কম্পিউটার এর উপকারিতা ও অপকারিতা

(Computer) কম্পিউটার মূলত একটি গননা যন্ত্র। এর মানে এই নয় যে কম্পিউটার এক যোগ এক দুই বা সামান্য কিছু যোগ বিয়োগের কাজ করে থাকে। তাই আক্ষরিক অর্থে গননা যন্ত্র নাম হলেও কম্পিউটার মানব জীবন এর প্রায় সকল সৃজন শীল কাজের মেল বন্ধন ঘটায়, সম্ভব করে তুলেছে অনেক অসম্ভবকে।

তাহলে চলুন জানা যাক কম্পিউটার এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারি। আসলে এই কম্পিউটারের ব্যবহার বর্তমানে অনেক বেশি প্রচলিত

পোস্ট সূচিপত্রঃ কম্পিউটার এর উপকারিতা ও অপকারিতা

কম্পিউটার কি । কম্পিউটার পরিচিতি 

কম্পিউটার পরিচিতি দিতে গিয়ে অতি আড়ম্বর করে বলার কিছু তেমন নেই। কারন কম্পিউটার যন্ত্রটির সাথে সবাই কম বেশি পরিচিত। ছোট দেখতে একটা যন্ত্র, যা নিমেষের মধ্যে মিলিয়ন বা বিলিয়ন আকারের হিসাব করতে পারে, নির্দেশ মত সম্পাদন করতে পারে যেকোনো দুরুহ কাজ। কম্পিউটার পরিচিতি দেয়া আসলে খুব কঠিন কিছু নয়।

আরও পড়ুনঃ ইউটিউব থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়

(Computer) আসলে বর্তমানে বহুল ব্যবহত ও দৈনন্দিন জীবনের অতি গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয়। বর্তমান যুগ তথ্য ও প্রযুক্তি  নির্ভর হওয়ার ফলে দিন দিন এর চাহিদা ক্রমশই বেড়েই যাচ্ছে। সভ্যতার বিকাশ এবং বর্তমানে তার দ্রুত অগ্রগতির মূলে রয়েছে গণিত ও কম্পিউটারের প্রবল প্রভাব। বাংলাদেশে প্রথম কম্পিউটার আসে ১৯৬৪ সালে।

কম্পিউটার কে আবিষ্কার করেন

কম্পিউটার তৈরির প্রথম ধারণা দেন বিজ্ঞানি  চার্লস ব্যাবেজ। ১৮৩৩ সালে  এ্যানালটিক্যাল ইঞ্জিন (Analytical Engine) নামে একটি যান্ত্রিক Computer তৈরীর পরিকল্পনা গ্রহণ করেন এবং ইঞ্জিনের নকশা তৈরী করেন।( কম্পিউটার কে আবিষ্কার করেন এই প্রশ্নের উত্তর এর জন্য যেতে হবে আরও গভীরে।

 তাই থাকুন আমাদের সাথেই) পরবর্তীকালে তাঁর তৈরি নকশা ও কম্পিউটারের ওপর ভিত্তি করেই আজকের আধুনিক কম্পিউটার তৈরি করা হয়। তার এই এ্যানালটিক্যাল ইঞ্জিনের পরিকল্পনায় আধুনিক কম্পিউটারের ধারণা ছিল বলেই চার্লস ব্যাবেজকে কম্পিউটারের জনক বলা হয়।

অন্যদিকে, জন ভন নিউম্যানকে আধুনিক কম্পিউটারের জনক বলা হয়। তিনি একজন হাঙ্গেরীয় বংশোদ্ভুত মার্কিন গণিতবিদ। নিউম্যান কোয়ান্টাম বলবিদ্যায় অপারেটর তত্ত্ব ব্যবহারের অগ্রদূত। তিনি সেটতত্ত্ব, জ্যামিতি, প্রবাহী গতিবিদ্যা, অর্থনীতি, যোগাশ্রয়ী প্রোগ্রামিং, কম্পিউটার বিজ্ঞান, পরিসংখ্যান সহ আরো অনেক ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন। তাই কম্পিউটার আবিষ্কার ও আবিষ্কারকের আদ্যোপান্ত আপনারা জানতে পারলেন আমাদের সাথেই।

কম্পিউটার সিস্টেমের উপাদানগুলো নিম্নরূপ

  1. হার্ডওয়ার
  2. সফটওয়্যার
  3. হিউম্যানওয়্যার
  4. ডেটা

হার্ডওয়্যার

কম্পিউটারের বাহ্যিক আকৃতিসম্পন্ন সকল যন্ত্র, যন্ত্রাংশ ও ডিভাইস সমূহকে হার্ডওয়্যার বলে। কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারকে প্রাথমিকভাবে তিনভাগে ভাগ করা যায়।

ইনপুট যন্ত্রপাতি

  • কি বোর্ড
  • মাউস
  • ডিস্ক
  • স্ক্যানার
  • কার্ড রিডার
  • ডিজিটাল ক্যামেরা ইত্যাদি।

সিস্টেম ইউনিট

  • হার্ড ডিস্ক
  • মাদারবোর্ড
  • এজিপি কার্ড
  • র্যাম ইত্যাদি।

আউটপুট যন্ত্রপাতি

  • মনিটর 
  • প্রিন্টার
  • ডিস্ক
  • স্পিকার
  • প্রোজেক্টর
  • হেডফোন ইত্যাদি।

কম্পিউটার কত প্রকার ও কি কি 

কম্পিউটারের গঠন ও প্রচলন নীতির ভিত্তিতে একে তিন ভাগে ভাগ করা যা য় ।

  1. অ্যানালগ কম্পিউটার
  2. ডিজিটাল কম্পিউটার
  3. হাইব্রিড কম্পিউটার

ককম্পিউটার কত প্রকার ও কি কি তা জানা এখনই শেষ নয়৷ চলুন আরও জানি। আকার, সামর্থ্য, দাম ও ব্যবহারের গুরুত্বের ভিত্তিতে ডিজিটাল কম্পিউটারকে আবার চার ভাগে ভাগ করা যায়।

  1. মাইক্রোকম্পিউটার
  2. মিনি কম্পিউটার
  3. মেইনফ্রেম কম্পিউটার
  4. সুপার কম্পিউটার

মাইক্রো কম্পিউটারগুলোকে ২ ভাগে ভাগ করা যায়।

  • ডেস্কটপ
  • ল্যাপটপ

কম্পিউটার সফটওয়্যার (ইংরেজি: Computer software) বলতে একগুচ্ছ কম্পিউটার প্রোগ্রাম, কর্মপদ্ধতি ও ব্যবহারবিধিকে বোঝায়, যার সাহায্যে কম্পিউটারের দ্বারা  কোনো নির্দিষ্ট প্রকারের কাজ সম্পাদন করা যায় ।

বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যারের মধ্যে রয়েছে ব্যবহারিক সফটওয়্যার, যেমন- অফিস স্যুট অ্যাপলিকেশন, যার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকারের চিঠিপত্র, বিল, হিসাবপত্র, তথ্য ভান্ডার তৈরি করা যায়।

আরও পড়ুনঃ মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো

আবার কম্পিউটারের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকারের সফটওয়্যার চালানো ও সার্বিকভাবে কম্পিউটার পরিচালনার জন্য এক প্রকারের সফটওয়্যার রয়েছে যেগুলোকে বলা হয় অপারেটিং সিস্টেম, যেমন গ্নু/লিনাক্স, ম্যাক ওএস, মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ইত্যাদি। এ ধরনের সফটওয়্যারগুলো কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার ও অন্যান্য সফটওয়্যারের মাঝে সমন্বয় সাধন করে এবং কম্পিউটারের মাধ্যমে সকল প্রকারের কাজ সম্পাদনে সাহায্য করে।

প্রধান প্রকারভেদ

সফটওয়্যার প্রধানত ৩ প্রকারঃ-

  • সিস্টেম সফটওয়্যার
  • প্রোগ্রামিং সফটওয়্যার
  • এপ্লিকেশন সফটওয়্যার

কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য

(কম্পিউটার এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতেও আমাদের সাথেই থাকুন) কম্পিউটারের নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে বিভিন্ন যন্ত্রের মতাে। উল্লেখযােগ্য কয়েকটি বৈশিষ্ট্য নিম্নরুপ-

  1. দ্রুতগতি (High speed)
  2. নির্ভুলতা (Correctness)
  3. সূক্ষ্মতা (Accuracy)
  4. বিশ্বাসযােগ্যতা (Reliability)
  5. ক্লান্তিহীনতা (Dilligence)
  6. স্মৃতিশক্তি( memory)
  7. স্বয়ংক্রিয়তা(Automation)
  8. যুক্তিসংগত সিদ্ধান্ত(Logical Decision)
  9. বহুমুখিতা (Versatility)
  10. অসীম জীবনীশক্তি (Endless Life)
  11. ককম্পিউটার এর বৈশিষ্ট্য সমুহ নিম্নে ব্যাখ্যা করা হল :
  12. দ্রুতগতি(High speed)

বৈদ্যুতিক সিগন্যালের দ্বারা সব কাজ করে তাই কম্পিউটার খুব দ্রুতগতিতে কাজ করতে পারে।কম্পিউটার ব্যাবহার করে এক সেকেন্ডে কয়েক কোটি যােগ করে ফলাফল প্রদান করা যায়।ন্যানােসেকেন্ড,পিকোসেকেন্ড ইত্যাদি হলাে কম্পিউটারে সময়ের একক।

নির্ভুলতা(Correctness)

কম্পিউটার এমন একটি মেশিন যা দিয়ে মানুষের দেয়া সূত্র ও যুক্তির মাধ্যমে কম্পিউটার ফলাফল প্রদান করে।কখনও ভুল করে না কম্পিউটার।শতকরা ১০০ ভাগ কম্পিউটারের নির্ভুলতা।

সূক্ষ্মতা (Accuracy)

কম্পিউটারের স্মৃতিশক্তি অনেক বেশি।তাই অনেক ঘর পর্যন্ত নির্ভুলভাবে গাণিতিক ক্রিয়াকলাপ করতে পারে।এ কারণে কম্পিউটারের সূক্ষ্মতা অনেক বেশি ধরে নেয়া যায়।

বিশ্বাসযােগ্যতা(Reliability)

কম্পিউটার নির্ভুল ও সূক্ষ্মভাবে কাজ করে। কাজ করার জন্য কম্পিউটার মানুষের দেয়া নির্দেশ ব্যবহার করে। কম্পিউটার ভুল করে না কিন্তু মানুষ করে, এটা প্রমাণিত।

ক্লান্তিহীনতা(Dilligence)

কম্পিউটার একটি যন্ত্র।আর এ যন্ত্রের একটি স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ক্লান্তিহীনতা।কম্পিউটার রাত দিন ক্লান্তিহীন,বিরক্তিহীন এবং বিশ্রামহীনভাবে কাজ করতে পারে।

স্মৃতিশক্তি(Memory)

কম্পিউটারের নিজস্ব স্মৃতিশক্তি (Memory) আছে। কম্পিউটারের মেমােরিতে নির্দেশ (প্রােগ্রাম), প্রয়ােজনীয় ডেটা এবং প্রক্রিয়াজাত ফলাফল (ইনফরমেশন) সংরক্ষিত করে রাখা যায়।

স্বয়ংক্রিয়তা(Automation)

কম্পিউটার স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করতে পারে। এ কারণে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে মানুষের পরিবর্তে কম্পিউটারকে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া আরাে অনেক ক্ষেত্রে যেমন, কল-কারখানায়, বিস্ফোরক গবেষণায় কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়।

ব্যবহারের বহুমুখিতা(Versatility)

বহুমুখী কাজে কম্পিউটারকে ব্যবহার করা যায়। কম্পিউটার একটি প্রােগ্রামনির্ভর যন্ত্র।যখন যে প্রোগ্রাম কম্পিউটারে লােড করা থাকে সে প্রােগ্রাম অনুসরণ করে কম্পিউটার কাজ করতে পারে।

অসীম জীবনসীমা(Endcess Life)

প্রােগ্রাম ব্যবহার করে কম্পিউটার চালানাে হয়। গােগ্রামের কোন নির্দিষ্ট জীবনসীমা নেই কিন্তু মানুষের জীবনের যেমন একটি নির্দিষ্ট সময় আছে।বছরের পর বছর সমান যােগ্যতায় একই মানে কাজ করে যেতে পারে মানুষের তৈরি প্রোগ্রাম।প্রােগ্রামের কোন মানের কমতি হয় না দীর্ঘদিন কাজ করার পরও।

কম্পিউটারের ব্যাবহার

কম্পিউটার এর রয়েছে বহুমুখী ব্যবহার। ককম্পিউটার ব্যাবহারের এই বহুমুখীতা একে করে তুলেছে অনন্য। আমাদের জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কম্পিউটার এর ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করা হল:

শিক্ষাক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার

বর্তমানে শিক্ষা ক্ষেত্রে অগ্রগতি আনতে কম্পিউটার এর ভুমিকা অপরিসীম। এখন প্রায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষণযন্ত্র হিসাবে কম্পিউটার ব্যবহৃত হচ্ছে। বিদ্যালয় থেকে স্কুল,কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রয়োজনীয় সকল কাজ 

যেমন – অ্যাডমিট কার্ড,মার্কশীট, বিভিন্ন পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন,ইন্টারনেটের মাধ্যমে (ONLINE TEST) বিভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা এবং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সব কাজে কম্পিউটার ছাড়া এখন কল্পনা করা সম্ভব নয়।

বিজ্ঞান গবেষণায় (Scientific Research)কম্পিউটারের ব্যবহার

গবেষণার কাজে কম্পিউটারের ভুমিকা গুরুত্বপূর্ণ , এখন বিজ্ঞানীরা কম্পিউটার ব্যবহার করে যে কোনো জটিল গণনাকে অতি দ্রুত সম্পন্ন করেন খুব সহজে। বিজ্ঞানের ক্ষেত্র গুরুত্বপূর্ণ রিসার্চ ও ডেটা সঞ্চয় করে রাখতে কম্পিউটার অবদান অনস্বীকার্য।বিজ্ঞান গবেষণার কাজে যে সব কম্পিউটার ব্যবহার করা হয় সেই সকল কম্পিউটার গুলো অনেক উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন হয়ে থাকে।

তথ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় কম্পিউটারের ব্যবহার

বর্তমান সময়ে সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করে বিভিন্ন উপগ্রহ বা স্যাটেলাইট গুলো নিয়ন্ত্রণ করা হয়ে থাকে,যার জন্য আমরা বেতার ও টেলিভিশন প্রোগ্রামগুলো সরাসরি উপভোগ করতে পারি, অন্যদিকে  সহজ  ইন্টারনেট ,ই-মেল,ব্যবহার -এর ফলে  খুব কম সময়ের মধ্যে পৃথিবীর এক প্রান্ত হতে অন্য প্রান্তে খুব দ্রুত তথ্য পাঠানো বা যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে যা কম্পিউটারের সাহায্য ছাড়া কোনোভাবে সম্ভব নয়।

প্রকাশনার কাজে কম্পিউটারের ব্যবহার (Publication Work)

পুরাতন মুদ্রণ পদ্ধতিকে ছেড়ে নতুন করে  আধুনিক যুগে কম্পিউটার এর সাহায্যে ডেস্কটপ পাবলিশিং ( D.T.P) এর ব্যবহার করে খুব সহেজই সংবাদপত্র, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা,বই প্রকাশনার কাজে নতুন যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে।

আরও পড়ুনঃ ইন্সটাগ্রাম থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়

বিনোদন ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার

বর্তমানে বিনোদন জগতে কম্পিউটার গুরুত্ব ভূমিকা পালন করছে, কেননা আজ প্রায় সকল মানুষ  কম্পিউটার ও ল্যাপটপ ব্যাবহার করে  নানান রকমের গান,সিনেমা, নাটক এবং কম্পিউটার বিভিন্ন  গেমস খেলে বিনোদন উপভোগ করে থাকে। এছাড়া অধিক  ক্ষমতা সম্পর্ণ কিছু কম্পিউটারের মাধ্যমে অ্যানিমেশন ও স্পেশাল এফেক্ট-এর ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরণের চলচ্চিত্র নির্মাণ এবং নতুন নতুন  কম্পিউটার গেমস তৈরি করা হয়ে থাকে।

ব্যবসা-বাণিজ্যে (Business) কম্পিউটারের ব্যাবহার

আধুনিক সময়ে কম্পিউটারের ব্যবহার ছাড়া ব্যবসা ও বাণিজ্য করা প্রায় অসম্ভব। বিজ্ঞাপন জগৎ থেকে শুরু করে আধুনিক ব্যাঙ্কিং সিস্টেমে ATM-এর ব্যবহার,সব জায়গায় এখন কম্পিউটারের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। এছাড়া শেয়ার বাজার,রেল ও বিমানের টিকিট বুকিং, অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম প্রভৃতি ক্ষেত্রে হিসাবপত্র রাখার কাজে কম্পিউটার ব্যবহৃত হচ্ছে।

প্রশাসনিক কাজে কম্পিউটার ব্যবহার

বিশ্বের সমস্ত দেশেরই অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রশাসনিক কাজে কম্পিউটার আজ অপরিহার্য্য। বিভিন্ন দেশ তাদের অর্থনৈতিক পরিকাঠামোকে পর্যবেক্ষণ করতে, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও ক্যাবিনেট মন্ত্রীদের মধ্যে ভিডিও কনফারেন্স করতে কম্পিউটারের সাহায্য নিতে হয়।

ডেটা প্রসেসিং (Data Processing)

ডেটা প্রসেসিং-এর অর্থ হল Row Data সঠিক ও অর্থপূর্ণ তথ্যে পরিণত করা, একেই ডেটা প্রসেসিং বলা হয়। বিভিন্ন সরকারি বা বেসরকারি সংস্থা থেকে প্রাপ্ত তথ্য, গবেষণা ও বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষা থেকে প্রাপ্ত তথ্যকে কম্পিউটারের সাহায্যে অর্থপূর্ণ ডেটা বা ইনফরমেশনে পরিণত করে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস গণনা করতে কম্পিউটারের ব্যবহার

বিজ্ঞানীরা যে সমস্ত কৃত্রিম উপগ্রহ বা স্যাটেলাইট মহাকাশে প্রেরণ করে তা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে সুপার কম্পিউটারের মাধ্যমে। সেই সমস্ত সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করে ভূপৃষ্ঠ কৃত্রিম উপগ্রহগুলি নিয়ন্ত্রিত করার পাশাপাশী স্যাটেলাইট থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলি বিশ্লেষণ করে এবং যথেষ্ট নির্ভুলভাবে আবহাওয়ার পূর্বাভাস সম্পর্কে জানা সম্ভব হয়।

খেলাধুলার ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার

বর্তমানে বিভিন্ন খেলার মাঠে কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমন – ক্রিকেট খেলার মাঠে থার্ড আম্পায়ার কম্পিউটারের মাধ্যমে গণনা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। এছাড়া ফুটবল, ক্রিকেট ও অনান্য গেম লাইভ ব্রডকাস্ট করার জন্য অনেক কম্পিউটার ব্যবহার করা হবে।

ডিজাইন ও শিল্প উৎপাদন ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার

বর্তমানে বিভিন্ন ধরণের ডিজাইন মূলক কাজ করা হয়ে থাকে কম্পিউটারের ব্যবহার করে যাকে CAD অর্থাৎ কম্পিউটার এইডেড ডিজাইন বলা হয়। এছাড়া বিভিন্ন ধরণের ম্যানুফ্যাক্টরিং কারখানায় যে সমস্ত পণ্য বা প্রোডাক্ট উৎপাদন করা হয় তার নকশা বানানো হয়ে থাকে যাকে CAM বা কম্পিউটার এইডেড ম্যানুফ্যাকচারিং।

এছাড়া বর্তমানে কম্পিউটার এর সাহায্যে থ্রিডি প্রিন্টিং এর আবির্ভাব ঘটেছে যা এই পদ্ধতি শিল্প-সামগ্রী উৎপাদন খুব কম সময়ে বেশি পরিমানে পণ্য বা প্রোডাক্ট উৎপাদন বিশেষ ভাবে সাহায্য করে।

আমাদের শেষ কথাঃ কম্পিউটার এর উপকারিতা ও অপকারিতা

আমাদের শেষ কথা এই যে কম্পিউটার এক দিকে যেমন উপকারী তেমনি এর মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার স্বাস্থ্যের প্রতি হুমকি স্বরুপ।আবার এর নেতিবাচক ব্যবহার সমাজের প্রতিও হুমকি স্বরুপ । তাই থাকতে হবে সতর্ক। কম্পিউটার এমন ভাবে ব্যবহার করতে হবে যেন কম্পিউটার এর উপকারিতা ও অপকারিতা মিশে গিয়ে পুরো প্রচেষ্টা ব্যর্থ না হয়ে যায়।

আশা রাখি বুঝতে পেরেছেন কম্পিউটার কি এর প্রকার ভেদ কি কি, এর বৈশিষ্ট্য আর ব্যবহার এর উপকারীতা অপকারিতা কি৷ এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

fasttechit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url