কফি খেলে ঘুমের সমস্যা দেখা দেয় যে কারণে ত্বক জেল্লাহীন হয়ে পড়ে। এছাড়াও কফিতে থাকা এসিড ত্বকে সেবামের উৎপাদনে হেরফের ঘটায়,ত্বককে অতিরিক্ত তৈলাক্ত করে ফেলে। কফি খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা জানতে এসে এই জরুরি বিষয় টি না জানলে কী চলতো!

পিরিয়ডের সময় কফি খেলে কি হয়

পিরিয়ডের সময় কফি খেলে কি হয় তা আমরা অনেকেই জানি না। কফি খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে জানার অসংখ্য বিষয় রয়েছে তার মধ্যে এটা জানা গুরুত্বপূর্ণ যে পিরিয়ডের সময় কফি খেলে কী হয়।

কফি সরাসরি তেমন কোন প্রভাব ফেলে না তবে কখনও কখনও বেশি প্রস্রাব বা মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে কফিতে থাকা ক্যাফেইন। পিরিয়ডের সময় বেশি কফি পান করলে ডিহাইড্রেশনও হতে পারে। এটি মাসিকের কষ্ট আরও বাড়িয়ে দিতে পারে, যেমন ব্যাথা, খিঁচুনি, অস্বস্তি।

সকালে খালি পেটে কফি খেলে কি হয়

সকালে ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে কফি খান?সকালে খালি পেটে কফি খেলে কী হয় জানেন? সকালে খালি পেটে কফি খেলে কি হয়,এই খালি পেটে কফি খাওয়া কতটা অস্বাস্থ্যকর হতে পারে জানলে অবাক হবেন।কফি খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতায় এসব বিষয় জেনে সকালে খালি পেটে  কফি খাওয়ার আগে আপনি অবশ্যই দু বার ভাব্বেন।

সকালে খালি পেটে কফি পান করলে পেট ফাঁপা, পেটভারের সমস্যা তৈরি হতে পারে। এতে হজম শক্তিও বিঘ্নিত হয়। সমস্যা শুরু হয় হজম নিয়ে।

খালি পেটে কফি খেলে ওভিউলেশন হরমোন ব্যালেন্সে সমস্যা হয়। বলা হচ্ছে, সকালে উঠে খালি পেটে কফি খেলে কর্টিসোল প্রোডাকশন বেড়ে যায়। ফলে তা উস্কানি দেয় স্ট্রেস হরমোনকে।

চা না কফি কোনটি বেশি ক্ষতিকর

চা-কফি দুটোই আমাদের নিত্যদিনের পানীয়। চা না কফি কোনটা বেশি ক্ষতিকর তা আমরা জানি কী?চা না কফি কোনটা বেশি ক্ষতিকর কোনটা খাওয়া ভালো সেটা জেনে রাখা দরকারী।

কফিতে ক্যাফেইনের পরিমাণ অনেক বেশি, ক্যাফেইন শরীরের পক্ষে ভালো হলেও এর অতিরিক্ত পরিমান কিন্তু ক্ষতিকর।

এক কাপ লিকার চায়ে কম-বেশি ১৪-৭০ মিলি গ্রাম ক্যাফেইন থাকে, যেখানে সমপরিমাণ কফিতে ৯৫-২০০ মিলি গ্রাম। তাই কফি এই ক্ষেত্রে চায়ের থেকে ক্ষতিকর।

আমাদের শেষ কথাঃ কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

কফি খেতে আমরা সবাই পছন্দ করি।কফিশপে বসে আড্ডার সাথে এক মগ কফি যেনো অপরিহার্য,কফি শরীরের পক্ষে ভালোও বটে কিন্তু কফি খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা বিষয়ক আজকের আলোচনার পর এটা বুঝতে বাকী থাকে না যে অতিরিক্ত কফি পান শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।একইসাথে সঠিক নিয়মে কফি না খেলে সেটা কিন্তু বিপদও ডেকে আনতে পারে

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

fasttechit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url