বেতের নামাজের ইতিহাস | বেতের নামাজের ফজিলত
পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নামাজ বেতর। বেতর অর্থ বিজোড়। বেতর নামাজ তিন রাকাতবিশিষ্ট হওয়ায় কিংবা এর মাধ্যমে রাতে আদায় করা নামাজগুলোর রাকাতসংখ্যা বিজোড় হয়ে যায় বিধায় একে বেতর বলা হয়। এশার নামাজের পর থেকে সুবহে সাদিকের আগপর্যন্ত বেতর নামাজ পড়ার সময়।
আজকে বেতের নামাজের ইতিহাস এবং বেতের নামাজের ফজিলত জানা দরকার। আজ আমরা বেতের নামাজের ইতিহাস এবং বেতের নামাজের ফজিলত সম্পর্কে জানবো।
পোস্ট সূচিপত্রঃ বেতের নামাজের ইতিহাস | বেতের নামাজের ফজিলত
- বেতের নামাজের ইতিহাস
- বেতের নামাজের ফজিলত
- বেতের নামাজ কয় রাকাত
- বেতের নামাজ কি ওয়াজিব
- বেতের নামাজের নিয়ম
- বেতের নামাজের নিয়ত
- বেতের নামাজের নিয়ত বাংলায়
- বেতের নামাজের সূরা
- আমাদের শেষ কথা
বেতের নামাজের ইতিহাস
বেতের নামাজ পড়েন কিন্তু বেতের নামাজের ইতিহাস জানেন কি? বেতের নামাজের ইতিহাস জেনে নিন আজ। সেই সাথে বেতের নামাজের ফজিলতও জেনে নেবো।
আরও পড়ুনঃ ১০ ই মহররমের ইতিহাস
সাহাবী জাবির বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে লোক আশঙ্কা করে যে, শেষ রাতে উঠতে পারবে না সে যেন প্রথম রাতেই বেতরের সলাত আদায় করে নেয়। আর যে লোক শেষ রাত্রে উঠতে পারবে বলে মনে করে, সে যেন শেষ রাতেই বেতরের সলাত আদায় করে। এজন্য যে, শেষ রাতের সলাতে ফেরেশতাগণ উপস্থিত হন।
বেতের নামাজের ফজিলত
বেতের নামাজের ইতিহাস আমরা জেনেছি,বেতের নামাজের ফজিলত জেনে নেয়া দরকার। বেতের নামাজের ফজিলত জেনে নিন।
আরও পড়ুনঃ ইসলামী অর্থনীতি ও ব্যাংকিং
বেতর নামাজ। ইশার পর থেকে ফজরের আগ পর্যন্ত সময়ে পড়তে হয়। বেতের রাতের নামাজ। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফরজ নামাজের বাইরে সফর কিংবা মুসাফির সর্বাবস্থায় দুইটি নামাজ কখনো ছাড়তেন না। তার একটি হলো রাতের বেতর নামাজ এবং ফজরের সুন্নাত নামাজ।
বেতের নামাজ কয় রাকাত
বেতের নামাজের ইতিহাস বেতের নামাজের ফজিলত জানান সাথে সাথে বেতের নামাজ কয় রাকাত জানেন কি? বেতের নামাজ কয় রাকাত জেনে নেয়া যাক।
আরও পড়ুনঃ মহরম কেন পালন করা হয়
বেতের নামাজ ১,৩ রাকাত হয় কিংবা বাংলাদেশে দেশে দীর্ঘদিন থেকে বেতেরের নামাজ ৩ রাকাত পড়ানো হয়। এই থেকে বেশীর ভাগ মানুষের ধারনা, বেতেরের নামাজ শুধুমাত্র ৩ রাকাত। তবে কুরআন-হাদিসের আলোকে আমাদের ধর্মের সমস্ত জিনিস চিন্তা করা উচিৎ।
বেতের নামাজ কি ওয়াজিব
বেতেরের নামাজের ইতিহাস এবং বেতেরের নামাজের ফজিলত তো জেনেছি আমরা, কিন্তু বেতের নামাজ কি ওয়াজিব কিনা তা কী জানেন? বেতের নামাজ কি ওয়াজিব কিনা জেনে নেয়া যাক।হ্যাভ, বেতরের নামাজ ওয়াজিব
বেতের নামাজের নিয়ম
বেতের নামাজের ইতিহাস এবং বেতের নামাজের ফজিলত জেনেছি কিন্তু বেতের নামাজের নিয়ম কি আপনি জানেন? বেতের নামাজের নিয়ম জেনে নিন
- পবিত্র স্থানে দাড়িয়ে কেবলামুখী হয়ে উপরে উল্লেখিত নিয়মে নিয়ত করা।
- তারপর দুই হাত কানের লতি বরাবর উঠাতে হবে (মেয়েরা কাঁধ বরাবর হাত উঠাবে)। ছেলেরা আল্লাহু আকবার বলে নাভির নিচে বাম হাতের উপর ডান হাত রেখে, ডান হাতের বৃদ্ধা ও কনিষ্ঠা আঙ্গুল দিয়ে বাম হাতের কবজি ধরে নিয়ত বাধবে এবং মেয়েরা বুকের উপর বাম হাতের উপর ডান হাত বিছিয়ে হাত বাধবে। ।
- এরপর ছানা পড়তে হবে।
বেতের নামাজের নিয়ত
বেতের নামাজের ইতিহাস এবং বেতের নামাজের ফজিলত জানলেই কেবল হবে না বেতের নামাজের নিয়ত জেনে নিন আজ।
বেতর নামাজের নিয়ত অন্যান্য নামাজের নিয়তের মতই। বেতের নামাজে নিয়তে ওয়াজিব শব্দটি ব্যবহার করতে হয়। মুখে উচ্চারণ করে বলবেন বা মনে মনে এই নিয়ত করবেন যে, “আমি কেবলামুখী হয়ে তিন রাকাত বিতর এর ওয়াজিব নামাজ আদায় করতেছি ” এতটু বললে আল্লাহু আকবার বলে নিয়ত বাধবেন।
নিয়ত আরবিতে বলা জরুরী নয়। কারণ নিয়ত মানে হলো এরাদা করা বা সংকল্প করা। তাই মুখে উচ্চরণ করে পড়া জরুরী নয়। বিতর নামাজ পড়ার জন্য দাড়িয়েছেন এটাই প্রকৃত নিয়ত।
বেতের নামাজের নিয়ত বাংলায়
বেতের নামাজের ইতিহাস এবং বেতের নামাজের ফজিলত জানার সাথে সাথে বাংলায় বেতের নামাজের নিয়ত জানা দরকার। বেতের নামাজের নিয়ত বাংলায় জানেন কি? বেতের নামাজের নিয়ম বাংলায় জেনে নিন। আমি কেবলামুখী হয়ে আল্লাহর উদ্দেশ্য তিন রাকাত বেতের ওয়াজিব নামাজ আদায় করছি। আল্লাহু আকবার।
বেতের নামাজের সূরা
বেতের নামাজের ইতিহাস এবং বেতের নামাজের ফজিলত তো জেনেছেন বেতের নামাজের সূরা জানেন কি? বেতের নামাজের সূরা জেনে নিন।
আল্লাহুম্মা ইন্না নাস্তাঈনুকা, ওয়া নাস্তাগফিরুকা, ওয়া নু'মিনু বিকা, ওয়া নাতাওয়াক্কালু 'আলাইকা, ওয়া নুছনি 'আলাইকাল খাইর, ওয়া নাশকুরুকা, ওয়ালা নাকফুরুকা, ওয়া নাখলাউ, ওয়া নাতরুকু মাই ইয়াফজুরুকা।
আমাদের শেষ কথাঃ বেতের নামাজের ইতিহাস | বেতের নামাজের ফজিলত
বেতের নামাজের পদ্ধতি নিয়ে মুসলিমদের মাঝে মতভেদ থাকলেও তিন রাকায়াত বেতের সঠিক। তিন রাকআত বেতের নামায পড়া হয়। শেষ রাকাতে সূরাটি সম্পূর্ণ পড়ার পর দোয়া কুনুত পাঠ করে রুকু এবং সেজদা দেওয়া। শেষে সালাম ফিরাবেন।
fasttechit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url