ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে আলোচনা

ঈদ শব্দের অর্থ হলো খুশি হওয়া বা আনন্দ উৎসব করা আর মিলাদুন্নবী অর্থ হলো হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্ম বা আগমনকে বুঝায়। ঈদে মিলাদুন্নবীর অনেক ফজিলত আমাদের মুসলমানদের জন্য।ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে আলোচনা করলে এই দিনটির ফজিলত সম্পর্কে আমরা খুব সহজেই জানতে পারি। এক কথায় ঈদে মিলাদুন্নবী অর্থ হলো আমাদের নবীজি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আগমনে খুশি উদযাপন করাকে বুঝায়। আমাদের বাংলাদেশের সকল মুসলিমরা এই উদযাপনকে ঈদে মিলাদুন্নবী বলে থাকে এবং পশ্চিমারা এই উদযাপনকে নবী দিবস বলে থাকে। 

https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhdYp0ZUYSpI82ijkTJDIjbiNJGB0xaJmRPtsyi2gdXLoC4U4DdTRITNYyLd72GZC6ReRsIqwZHvApRUz3zVm-QfONRwGUDkE1dMBrOWfeTEDzBaRhFMO0mbZYTmG2_ESORSVIVvsbeIxAPYQAlClaE8zp4vXryeJrhEXQ5cYi_umRZ2GyXSYFDIey0NkQ/s956/%E0%A6%88%E0%A6%A6%E0%A7%87%20%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A7%87%20%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%A3%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC.jpg

পোস্ট সূচীপত্রঃএই দিনে ও রাতে অনেক ফজিলত পাওয়া যায়। ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে আলোচনা করে এই দিনটির গুরুত্ব ও ফজিলত আমাদের মুসলমানদের জানা খুবই দরকার।

ঈদে মিলাদুন্নবী কি

আপনি কি জানেন,ঈদে মিলাদুন্নবী কি?ঈদে মিলাদুন্নবী হচ্ছে আমাদের শেষ নবীর জন্মদিন হিসেবে মুসলমানদের মাঝে পালিত একটি উৎসব। সকল মুসলিমদের মাঝে এ দিনটি বেশ উৎসবের সাথে পালন করা হয়ে থাকে। তবে এই দিনটির উৎসব নিয়ে অনেক ইসলামিক চিন্তাবিদদের মাঝে অনেক রকম তর্ক-বিতর্ক হয়ে থাকে। 

বাংলাদেশী মুসলমানরা এই দিনকে ঈদে মিলাদুন্নবী বলে থাকে এবং অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানরা এই দিনকে নবী দিবস বলে থাকে। ঈদে মিলাদুন্নবী এই দিনটিতে রয়েছে অনেক অনেক ফজিলত যা আমাদের মুসলমান জাতির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিন। আরবি ক্যালেন্ডারে তৃতীয় মাস হলো রবিউল আউয়াল মাস, এই মাসের ১২ তারিখে ঈদে মিলাদুন্নবী এই উৎসবটি পালন করা হয়ে থাকে। 

আরও পড়ুনঃ সফর মাসের বিশেষত্ব কি

কুরআন শরীফে বেশ কয়েকটি আয়াত একত্রিত করে বিবেচনা করলে দেখা যায় যে আমাদের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ রহমত। আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি সোমবার রোজা রাখেন কারণ এই দিনে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জন্মগ্রহণ করেন। 

এবং এই দিনেই কুরআন নাযিল হয় হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর। তাই বলা যায় যে, যত বেশি ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে আলোচনা করা হবে ততই এই দিনের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে জানতে পারা যাবে।

ঈদে মিলাদুন্নবী আমল

প্রতিটা ঈদের আমল হচ্ছে তার মর্যাদা অনুসারে। কোরবানি ও রোজার ঈদ হচ্ছে আমাদের মুসলমান জাতির আমলের সাথে অনেক দৃঢ় ভাবে সম্পৃক্ত। এই দুই ঈদে বান্দার থাকে অনেক আমল যা হলো নামাজ। অন্যদিকে আমাদের হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আগমন উপলক্ষে খুশি করার বিষয়টি হচ্ছে শুধু বান্দার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, 

এটি স্বয়ং আল্লাহ তায়ালার সাথে খুবই গভীর ভাবে জড়িত। আল্লাহতায়ালা নামাজ-রোজা পরেন না, হজ্ব-যাকাতও দেন না কিন্তু আমাদের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য দরুদ পাঠ করে থাকেন। পবিত্র কুরআন পাকে বর্ণিত আছে যে, নিশ্চয়ই আল্লাহতায়ালা ও তার ফেরেশতাগণ আমাদের শ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি দরুদ প্রেরণ করবে। 

ঈদে মিলাদুন্নবী আমল এর মধ্যে অন্যতম আমল হলো বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা ও সালাম প্রেরণ করা। তাই খুব সহজেই বলা যায় যে, ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে আলোচনা করলে ঈদে মিলাদুন্নবীর আমল সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জানা যায়।

ঈদে মিলাদুন্নবীতে করণীয়

প্রতি বছর রবিউল আউয়াল এই মাসের ১২ তারিখে আমাদের সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্মদিন উপলক্ষে সারা বিশ্বে এই দিনটি উৎসব হিসেবে পালন করে থাকে মুসলমানেরা। আমাদের বাংলাদেশের মুসলমানেরা এই উৎসবকে ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে বলে থাকে এবং পশ্চিমবঙ্গের মুসলমান মানুষরা এই উৎসবকে নবী দিবস হিসেবে বলে থাকে। 

আপনি কি জানেন,ঈদে মিলাদুন্নবীতে করণীয় কি? ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে আলোচনা করলে আপনি এই ভালো দিনটির মর্যাদা সম্পর্কে অনেক গভীরভাবে জানতে পারবেন। 

আরও পড়ুনঃ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ না পড়লে কি হয়

আরবি ক্যালেন্ডারে তৃতীয় মাসের ১২ই রবিউল আউয়াল এই দিনে আমাদের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জন্মগ্রহণ করেন। ঈদে মিলাদুন্নবীতে করণীয় এর মধ্যে অন্যতম হলো বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা। মহান আল্লাহ তা'আলা নামাজ রোজা করেন না এবং যাকাত দেন না কিন্তু একটি কাজ খুব ভালোভাবে করে থাকেন আর সেটি হল বেশি বেশি দরুদ পাট করেন। তাই বলা যায় যে, ঈদে মিলাদুন্নবীতে করণীয় হলো বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা।

ঈদে মিলাদুন্নবীর দলিল

প্রযুক্তি উন্নতি হওয়ার ফলে যুগে যুগে মানুষ ধর্মীয় স্থান সহ উৎসবের পদ্ধতি সমূহ বিশেষ ভাবে পরিবর্তন হয়েছে। যেমন: মসজিদ ও মাদ্রাসায় বিভিন্ন রকমের ডিজাইন করা, বিভিন্ন রকমের লাইট দিয়ে উজ্জ্বলিত করা, ধর্মীয় অনুষ্ঠান গুলো খুবই সুন্দর ভাবে সাজানো, মসজিদে ইমামতি করা ও আযান দিয়ে বেতন নেয়া, 

মোবাইল ফোনে কুরআন শরীফ পাঠ করা, স্পিকার দিয়ে আযান দেয়া এবং বিভিন্ন প্রকার ধর্মীয় সভা হয়ে থাকে। এই সমস্ত কিছু যুগের পরিবর্তনের ফলে হয়েছে, যা আগে ছিল না। ঈদে মিলাদুন্নবীর দলিল হিসেবে বেশ অনেক কিছু দেখা যায় তার মধ্যে অন্যতম হলো, আমাদের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের জন্মদিনে আল্লাহ তা'আলার শুকরিয়া আদায়ের জন্য রোজা রাখতেন। 

বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সারা বিশ্বের জন্য রহমত স্বরূপ, আমাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটি সব থেকে বড় উপহার। ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে আলোচনা করলে এর বিশেষ বিশেষ গুণগুলি জানা যায় যা আমাদের জীবনকে সুন্দর করে সাজাতে অনেক সহায়তা করে থাকে।

ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে আলোচনা

আরবি ক্যালেন্ডারে তৃতীয় মাসে ১২ই রবিউল আউয়াল এই দিনটিতে ঈদে মিলাদুন্নবী এই উৎসবটি আমাদের মুসলমানেরা খুব ভালোভাবে পালন করে থাকে। শব্দের অর্থ হলো খুশি বা আনন্দ উৎসব করা আর মিলাদুন্নবী অর্থ হলো আমাদের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্ম বা আগমনকে বুঝায়। ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে আলোচনা করলে এই দিনটির ফজিলত সম্পর্কে খুবই ভালোভাবে জানা যায়। 

আরও পড়ুনঃ বেতের নামাজের ফজিলত

১২ই রবিউল আওয়াল এই দিনটিতে আমাদের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহকে খুশি রাখতে রোজা রাখতেন। আমরা জানি বা বিশ্বাস করি যে,আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়। আল্লাহ তায়ালার কোনো শরিক নেই। আল্লাহ তায়ালা নামাজ, রোজা,যাকাত এসব কিছুই করত না কিন্তু একটি কাজ করতো আর সেটা হলো বেশি বেশি দরুদ পড়া। 

সকল ফেরেশতাগণও এই দরুদটি বেশি বেশি পড়ে থাকে। তাই ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে আলোচনার মূল উদ্দেশ্য হলো এই দিনটিতে রোজা রাখা ও বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা।

মুসলমানেরা ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করার কারণ

আপনি কি জানেন,মুসলমানেরা ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করার কারণ কি এবং এই দিনটির ফজিলত কতটুকু? ঈদে মিলাদুন্নবী এই দিনটি মুসলমানদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন এবং এই দিনটিতে অনেক অনেক ফজিলত থাকে কারণ এই দিনে আমাদের সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জন্মগ্রহণ করেন। 

মুসলমানেরা ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করার কারণ হলো ১২ই রবিউল আওয়াল এই দিনে আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জন্মগ্রহণ করেন। আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ১২ই রবিউল আউয়াল এই দিনে রোজা রাখতেন। মহান আল্লাহ তায়ালা এবং তার সকল ফেরেশতাগণ নবীর জন্য দরুদ পড়ে থাকেন। 

১২ ই রবিউল আওয়াল এই দিনটি আমাদের সকল মুসলমান জাতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে আলোচনা করলে খুব সহজেই মুসলমানেরা ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করার কারণ কি, এ সম্পর্কে খুব সহজেই জানা যায়।

ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা কি জায়েজ

ঈদে মিলাদুন্নবী এই দিনটি আমাদের মুসলমান জাতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন । আরবি ক্যালেন্ডারের তৃতীয় মাসে ১২ই রবিউল আউয়াল এই দিনে আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জন্মগ্রহণ করেন। আপনি কি জানেন,ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা কি জায়েজ? 

আমাদের ইসলামের দৃষ্টিতে জন্মদিবস পালন করা ইসলামসম্মত নয়।১২ই রবিউল আউয়াল এই দিনে বেশি বেশি দরুদ পড়া উচিত এবং রোজা রাখা উচিত কারণ এই দিনে মহান আল্লাহ তায়ালা এবং সকল ফেরেশতাগণ বেশি বেশি দরুদ পড়েন। আরবি ক্যালেন্ডারের তৃতীয় মাসে ১২ই রবিউল আউয়াল এই দিনে আমাদের 

শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মদিন হওয়া সত্ত্বেও তিনি রোজা রাখতেন। ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে আলোচনা বেশী বেশী করলে ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা কি জায়েজ এই সম্পর্কে জানা যায় এবং এছাড়াও ১২ই রবিউল আউয়াল এই দিনের গুরুত্ব এবং ফজিলত আমাদের মানব জীবনে অনেক।

আমাদের শেষ কথাঃ ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে আলোচনা

ইসলাম অর্থ শান্তি।আর এই ইসলাম আমাদের মানব জীবনকে খুব সুন্দর করে তোলে। ইসলামের দৃষ্টিতে ১২ ই রবিউল আওয়াল এই দিনটি আমাদের মুসলমানদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। এই দিনে আমাদের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জন্মগ্রহণ করেন এবং এই দিনে তিনি রোজা রাখতেন। মহান আল্লাহ তায়ালা ও আল্লাহর সকল ফেরেশতা গণ এই দিনে বেশি বেশি দরুদ পাঠ করেন। 

বেশি বেশি ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে আলোচনা করলে ইসলামের দৃষ্টিতে ১২ই রবিউল আউয়াল এই দিনটি আমাদের মুসলমানদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা খুব ভালোভাবে বুঝতে পারা যায়। তাই আমাদের শেষ কথা হলো ১২ই রবিউল আউয়াল এই দিনটি সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জানা দরকার এবং এটির ফজিলত সম্পর্কেও জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

fasttechit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url