গর্ভবতী মায়ের আমল ও দোয়া

কোনো নারীর গর্ভে সন্তান আসলে সেই নারীর জন্য অনেক সম্মান ও সৌভাগ্যের বিষয় হয়ে থাকে। গর্ভবতী মায়ের আমল ও দোয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গর্ভবতী মায়ের আমল ও দোয়া বেশি বেশি করা দরকার কারণ কোনো গর্ভবতী মায়ের আমল ও দোয়া সবচাইতে বেশি কার্যকরী হয়ে থাকে। কোনো গর্ভবতী মায়ের আমল ও দোয়া সবচাইতে বেশি কাজে লাগে তার গর্ভের সন্তানের জন্য। গর্ভাবস্থায় কোনো নারী মারা গেলে সেই নারী শহীদি মর্যাদা লাভ করে থাকে। গর্ভবতী নারী যখন সন্তান প্রসব করেন তখন তার দুধের প্রতিটি ফোটার বিনিময়ে একটি করে নেকি দেন। এজন্যই গর্ভবতী মায়ের আমল ও দোয়া এতটা গুরুত্বপূর্ণ ও এতটা ফজিলত। 

https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgDcMUn27ujCV0uz05O4TPIg7eQuMdqwoiMui7VsZVxltHqluQHPscb4-xOJCdtH6-XNzRImY3DJTvd7-q1dMspO-gLxRDb-Zc27zrKU7diAESRq0Tgxg2fIxPShyrvdQDrGeji91tR-DPNE2sDhLePVv-qvXl_msqGl9cSaHYupI6WJKkFJ9zz0a_zcvk/s1366/%E0%A6%97%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AD%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A7%80%20%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%B2%20%E0%A6%93%20%E0%A6%A6%E0%A7%8B%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE.jpg

আমি মনে করি, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে গর্ভবতী মায়ের আমল ও দোয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং প্রতিটা নারীকে গর্ভবতী মায়ের আমল ও দোয়া এই সম্পর্কে বেশি বেশি আলোচনা করে গর্ভবতী মায়ের আমল ও দোয়ার গুরুত্ব ও ফজিলত জেনে নিতে হবে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ গর্ভবতী মায়ের আমল ও দোয়া

ইসলামে গর্ভবতী মায়ের আমল

জীবনে মায়ের কোন তুলনা বা বিকল্প হয় না। এজন্যই বলা হয়েছে মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত। প্রত্যেকটি মা তার সন্তানের জন্য অনেক কষ্ট করে থাকেন, এজন্যই মহান আল্লাহ তার সঙ্গে সদাচরণ করার কথা খুব জোর দিয়ে বলেছেন। ইসলামে গর্ভবতী মায়ের আমল অনেক। গর্ভবতী মায়ের আমল ও দোয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সন্তানের মঙ্গলের জন্য। আপনি কি জানেন, ইসলামে গর্ভবতী মায়ের আমল কি? মাতৃগর্ভে সন্তান আসা নারীর জন্য বোঝা নয় বরং সম্মান ও সৌভাগ্যের বিষয়। কুরআন ও হাদিসে একটি গর্ভবতী মায়ের সম্পূর্ণ পরিপূর্ণ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, সেগুলো অনুসরণ করলে শুধু কষ্ট সহ্য করতে পারবে এমন নয় বরং এটি এর সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চার আত্মিক তারবিয়াতের প্রতিও গুরুত্ব দেয়া সহজতর হবে। 

আরও পড়ুনঃ চুল পড়ার কারণ কি - অতিরিক্ত চুল পড়ার সমাধান

গর্ভাবস্থায় হযরত মারিয়াম আ. এর মায়ের আমল থেকে শিক্ষা নেওয়া যেতে পারে। মারিয়ম আঃ এর জন্মের পূর্বে যখন গর্ভধারিণী মাকে সন্তানের ব্যাপারে সুসংবাদ দেয়া হলো, তখন তিনি মহান আল্লাহর নিকট যে দোয়াটি করেছিলেন সেটি সূরা আলে ইমরানের ৩৫ নাম্বার আয়াতে বিদ্রমান। সু সন্তান বা পরহেজগার সন্তান লাভের জন্য ইসলামে গর্ভবতী মায়ের আমল অনেক গুরুত্বপূর্ণ। দোয়াটি হলো: রাব্বি হাবলি মিনলাদুনকা জুররিয়াতান তাইয়িবাতান ইন্নাকা সামিউদ্দুয়া, অর্থাৎ হে আমার পালনকর্তা!আপনার পক্ষ থেকে আমাকে পবিত্র সন্তান দান করুন নিশ্চয়ই আপনি প্রার্থনা শ্রবণকারী। 

নেক নিয়তে পুত্র সন্তান চেয়েও দোয়া করা যায়, দোয়াটি হলো রাব্বি হাবলি মিনাস সালেহিন। অর্থাৎ হে আমার প্রতিপালক! আপনি আমাকে সৎকর্মশীল পুত্র সন্তান দান করুন।গর্ভাবস্থায় কোনো নারী মারা গেলে সেই নারী শহীদি মর্যাদা লাভ করে থাকে। গর্ভবতী নারী যখন সন্তান প্রসব করেন তখন তার দুধের প্রতিটি ফোটার বিনিময়ে একটি করে নেকি দেন। এজন্যই গর্ভবতী মায়ের আমল ও দোয়া এতটা গুরুত্বপূর্ণ ও এতটা ফজিলত।

গর্ভাবস্থায় বাচ্চা সুরক্ষিত রাখার আমল

আমাদের দৈনন্দিন মানব জীবনে পবিত্র কুরআন শরীফে জীবনের বিভিন্ন অবস্থার সমাধানের জন্য বিভিন্ন ধরনের দোয়া রয়েছে। গর্ভাবস্থায় বাচ্চা সুরক্ষিত রাখার আমল কুরআন ও হাদিসে বিভিন্নভাবে বর্ণিত আছে। গর্ভাবস্থায় বাচ্চা সুরক্ষিত রাখার আমল এর মধ্যে অন্যতম দোয়া হলো: ইয়া আইয়ুহান নাসু ইত্তাকু রাব্বাকুম ইন্না জালজালা তাস সাআতি সাইয়ুন আজিম। হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু বলেন,ওয়া ইন্নি উয়িজুহা বিকা ওয়া যুররইয়াতাহা মিনাশ শায়তনির রাজিম  অর্থাৎ আমি তার এবং তার সন্তান দের জন্য অভিশপ্ত শয়তানের আক্রমণের হাত থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাচ্ছি। 

আরও পড়ুনঃ পেটে গ্যাস হলে করণীয়

রাব্বি হাবলি মিন লাদুনকা যুররইয়াতান তাইয়িবাহ নাকা ইন্নাকা আনতাস সামিউদ দোয়া অর্থাৎ হে আমার রব আপনি আপনার পক্ষ থেকে আমাকে পবিত্র সন্তান দান করুন। রাব্বি হাবলি মিনাস সলিহিন অর্থাৎ হে আমার প্রতিপালক আপনি আমাকে সৎকর্মশীল সন্তান দান করুন। আমাদের ইসলাম ধর্মে অনেক হাদিস রয়েছে। অনেক ধরনের হাদিসে গর্ভের সন্তান সুস্থ রাখার জন্য অনেক ধরনের আমল ও দোয়া আছে। গর্ভের সন্তান সুস্থ রাখার জন্য প্রতিদিন ফরজ ইবাদতের পাশাপাশি নফল ইবাদত করতে হবে। প্রতিদিন ফজরের নামাজের পর এবং রাতে ঘুমানোর পূর্বে ১১ মাস সূরা ইখলাস পাঠ করলে তার সোয়াব ইমাম মাহদী আলাইহিস সালামের প্রতি পেশ করা হবে। 

প্রতিদিন সকালে দরুদ পাঠ করতে হবে। যদি সম্ভব হয় তাহলে প্রতিদিন সুরা ইয়াসিন পাঠ করতে হবে। গর্ভের সন্তানের ক্ষতি না হলে মাঝে মাঝে নফল রোজা রাখার নিয়ম রয়েছে। যেহেতু গর্ভের সন্তান ২০ সপ্তাহের পর থেকে শুনতে পায় তাই বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত করতে হবে,হাদিস পড়তে হবে এবং বিখ্যাত মনীষীদের জীবনী পড়তে হবে। প্রতিনিয়ত সকাল,বিকাল ও সন্ধ্যায় প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি দরুদ পাঠ করতে হবে। বেশি বেশি গরিব মানুষদের দান করতে হবে এবং সকল মানুষের সঙ্গে খুবই ভাল ব্যবহার করতে হবে।গর্ভবতী মায়ের আমল ও দোয়া বেশি বেশি করা দরকার কারণ কোনো গর্ভবতী মায়ের আমল ও দোয়া সবচাইতে বেশি কার্যকরী হয়ে থাকে। কোনো গর্ভবতী মায়ের আমল ও দোয়া সবচাইতে বেশি কাজে লাগে তার গর্ভের সন্তানের জন্য।

গর্ভাবস্থায় কোন দোয়া বেশি পড়তে হয়

আপনি কি জানেন, গর্ভাবস্থায় কোন দোয়া বেশি পড়তে হয়? আসলে গর্ভাবস্থায় বেশি বেশি কুরআন শরীফ ও নিয়মিত নামাজ পড়তে হয়। এই কুরআন শরীফ ও নিয়মিত নামাজ পড়ার পাশাপাশি আরো বেশ কিছু দোয়া আছে যা গর্ভাবস্থায় বেশি বেশি পড়লে গর্ভের সন্তানের জন্য অনেক ভালো হয়। গর্ভাবস্থায় কোন দোয়া বেশি পড়তে হয় এর মধ্যে অন্যতম হলো ইয়া আইয়ুহান নাসু ইত্তাকু রাব্বাকুম ইন্না জালজালা তাস সাআতি সাইয়ুন আজিম। 

হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু বলেন, ওয়া ইন্নি উয়িজুহা বিকা ওয়া যুররইয়াতাহা মিনাশ শায়তনির রাজিম  অর্থাৎ আমি তার এবং তার সন্তান দের জন্য অভিশপ্ত শয়তানের আক্রমণের হাত থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাচ্ছি। রাব্বি হাবলি মিন লাদুনকা যুররইয়াতান তাইয়িবাহ নাকা ইন্নাকা আনতাস সামিউদ দোয়া অর্থাৎ হে আমার রব আপনি আপনার পক্ষ থেকে আমাকে পবিত্র সন্তান দান করুন। রাব্বি হাবলি মিনাস সলিহিন অর্থাৎ হে আমার প্রতিপালক আপনি আমাকে সৎকর্মশীল সন্তান দান করুন।গর্ভবতী মায়ের আমল ও দোয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গর্ভবতী মায়ের আমল ও দোয়া বেশি বেশি করা দরকার কারণ কোনো গর্ভবতী মায়ের আমল ও দোয়া সবচাইতে বেশি কার্যকরী হয়ে থাকে।

বাচ্চা পেটে আসলে কোন মাসে কোন সূরা পড়তে হয়

আপনি জানলে অবাক হবেন যে, বাচ্চা পেটে আসলে কোন মাসে কোন সূরা পড়তে হয়।কোনো নারীর গর্ভে সন্তান আসলে সেই নারীর জন্য অনেক সম্মান ও সৌভাগ্যের বিষয় হয়ে থাকে। গর্ভবতী মায়ের আমল ও দোয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাচ্চা পেটে আসলে প্রথম মাসে সূরা আলে ইমরান পড়তে হয় কারণ এই সূরা বেশি পাঠ করলে সন্তান অনেক দামি হয়। দ্বিতীয় মাসে সূরা ইউসুফ পড়লে সন্তান অনেক সুন্দর হয়। তৃতীয় মাসে সূরা মারইয়াম পড়লে সন্তান অনেক ধৈর্যশীল হয়। চতুর্থ মাসে সূরা লোকমান পড়লে সন্তান হেকমত ওয়ালা হবে । পঞ্চম মাসে সূরা মুহাম্মদ পড়লে সন্তান হবে চরিত্রবান।

আরও পড়ুনঃ চোখের ছানি দূর করার ঘরোয়া উপায়

ষষ্ঠ মাসে সুরা ইয়াসিন পড়লে সন্তান হবে অনেক জ্ঞানী। সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম মাসে সূরা ইউসুফ,সূরা মুহাম্মদ ও সূরা ইব্রাহীম এর প্রথম ১০ আয়াত পড়তে হবে। এছাড়াও সন্তান প্রসবের ব্যথা উঠলে সূরা ইনশিরাক পড়ে পানিতে ফু দিয়ে পান করুন, এতে অনেক ভালো লাগবে এবং ব্যথা কমবে।গর্ভবতী মায়ের আমল ও দোয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গর্ভবতী মায়ের আমল ও দোয়া বেশি বেশি করা দরকার কারণ কোনো গর্ভবতী মায়ের আমল ও দোয়া সবচাইতে বেশি কার্যকরী হয়ে থাকে।প্রতিটা নারীকে গর্ভবতী মায়ের আমল ও দোয়া এই সম্পর্কে বেশি বেশি আলোচনা করে গর্ভবতী মায়ের আমল ও দোয়ার গুরুত্ব ও ফজিলত জেনে নিতে হবে।

গর্ভবতী মায়ের আমল ও দোয়া

গর্ভবতী মায়ের আমল ও দোয়া বেশি বেশি করা দরকার কারণ কোনো গর্ভবতী মায়ের আমল ও দোয়া সবচাইতে বেশি কার্যকরী হয়ে থাকে। গর্ভবতী মায়ের আমল ও দোয়া হাদিসে বেশ কয়েকটি উপায় দেখা যায়।জীবনে মায়ের কোন তুলনা বা বিকল্প হয় না। এজন্যই বলা হয়েছে মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত। প্রত্যেকটি মা তার সন্তানের জন্য অনেক কষ্ট করে থাকেন, এজন্যই মহান আল্লাহ তার সঙ্গে সদাচরণ করার কথা খুব জোর দিয়ে বলেছেন। ইসলামে গর্ভবতী মায়ের আমল অনেক। গর্ভবতী মায়ের আমল ও দোয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সন্তানের মঙ্গলের জন্য। মারিয়ম আঃ এর জন্মের পূর্বে যখন গর্ভধারিণী মাকে সন্তানের ব্যাপারে সুসংবাদ দেয়া হলো, তখন তিনি মহান আল্লাহর নিকট যে দোয়াটি করেছিলেন সেটি সূরা আলে ইমরানের ৩৫ নাম্বার আয়াতে বিদ্রমান। সু সন্তান বা পরহেজগার সন্তান লাভের জন্য ইসলামে গর্ভবতী মায়ের আমল অনেক গুরুত্বপূর্ণ। 

দোয়াটি হলো: রাব্বি হাবলি মিনলাদুনকা জুররিয়াতান তাইয়িবাতান ইন্নাকা সামিউদ্দুয়া, অর্থাৎ হে আমার পালনকর্তা!আপনার পক্ষ থেকে আমাকে পবিত্র সন্তান দান করুন নিশ্চয়ই আপনি প্রার্থনা শ্রবণকারী। গর্ভবতী মা তার সন্তানের ভালোর জন্য বেশ কয়েকটি সূরা পড়তে পারেন ।এর মধ্যে অন্যতম হলো:বাচ্চা পেটে আসলে প্রথম মাসে সূরা আলে ইমরান পড়তে হয় কারণ এই সূরা বেশি পাঠ করলে সন্তান অনেক দামি হয়। দ্বিতীয় মাসে সূরা ইউসুফ পড়লে সন্তান অনেক সুন্দর হয়। তৃতীয় মাসে সূরা মারইয়াম পড়লে সন্তান অনেক ধৈর্যশীল হয়। চতুর্থ মাসে সূরা লোকমান পড়লে সন্তান হেকমত ওয়ালা হবে । পঞ্চম মাসে সূরা মুহাম্মদ পড়লে সন্তান হবে চরিত্রবান। ষষ্ঠ মাসে সুরা ইয়াসিন পড়লে সন্তান হবে অনেক জ্ঞানী। সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম মাসে সূরা ইউসুফ,সূরা মুহাম্মদ ও সূরা ইব্রাহীম এর প্রথম ১০ আয়াত পড়তে হবে।

গর্ভের সন্তান ফর্সা হওয়ার আমল

কোনো নারীর গর্ভে সন্তান আসলে সেই নারীর জন্য অনেক সম্মান ও সৌভাগ্যের বিষয় হয়ে থাকে। গর্ভবতী মায়ের আমল ও দোয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গর্ভবতী মায়ের আমল ও দোয়া বেশি বেশি করা দরকার কারণ কোনো গর্ভবতী মায়ের আমল ও দোয়া সবচাইতে বেশি কার্যকরী হয়ে থাকে। আপনি কি জানেন, গর্বের সন্তান ফর্সা হওয়ার আমল কি? গর্ভের সন্তান আসলে সর্বদা গর্ভবতী নারীকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। অনেক ধৈর্য ধরতে হবে এবং নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে।

আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

প্রতিনিয়ত কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করতে হবে সন্তান গর্ভে আসলে, তাহলে গড়বে থাকার সন্তান অনেক ভালো থাকে। কোন গর্ভবতী নারী যদি তার সন্তানকে ফর্সা হিসেবে দেখতে চান তাহলে আপনার গর্ভে সন্তান আসলে আপনাকে বেশি বেশি সূরা ইউসুফ পড়তে হয় কারণ বেশি বেশি সূরা ইউসুফ পড়লে গর্ভের সন্তান অনেক ভালো ও অনেক ফর্সা হয়ে থাকে। গর্ভবতী নারী ও তার গর্বের সন্তানকে সুস্থ সবল রাখতে হলে বেশি বেশি নামাজ,কুরআন তিলাওয়াত ও সূরা ইউসুফ পাঠ করতে হবে।

গর্ভবতী মায়ের ১০ মাসের আমল

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে গর্ভবতী মায়ের আমল ও দোয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং প্রতিটা নারীকে গর্ভবতী মায়ের আমল ও দোয়া এই সম্পর্কে বেশি বেশি আলোচনা করে গর্ভবতী মায়ের আমল ও দোয়ার গুরুত্ব ও ফজিলত জেনে নিতে হবে। আপনি জানলে অবাক হবেন যে, গর্ভবতী মায়ের দশ মাসের আমল কি?বাচ্চা পেটে আসলে প্রথম মাসে সূরা আলে ইমরান পড়তে হয় কারণ এই সূরা বেশি পাঠ করলে সন্তান অনেক দামি হয়। দ্বিতীয় মাসে সূরা ইউসুফ পড়লে সন্তান অনেক সুন্দর হয়। তৃতীয় মাসে সূরা মারইয়াম পড়লে সন্তান অনেক ধৈর্যশীল হয়। 

চতুর্থ মাসে সূরা লোকমান পড়লে সন্তান হেকমত ওয়ালা হবে । পঞ্চম মাসে সূরা মুহাম্মদ পড়লে সন্তান হবে চরিত্রবান। ষষ্ঠ মাসে সুরা ইয়াসিন পড়লে সন্তান হবে অনেক জ্ঞানী। সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম মাসে সূরা ইউসুফ,সূরা মুহাম্মদ ও সূরা ইব্রাহীম এর প্রথম ১০ আয়াত পড়তে হবে। এই আমল গুলোর পাশাপাশি গর্ভবতী নারীকে আরও বেশ কিছু কাজ করতে হয়। তার মধ্যে অন্যতম হলো গর্ভবতী নারীকে সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হয়, গর্ভবতী নারীকে সর্বদা নিয়ম মেনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হবে এবং নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত করতে হবে। যদি আপনি এই কাজগুলো ঠিকমতো করেন তাহলে খুব সহজেই আপনি ভালো সন্তান পেতে পারেন।

আমাদের শেষ কথাঃ গর্ভবতী মায়ের আমল ও দোয়া

ছেলে ও মেয়ে সকলের দৈনন্দিন জীবন আনন্দময় করতে হলে গর্ভবতী মায়ের আমল ও দোয়া এই সম্পর্কে বেশি বেশি জানতে হবে।গর্ভবতী মায়ের আমল ও দোয়া বেশি বেশি করা দরকার কারণ কোনো গর্ভবতী মায়ের আমল ও দোয়া সবচাইতে বেশি কার্যকরী হয়ে থাকে। কোনো গর্ভবতী মায়ের আমল ও দোয়া সবচাইতে বেশি কাজে লাগে তার গর্ভের সন্তানের জন্য। 

সুস্থ্য সবল সন্তান লাভের জন্য গর্ভবতী নারীকে সর্বদা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে, নিয়ম মেনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে এবং সঠিকভাবে কুরআন তিলাওয়াত করতে হবে। যদি কোন নারী এই কাজগুলো ঠিকমতো করে থাকে, তাহলে স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা সেই নারীর সন্তানকে সুন্দর,ন্যায়পরায়ণ,কর্মশক্তিশীল ও ধৈর্যশীল ইত্যাদি গুনাগুন দিয়ে থাকেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

fasttechit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url