তুলসী পাতার উপকারিতা

তুলসী গাছ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে কমবেশি থেকে থাকে এটি একটি ঔষধি গাছ হিসেবে পরিচিত। তুলসী গাছের পাতা অনেক কাজে লেগে থাকে। আজকে আমরা জানবো তুলসী পাতার উপকারিতা নিয়ে। অনেকে আছেন যারা ঠান্ডায় আক্রান্ত হয়েছেন ঠান্ডা কাশিতে ভুগছেন তারা অনেক সময় তুলসীপাতা ব্যবহার করে থাকেন।

তুলসী পাতা দিয়ে বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসেবে কাজ করতে পারেন তেমনি রূপচর্চাতেও তুলসী পাতার জুড়ি নেই। তুলসী পাতার উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত জানতে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ তুলসী পাতার উপকারিতা

তুলসী পাতার ব্যবহার

তুলসী পাতার ব্যবহার সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের জানতে হবে তুলসী পাতার উপকারিতা সম্পর্কে। তবে জানা যায় কচি পাতার ব্যবহার কিভাবে করতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ সুদ কি? - সুদ সম্পর্কে ইসলামের বিধান

তুলসী পাতায় থাকে ভিটামিন সি এবং জিংক এছাড়াও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে। এন্টি ফাঙ্গাস এবং অ্যান্টিভাইরাস বৈশিষ্ট্য। তুলসী পাতা অনেক ঔষধি গুণসম্পন্ন। তুলসী পাতার চা আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আমরা আজকে আলোচনা করব তুলসী পাতার উপকারিতা।

তুলসী পাতার উপকারিতা

তুলসী পাতার উপকারিতা অপরিসীম। আপনি যদি তুলসী পাতার উপকারিতা সম্পর্কে সম্পূর্ণ জেনে থাকেন বা বিস্তারিত জেনে থাকেন তাহলে আপনি অনেক কিছুই জেনে গেছেন তুলসী পাতায় কিভাবে উপকার করতে পারে।

তুলসী পাতার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি আপনি যদি প্রতিদিন নিয়মিত তুলসী পাতা দিয়ে চা করে খেতে পারেন সেক্ষেত্রে দেখবেন আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তুলসী পাতায় থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং জিংক।

তুলসী পাতায় এছাড়াও থাকে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টি ফাঙ্গাস এর গুনাবলী যার কারণে এটি খাওয়ার পরে ভালো ফলাফল পেতে পারেন। তবে জানা যায় তুলসী পাতার উপকারিতা কি

পেটের ব্যথায়ঃ

পেটের সমস্যার জন্য তুলসীপাতা মহৌষধ হিসেবে কাজ করে আপনার যদি পেটে ব্যথা হয় বা গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে আপনি তুলসী পাতা সেবন করতে পারেন এতে করে অনেক ভাল ফলাফল পাবেন। ২০ মিলি পানির মধ্যে তুলসী পাতা দিয়ে গরম করতে থাকুন এবং গরম পড়ে ১০ মিলি করে ফেলুন তারপরে পানি টি সেবন করুন ফলাফল আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন।

হার্টের সমস্যায়ঃ

হার্টের সমস্যা প্রতিরোধে তুলসী পাতার ব্যবহার এর জুড়ি নেই। কেননা হার্টের রোগ জন্ম দেয় হাইপার টেনশন উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেষ্টরলের। আর তুলসী পাতার দ্বারা জমাট বাধা দূর করা যায় এবং হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করা যায়।

রক্তের সুগার কমাতেঃ

তুলসী পাতার উপকারিতা মধ্যে অন্যতম হলো তুলসীপাতা রক্তের সুগার কমাতে সাহায্য করে। রক্তে সুগারের মাত্রা কমাতে তুলসী পাতার ব্যবহার অনেক প্রশংসনীয়। প্রতিদিন খাবার পূর্বে তুলসী পাতা খাওয়ার অভ্যাস করলে শর্করার মাত্রা কমতে থাকে সেই সাথে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতাও বাড়ি ফলে রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়তে পারে না।

কিডনিতে পাথর হতে দেয় নাঃ

তুলসী পাতার উপকারিতা সর্ম্পকে জানতে গেলে আপনি জেনে অবাক হবেন তুলসী পাতা কিডনিতে পাথর হতে দেয় না। আপনি যদি নিয়মিত তুলসী পাতা সেবন করেন তাহলে তুলসী পাতায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান আপনার শরীর থেকে সকল বিষক্রিয়া পদার্থ বের করে দেয়।

আরও পড়ুনঃ বিড়ালের খাবারের দাম - বিড়ালের জন্য ক্ষতিকর খাবার

যার ফলে শরীরের ডিহাইড্রেশন কমে যায় এবং কিডনি সচল থাকতে সহায়তা পায়। এতে করে কিডনির কার্যকারিতা ভালো থাকে এবং কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

চোখের সুরক্ষায়ঃ

তুলসী পাতার উপকারিতা মধ্যে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হল চোখের সুরক্ষায় তুলসী পাতার ব্যবহার এর জুড়ি নেই। তুলসী পাতায় থাকা anti-inflammatory উপাদান চোখের সুরক্ষায় কাজ করে।

বিশেষ করে অঞ্জনি, চুলকানি এই জাতীয় রোগ থেকে চোখকে মুক্তি দেয়। তুলসী পাতার চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি চোখে ছানি পড়া এবং চোখের গ্লুকোমার মত রোগকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।

ত্বকের যত্নেঃ

তুলসী পাতার উপকারিতা এর মধ্যে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ হলো ত্বকের যত্নে তুলসী পাতার ব্যবহার। তুলসী পাতায় থাকা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকে বয়সের ছাপ কমাতে খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তাই অনেকের তুলসী পাতা কে যৌবন ধরে রাখার টনিকও বলে থাকেন।

তুলসী পাতা বেটে মুখে লাগিয়ে রাখলে মুখের ত্বক মসৃণ সুন্দর দেখায়। সেইসাথে পোড়া ক্ষতে নারকেল তেলের সঙ্গে তুলসী পাতা ফুটিয়ে লাগালে সেখানে পোড়া দাগ থাকে না।

ওজন কমাতেঃ

ওজন কমাতে তুলসী পাতার ব্যবহার হয়ে থাকে। তুলসী পাতার উপকারিতা এর মধ্যে ওজন কমাতে পাড়ায় উল্লেখযোগ্য বিষয়। তুলসীপাতা রক্তের সুগারের মাত্রা এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ রাখে যার ফলে ওজন বৃদ্ধি হয় না।

ক্যান্সার প্রতিরোধেঃ

তুলসী পাতার উপকারিতা এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি বলা যেতে পারে এর গুণাগুণ ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।

তুলসী পাতায় রয়েছে রেডিও প্রটেক্টিভ উপাদান যা টিউমারের কোষগুলোকে মেরে ফেলতে সহায়তা করে। এছাড়াও তুলসী পাতায় থাকা ফাইটোকেমিক্যাল যেমন রোসমারিনিক এসিড, মাইরেটিনাল, লিউটিউলিন সেই সাথে এপিজেনিন ক্যানসারের বিরুদ্ধে খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।

অগ্নাশয় টিউমার দেখা দেয় এটি দূর করতেও তুলসী পাতার ব্যবহার অসাধারণ। এছাড়া মেয়েদের ব্রেস্ট ক্যান্সারের প্রতিরোধক হিসেবে তুলসী পাতা বেশ সুনাম রয়েছে। 

এছাড়াও তুলসী পাতায় বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণ পাওয়া গেছে যে এটি বিভিন্ন রক মের রোগের ঔষধ হিসেবে কাজ করে। যেমন এজমা, ব্রংকাইটিস এবং ফুসফুসের সমস্যায় ভালো কাজ করে। জ্বর হলেও তুলসী পাতা ঔষধ হিসেবে কাজ করে।

তুলসী পাতার উপকারিতা সম্পর্কে বলতে গেলে শেষ করা যাবেনা। তবে এটুকু আপনি জেনে রাখতে পারেন তুলসী গাছ বা তুলসী পাতা হল একটি মহৌষধি। সম্ভব হলে নিজ বাড়ির আঙিনায় দুই-একটি তুলসী গাছ লাগিয়ে রাখতে পারেন।

তুলসী পাতার অপকারিতা

তুলসী পাতার অনেক উপকারিতা সম্পর্কে জানলাম তবে তুলসী পাতার উপকারিতা ও কিন্তু কম নেই। শুধু উপকারিত জানলে হবে না সেই জিনিসটার অপকারিতা সম্পর্কে জানতে হবে। তবে দেরি না করে জানেজা তুলসী পাতার অপকারিতা।

গর্ভবতী মহিলাঃ

গর্ভাবস্থায় আপনি যদি তুলসী পাতা সেবন করেন সেক্ষেত্রে আপনার অনেকটা ঝুঁকি থেকে যায়। বিশেষ করে পিরিয়ড হওয়ার বা ডায়রিয়া হওয়ার মতো ঝুঁকি থাকে। তাই গর্ভাবস্থায় তুলসী পাতা সেবন না করা সবচেয়ে উত্তম।

রক্ত পাতলা করেঃ

তুলসী পাতায় রক্ত পাতলা করার জন্য যে উপাদানটি প্রয়োজন সেই উপাদান লক্ষ্য করা যায়। অতিরিক্ত তুলসীপাতা সেবন করলে আপনার রক্ত পাতলা হয়ে যেতে পারে অবশ্যই কি আপনার শরীরের জন্য ভাল নয়।

জ্বালাঃ

শুধু উপকারিতা জেনে আমরা অনেকেই বেশিবেশি তুলসী পাতা সেবন করে থাকে। কিন্তু অতিরিক্ত তুলসী পাতা আপনার পেটের জ্বালা বাড়িয়ে দিতে পারেন কাজী পরিমিত আকারে তুলসী পাতা সেবন করুন।

ডায়াবেটিস রোগীর জন্যঃ

তুলসীপাতা রক্তের সুগারের মাত্রা কমিয়ে দেয় যার ফলে ডায়াবেটিস রোগীর জন্য তুলসী পাতা সেবন করা অনেকটা ঝুঁকির কারণ। সাধারণত ডায়াবেটিসের রোগীরা সুগারের ওষুধ নিয়ে থাকেন সেই সাথে যদি তুলসী পাতা ও সুগার কমাতে কাজ করে আপনি বিপদে পড়তে পারেন।

চুলে তুলসী পাতার উপকারিতা

তুলসী পাতার উপকারিতা এর মধ্যে আরেকটি বিষয় হল চুলে তুলসী পাতার উপকারিতা। আপনি প্রতিদিনের মাথার তেলের সাথে যদি একটু তুলসী পাতা যুক্ত করতে পারেন তাহলে চুলের জন্য অনেক উপকার হবে।

আরও পড়ুনঃ ইন্সটাগ্রাম থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়

বিশেষ করে মাথার খুশকি কিভাবে দূর হবে চুলের উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে চুলের শুষ্কতা দূর হবে অনেকের মাথায় চুলকানি ভাব থাকে পাঠা তেলের সঙ্গে তুলসী পাতা মিশিয়ে নিয়মিত ব্যবহার করলে মাথার চুলকানি দূর হবে। এভাবে চুলে তুলসী পাতার উপকারিতা পেতে পারেন।

রূপচর্চায় তুলসী পাতার উপকারিতা

তুলসী পাতার উপকারিতা এর মধ্যে অনেক বেশি ব্যবহার করা হয় রূপচর্চার জন্য। রূপচর্চায় তুলসী পাতার উপকারিতা অনেক বেশি।

১০ থেকে ১৫ টি তুলসি পাতা বেটে নিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগিয়ে রাখুন এতে করে আপনার মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।

তুলসী পাতার পেস্ট যদি আপনি মুখে নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন তাহলে মুখ থেকে বা স্কিনে বয়সের ছাপ দূর হবে এজন্য অনেকে তুলসী পাতা কে যৌবন ধরে রাখার টনিক বলে থাকে।

হঠাৎ করে অনেকের মুখে পিম্পল বা লাল দাগ হয়ে থাকে দাগ দূর করার জন্য তুলসী পাতা বেটে গোলাপজল নিমপাতা সঙ্গে মুখে লাগিয়ে রাখুন খুব দ্রুত ভাল ফলাফল পাবেন।

অনেকের মুখে পিম্পল ওঠার পর এক ধরনের কালো দাগ থেকে যায় আপনার মুখে যদি এমন দাগ থাকে তাহলে তুলসী পাতা বেটে স্টেশনের সঙ্গে মুখে লাগিয়ে রাখুন। এরকম ১৫ মিনিটের মত রাখলে মুখের দাগ দূর হবেই সেইসঙ্গে আপনার স্কিনের উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে।

অনেকের মুখের ছোপ ছোপ দাগ পড়ে যায় সেই দাগ দূর করার জন্য দশ-বারোটি তুলসীপাতা বেটে নিয়ে এতে গুঁড়া দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন এবং দাগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

মুখে ব্রণ হলে ব্রণ দূর করার জন্য তুলসী পাতার উপকারিতা জেনে এটি ব্যবহার ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য প্রয়োজন ১০ থেকে ১২ টি তুলসী পাতা নিম পাতা এবং গোলাপজল এবং চন্দন গুড়া। নিম পাতা এবং তুলসীপাতা ভালোভাবে ধুয়ে বেটে নিন এরপরে তো গ্রামের সিনেমা সামান্য গোলাপজল মিশিয়ে একটি সুন্দর পেস্ট তৈরি করুন এরপর সপ্তাহে দুইদিন মুখে লাগান অনেক ভাল ফলাফল পাবেন।

ঠান্ডা লাগলে তুলসী পাতার উপকারিতা

তুলসী পাতার উপকারিতা এর মধ্যে ঠান্ডা লাগলে তুলসী পাতার উপকারিতা বেশি বোঝা যায়। সাধারণত ঠান্ডা লাগলে তুলসী পাতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

সর্দি-কাশি পাঠানোর জন্য তুলসী পাতা খুব ভালো কাজ করো। এজন্য তুলসী পাতা, চা পাতা এবং আদা পানিতে ফুটিয়ে তার মধ্যে লেবু ও মধু যুক্ত করে খেলে খুব দ্রুতই ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

তুলসী পাতার চা এর উপকারিতা

তুলসী পাতার চা এর উপকারিতা অপরিসীম। নিয়মিত তুলসী পাতার চা আপনার শরীরে অনেক উপকার আনতে পারে। বিশেষ করে সর্দি কাশি ঠান্ডা লাগলে তুলসী পাতার চা খুব ভালো কাজে দেয়।

নিয়মিত তুলসী পাতার চাপ সেবন করলে আপনার মুখের দুর্গন্ধ দূর হবে ফ্রেশনার হিসেবে কাজ করবে। মুখের ক্ষতিকর জীবাণু ব্যাকটেরিয়া দূর করার জন্য তুলসী পাতার চা এর ভূমিকা অপরিসীম। এটি দাঁত ও মুখের রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখে। তুলসী পাতার উপকারিতা এরমধ্যে এটিও কম নয়।

খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা

খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি। এরমধ্যে যাদের পেটের সমস্যা রয়েছে বিশেষ করে গ্যাস বা এসিডিটি কিংবা হজম জনিত বিভিন্ন সমস্যা তাদের জন্য খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা অপরিসীম।

খালি পেটে তুলসী পাতা খেলে গ্যাসের সমস্যা দূর হবে, দ্রুত মেটাবলিক সিস্টেম মেরামত করতে সহযোগিতা করবে। সেই সাথে পেটের নানাবিধ সমস্যা দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। কাজেই হজম শক্তি বৃদ্ধি ও পেটের বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা আপনি গ্রহণ করতে পারেন। 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

fasttechit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url