মুহাররম মাসের ইতিহাস - মুহাররম মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত
কুরআনে সূরা তাওবার ৩৬ নং আয়াতে বর্ণিত যে চারটি মাসে যুদ্ধ বিগ্রহ নিষিদ্ধ করা হয়েছে তার মধ্যে মহররম অন্যতম ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এ মাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছেন তিনি বলেছেন রমজানের পরে সর্বোত্তম সালাত হলো তাহাজ্জুতের সালাত পোস্ট সূচিপত্র মুহারর।
মুহাঁররম মাসের এবং এই বিষেশ দিনের ফজিলত সম্পর্কে আমাদের সকলের জানা থাকা প্রয়োজন, তাই চলুন আজকে এই বিষয় নিয়ে জানা যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ মুহাররম মাসের ইতিহাস - মুহাররম মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত
- মুহাররম মাসের ইতিহাস
- মুহাররমের ফজিলত
- মুহাররম মাসের তাৎপর্য
- মুহাররমের রোজার ফজিলত
- মুহাররম মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত
- আমাদের শেষ কথা
মুহাররম মাসের ইতিহাস
মহররম মাসের ইতিহাস মহররম মাসের ফজিলত সম্পর্কে জানতে আমাদের সাথেই থাকুন। শুরুতেই জানবো মহরম মাসের ইতিহাস।
ইসলামিক নববর্ষ আল হিজরি বা আরবি নববর্ষ নামে পরিচিত। মহররমের প্রথম দিনে পালিত হয় কারণ এই পবিত্র মাসেই নবী মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেছিলেন। কিন্তু মাসের দশম দিন যা আশুরা নামে পরিচিত সেদিন কারবালায় নবীর নাতি হোসেন ইবনে আলীর শাহাদাত এর মৃত্যু হয় তার স্মরণে মুসলমানেরা এই দিন শোক প্রকাশ করেন মোহাররম শব্দের অর্থ অনুমতি নেই বা নিষিদ্ধ।
আরও পড়ুনঃ দোয়া কবুলের পরীক্ষিত আমল
তাই এই দিনে মুসলমানদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ এই দিনটি প্রার্থনা আত্ম দর্শনের দিন মহরম হলো চান্দ্র ক্যালেন্ডারের প্রথম মাস। মুহরাম মাসের ইতিহাস এখানেই শেষ নয়। তারপর সাফার আলফানি রজব সাবান রামাদান সাওয়াল জুলকাদা মাস রমজানের পর মহররম কে ইসলামে সবচেয়ে পবিত্র মাস হিসেবে বিবেচনা করা হয় যা নতুন বছরের সূচনা করে। একটি নতুন মাস শুরু হয় যখন পুরনো মাসের ২৯তম দিনে নতুন চাঁদ দেখা যায় যদি এটি দেখা না যায় তবে মাত্র 30 দিনের হয়।
মুহাররমের ফজিলত
মহররম মাসের ইতিহাস, মুহরামের গুরুত্ব ও ফজিলত এ পর্যায় জানব মুহারাম মাসের ফজিলত মহররম মাসের ইতিহাস এবং তুমহারা মাসের ফজিলত জানা শুরু করেছি এখন জানব গ্রামের ফজিলত।
প্রথম আমল এই মাসে বেশি বেশি নফল রোজা রাখতে হয় হাদিসে আছে হাদিসে আছে নবী বলেছেন রমজানের রোজার পরে রোজা সবচেয়ে উত্তম তবে প্রতিসম ও বৃহস্পতিবার ও চান্দ্র মাসের ১৩ ১৪ এবং ১৫ তারিখে রোজা রাখা নবীজির সুন্নত দ্বিতীয় আমল এই মাসে বেশি বেশি তওবা করা উচিত কারণ এই মাসে তওবা কবুল হয় হাদীস শরীফে এরশাদ রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কখন কিভাবে আসল
এক ব্যক্তি নবীজিকে জিজ্ঞেস করলেন আল্লাহর রসূল রমজানের পর আপনি কোন মাসে রোজা রাখার নির্দেশ দেন নবীজি বললেন রমজানের পর আরও কোন মাসে রোজা রাখতে চাও তাহলে মুহাররমের রোজা রাখো এই হাদিসে যে দিনের কথা ইশারা করা হয়েছে মুহাররমের ১০ তারিখ কে তা সম্ভবত আশুরার দিন তবে বান্দার উচিত সব দিন তওবা করা বিশেষ করে প্রতিটি দিনেই তওবা করা আর আশুরার দিন অনেক বেশি তাওবা করা তৃতীয় আমল।
এই মাসের ১০ তারিখে রোজা রাখা মুহাররামের ১০ তারিখকে আশুরা বলা হয় আশুরার দিন রোজা রাখা মুস্তাহাব রসুল বলেন তিনি যখন মক্কা মুকাররমায় ছিলেন আশুরার দিন রোজা এরপর যখন মদিনা মনোয়ারায় গেলেন তখন নিজেও রোজা রাখতেন অন্যদেরও রোজা রাখার নির্দেশ দিতেন। জানলাম মোহারম মাসের ফজিলত।
মুহাররম মাসের তাৎপর্য
মুহাররম মাসের ইতিহাস - মুহাররম মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত জানতে আমাদের সাথেই থাকুন। এখন জানব মোহারম মাসের তাতপর্য।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন মুসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বেশি ঘনিষ্ঠ অগ্রগন্য। এরপর তিনি দাস মহর রম এর সঙ্গে নয় মহররম এগারো মহররম মিলিয়ে যা রাখতে বলেন কারণ সঙ্গে আমাদের সঙে ইহুদিদের যেন সাদৃশ্য না হয়।
দ্বিতীয় হিজরীতে মাসের রোজা ফরজ করা হলে রোজা নফল হয়ে যায় তবে রোজা নফল হওয়ার আশুরার রোজা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ এ মাসের নফল রোজা ও অন্যান্য ইবাদত রমজান মাস ব্যতীত যে কোন মাস অপেক্ষা উত্তম। মুহারম মাসের তাতপর্য এখানেই শেষ নয়।
আরও পড়ুনঃ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়লে কি হয়
মুহাররম মাসের বয়ান ও করণীয় আশুরার দিনে রোজা রাখা তবে এর সাথে বা ১১ তারিখ মিলিয়ে রাখা কারণ নবীজি বলেছেন তোমরা আশুরার দিনে রোজা রাখো তবে এক্ষেত্রে ইহুদিদের থেকে ভিন্নতা যেন অবলম্বন করা হয় তোমরা আশুরার পূর্বে অথবা পরের দিন রোজা রাখবে এই দিনে বেশি বেশি তওবা করা উচিত কারণ নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন মুহাররাম হলো আল্লাহ তাআলার মাস।
এই মাসে এমন একটি দিন আছে যাতে তিনি অতীতে একটি সম্প্রদায়কে ক্ষমা করেছেন ভবিষ্যতেও অন্য সম্প্রদায়কে ক্ষমা করবেন দিনের খাতিরে এই দিন হযরত হোসাইন রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু যে প্রাকটি দীক্ষা প্রদর্শন করেছেন পা থেকে সকল মুসলমানের দিনের জন্য ট্যাগ ও কুরবানী পেশ করার শিক্ষা গ্রহণ করা বর্জনীয়
তাজিজা বানানো অর্থাৎ হযরত হুসাইন রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এর নকল কবর বানানো এটা বস্তুত এক ধরনের ফাসে কি শিরের টি কাজ কারণ মূর্খ লোকেরা হযরত হুসাইন রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এ সমাসীন ধন এই বিশ্বাসে এর পাদদেশে নজর নিয়াজ পেশ করে এর সামনে হাত জোড় করে দাঁড়ায় এর দিকে পিঠ প্রদর্শন করাকে বেয়াদবি মনে করে তাজিজার দর্শনকে জিয়ারত বলে আখ্যা দেয় এবং এতে নানা রকমের পতাকা ও ব্যানার টাঙিয়ে মিছিল করে যা সম্পূর্ণ নাজায়েজ ও হারাম এছাড়াও বহু ও গর্হিতত কাজের সমষ্টি হচ্ছে তআজিজা।
মুহাররমের রোজার ফজিলত
মুহাররম মাসের ইতিহাস - মুহাররম মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত জানার এ পর্যায়ে জানব মুহাররমের রোজার ফজিলত।
হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত এক হাদীসে এসেছে নবীজি ইহুদি ইহুদিদের এমন কতিপয় লোকের পাশ দিয়ে অতিক্রম করেন যারা আশুরা দিনে রোজা রেখেছিল নবীজি তাদের জিজ্ঞাসা করেন এটা কিসের রোজা উত্তরে তারা বলে এদিন আল্লাহ হযরত সাল্লাম ও বনি ইসরাইলকে ডুবে যাওয়া থেকে রক্ষা করেছিলেন এবং ফেরাউনকে দলবল সহ নিমজ্জিত করেছিলেন হযরত নুহ আলাই সাল্লাম এর স্থির হয়েছিল এইজন্যই নুহ আলাই সাল্লাম ও হযরত মুসা আলাই সাল্লাম কৃতজ্ঞতা স্বরূপ রোজা রেখেছিলেন।
তাই আমরাও এই দিনে রোজা রাখি তখন নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন অনুসরণের ব্যাপারে এবং এই দিনে রোজা রাখার ব্যাপারে আমি তোমাদের চেয়ে বেশি হকদার এরপর তিনি নিজে রোজা রাখেন ও সাহাবাদের রোজা রাখতে আদেশ করেন। মুহরম মাসের রোজার ফজিলত এভাবেই মহিমান্বিত ।
মুহাররম মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত
মুহাররম মাসের ইতিহাস - মুহাররম মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত জানতে কেমন লাগছে? আশা করি ভালো, এবার জানব মুহাররম মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত।
জিলহজ গত হয়ে শুরু হতে যাচ্ছে মহররম মাস একটি বছরের বিদায় আর একটি বছরের সূচনা পশ্চিম আকাশে হেসে উঠবে মুহাররামের হেলাল নতুন নতুন চাঁদ আশিকে ডেকে বলবে বিগত দিনের হিসাব মিলাও ফোন করো নতুন বছরের। কর পরকালের সঞ্চয় দিন যায় রাত আসে সপ্তাহ পেরিয়ে মা পরের বছর ফুরিয়ে যায় এভাবে একদিন নিভে যাবে জীবন বাতি মানতো সেই মূল্যবান সময়গুলো যথাযথভাবে কাজে লাগায় প্রাত্যিক জীবনে দিন রাতের যে পরিক্রমা স্বাভাবিক জ্ঞানীরা বলে থাকেন।
এ থেকে শিক্ষা গ্রহণের কুরআনে কারিমে আল্লাহ তা'আলা বিষয়টি বিভিন্নভাবে বোঝাতে চেয়েছেন বলেন নিশ্চয়ই আকাশ ও পৃথিবীর সৃজনে এবং পালাক্রমে রাত দিনের আগমনে বহু নিদর্শন আছে বুদ্ধিমানদের জন্য সূরা আল ইমরান।
আমাদের শেষ কথাঃ মুহাররম মাসের ইতিহাস - মুহাররম মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত
আশা করি মহররম মাসের ইতিহাস মাসের গুরুত্ব ফজিলত সম্পর্কে আপনারা ধারণা পেয়েছেন জীবনকে আমরা শুধু আজ বা কালের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখবো না আমরা আমাদের জীবনকে চিন্তা করব পরকালের ভিত্তিতে মুক্তি খুঁজবো আর আপেক্ষিক সুখ থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখ তবেই জীবনের মুক্তি। সুন্দর জীবন গড়ুন। চলার পথে কিছু জানতে আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।
fasttechit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url