টনসিল কি ও টনসিল কেন হয়

টনসিল কি ও টনসিল কেন হয়? আমাদের মানব শরীরের গলার উপরের দিকে দু'পাশে গোলাকার পিণ্ডের মতো যা দেখা যায় সেটাকেই টনসিল বলে থাকা হয়। টনসিল কি ও টনসিল কেন হয় এটা জানা আমাদের মানব শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। এই টনসিল আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর একটি দিক। এই টনসিল আমাদের মানব শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটি কোষ বা টিস্যু। টনসিল কি ও টনসিল কেন হয় এটা জানা আমাদের মানব শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই টনসিল সংক্রমণ রোগ আমাদের মানব শরীরের জন্য অনেক হুমকিস্বরূপ। নাক, গলা ও মুখ দিয়ে শরীরে প্রবেশ করা জীবাণু বা ভাইরাস দায়ী টনসিল সংক্রমণের জন্য। 

পোস্ট সূচিপত্রঃএই সংক্রমনের ফলে যদি টনসিলে প্রবল ব্যথা হয় তখন দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে আপনাদের নিকটস্থ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খেতে হবে।

টনসিল কি ও টনসিল কেন হয়

আপনি কি জানেন,টনসিল কি ও টনসিল কেন হয়? নাক ও গলা দিয়ে শরীরে প্রবেশ করা জীবাণু বা ভাইরাস দায়ী টনসিল সংক্রমণের জন্য। এই টনসিল সংক্রমণ আমাদের মানব জীবনকে খুব সহজেই এবং অতি তাড়াতাড়ি হুমকির মুখে নিয়ে যায়। প্যালাটাইন, লিংগুয়াল, টিউবাল এবং অ্যাডেনয়েড এগুলোকেই সচরাচর টনসিল বলে থাকা হয়। 

সাধারণত প্যালাটাইন টনসিলই সাধারণ মানুষের কাছে টনসিল হিসেবে পরিচিত। টনসিল কি ও টনসিল কেন হয় এটা সম্পর্কে বিশেষ ভাবে জানা প্রয়োজন। পুষ্টির অভাব বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে এই টনসিল রোগটি হয়ে থাকে। 

আরও পড়ুনঃ চোখের ছানি দূর করার ঘরোয়া উপায়

আইসক্রিম ও ফ্রিজে রাখা শীতল পানি বেশি বেশি খেলে এই টনসিল সংক্রমণ হয়ে থাকে। মুখ ঠিকমতো পরিষ্কার না করলে ক্ষতিকর ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমনে টনসিলে ইনফেকশন হতে পারে। স্যাঁতসেঁতে বাসস্থান, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং অধিক গরমে শরীরে ঘাম বসে গেলে টনসিলের প্রবাহ অনেক বিকট ভাবে দেখা যায়। 

তাই এই টনসিল সংক্রমণের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য কনসিল কি ও টনসিল কেন হয় এই বিষয়ে খুব গভীর ভাবে জানা দরকার।

টনসিল ইনফেকশনের লক্ষণ

টনসিল খুবই মারাত্মক একটি রোগ আমাদের মানব জীবনের জন্য। টনসিল কি ও টনসিল কেন হয় এই বিষয়ে আমাদের ছোট বড় সকলেরই জানা দরকার। টনসিল ইনফেকশনের লক্ষণ বেশ কয়েকটি উপায়ে বোঝা যায়। তার মধ্যে অন্যতম উপায় হল গলা ফুলে যাওয়া ও গলায় প্রচুর পরিমাণে ব্যথা হওয়া।

এছাড়াও টনসিল ইনফেকশনের লক্ষণের আরেকটি মাধ্যম হলো জিহ্বা ভারী হয়ে যাওয়া ও মুখ থেকে লালা পড়া। সাধারণত প্যালাটাইন টনসিলই সাধারণ মানুষের কাছে টনসিল হিসেবে পরিচিত। পুষ্টির অনেক অভাব এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে টনসিল সংক্রমণ রোগটি আমাদের মানব জীবনে দেখা যায়। 

এই টনসিল সংক্রমণ রোগটি আমাদের মানব জাতির জন্য চরম হুমকিস্বরূপ। আপনি যদি টনসিল ইনফেকশনের লক্ষণ গুলো দেখতে পারেন তাহলে দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে আপনাদের নিকটস্থ হসপিটাল বা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ সেবন করুন। আমাদের মানব জীবনকে সুস্থ রাখার জন্য টনসিল কি ও টনসিল কেন হয় এই বিষয়ে খুব ভালোভাবে জেনে থাকা দরকার।

টনসিল ক্যান্সারের লক্ষণ

এই ক্যান্সার আমাদের মানব জীবনে গলা বা টনসিলে বেড়ে থাকে। এই টনসিল আমাদের মানব জীবনের জন্য চরম হুমকিস্বরূপ। নাক বা মুখ দিয়ে বিভিন্ন ভাবে অনেক রকম ভাইরাস প্রবেশ করে টনসিল সংক্রমণ করে থাকে। যদি কোনো ব্যক্তি টনসিল সংক্রমনে আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে তার প্রচুর পরিমাণে গলা ব্যথা হবে। 

টনসিল ক্যান্সারের লক্ষণ বেশ কয়েকটি উপায়ে বোঝা যায়। এই টনসিল ক্যান্সারের লক্ষণ বুঝার অন্যতম উপায় হলো প্রচুর পরিমাণে গলা ব্যথা হওয়া এবং প্রচুর পরিমাণে কাশি হওয়া। 

আরও পড়ুনঃ উচ্চ রক্তচাপ কমানোর প্রাকৃতিক উপায়

এছাড়াও টনসিল ক্যান্সারের লক্ষণ এর আরেকটি উপায় হলো কোনো কিছু খেতে না পারা এবং কানে প্রচুর পরিমাণে ব্যথা হয়ে থাকে এই টনসিল সংক্রমণের জন্য। এই টনসিল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির খুবই সাহস থাকা উচিত। টনসিল ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো যদি আপনি বুঝতে পারেন তাহলে দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে আপনাদের নিকটস্থ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ঔষধ খাওয়া দরকার।

টনসিল কত দিনে ভালো হয়

আমাদের মানব জীবনের জন্য প্রচন্ড হুমকিস্বরূপ এই টনসিল সংক্রমণ রোগটি। ছোট-বড় ও বয়স্ক লোকদের এই টনসিল সংক্রমণ রোগটি ব্যাপক প্রভাব ফেলে। আপনি কি জানেন, টনসিল কত দিনে ভালো হয়? আপনি জানলে অবাক হবেন যে, টনসিলাইটিসের সবচেয়ে পরিচিত ধরনটি হলো তীব্র টনসিলাইটিস। 

আমাদের মানব জীবনে ক্ষতিকর এই টনসিলাইটিস উপসর্গগুলো সচরাচর তিন থেকে চার দিন থেকে থাকে এবং এই টনসিলাইটিসের উপসর্গগুলো জটিল আকারে ধারণ করলে কোনো কোনো সময় বেশ কয়েকদিন অর্থাৎ দুই সপ্তাহের মতো থেকে থাকে। এই টনসিলাইটিসের উপসর্গগুলো আমাদের মানব জীবনে খুবই কষ্টদায়ক হয়ে থাকে। 

তাই টনসিল কত দিনে ভালো হয় এটা জানার জন্য বেশি বেশি টনসিল কি ও টনসিল কেন হয় এই সম্পর্কে আলোচনা করতে হবে।

টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবেনা

টনসিল সংক্রমণ রোগ একটি ক্ষতিকর দিক যা আমাদের মানব শরীরের জন্য প্রচন্ড হুমকিস্বরূপ। আমাদের খুব ভালোভাবে জানতে হবে যে,টনসিল কি ও টনসিল কেন হয় কারণ এই সম্পর্কে ভালোভাবে জানলেই টনসিল সংক্রমণ রোগ থেকে নিজেকে সহজেই রক্ষা করা যাবে। 

আপনি কি জানেন, টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবেনা? টনসিল হলে আমাদের অনেক কিছু বেঁছে খেতে হয়। এজন্য টনসিলের ব্যথা অনেকটাই কমানো যায়। টনসিল হলে কোন প্রকার জাঙ্ক ফুড অর্থাৎ চিপস, কোমল পানীয় ইত্যাদি খাওয়া যাবে না। 

আরও পড়ুনঃ রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি সমস্যা হয়

অনেক বেশি পরিমাণ তেল এবং মসলা জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো। কোনো রকমের টক জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না কারণ টক জাতীয় খাবার টনসিলের ব্যথা বাড়াতে সাহায্য করে। ফুলকপি, বাঁধাকপি খাওয়া যাবে না কারণ এগুলো টনসিলের ব্যথা বৃদ্ধি করে দিতে পারে। 

কোনো প্রকার শক্ত জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না। টোস্ট বিস্কুট খাওয়া যাবে না, আপনি এই শক্ত বিস্কুট না খেয়ে নরম পাউরুটি খেতে পারেন। এই শক্ত জাতীয় খাবার টনসিলের ব্যথা বাড়াতে পারে। আমরা খুব সহজেই জানতে পারলাম যে, টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবেনা।

টনসিল হলে গলা ব্যথা হয় কেন

আমাদের মানব শরীরের গলার উপরের দিকে দু'পাশে গোলাকার পিণ্ডের মতো যা দেখা যায় সেটাকেই টনসিল বলে থাকা হয়। টনসিল কি ও টনসিল কেন হয় এটা জানা আমাদের মানব শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। এই টনসিল আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর একটি দিক। এই টনসিল আমাদের মানব শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটি কোষ বা টিস্যু।

এই টনসিল সংক্রমণ রোগ আমাদের মানব শরীরের জন্য অনেক হুমকিস্বরূপ। আপনি কি জানেন, টনসিল হলে গলা ব্যথা হয় কেন?নাক,গলা ও মুখ দিয়ে শরীরে প্রবেশ করা জীবাণু বা ভাইরাস দায়ী টনসিল সংক্রমণের জন্য। বিভিন্ন ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা টনসিল সংক্রমণ হলে শরীরের টনসিল অনেক ফুলে যায়। 

আর এই টনসিল ফুলে গেলে কোনো কিছুই খাওয়া যায় না,ভালোভাবে কথা বলা যায় না। এজন্যই টনসিল হলে প্রচন্ড আকার গলা ব্যথা হয়ে থাকে।

টনসিল এর ঔষধ

টনসিল আমাদের শরীরে অনেকটা ফিল্টারের মত কাজ করে থাকে। এই টনসিল বিভিন্ন ধরনের জীবাণুকে বা ভাইরাসকে আটকে দেয়। যেগুলো আমাদের শরীরে প্রবেশ করে শ্বাসনালীতে ইনফেকশন তৈরি করতে পারে। এছাড়াও টনসিল শরীরের অ্যান্টিবডি তৈরি করে, জা ইনফেকশনের বিরুদ্ধে অনেক ভালোভাবে লড়াই করে। 

কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় অতিরিক্ত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার কারণে টনসিল নিজেই ইনফেকশনের শিকার হয়ে থাকে। যেটাকে খুব সহজেই বলা হয় টনসিলাইটিস। সাধারণত টনসিলের সমস্যা হওয়ার পর প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে এবং সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিতে হবে। টনসিল নিরাময়ের জন্য ঘরোয়া ভাবে বেশ অনেকটা চিকিৎসা নেওয়া যেতে পারে। 

হালকা গরম পানির সাথে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি বা গড়গড়া করলে গলা ব্যথা অনেকটা কমে যায় এবং গলার মধ্যে যে জ্বালাপোড়া হয় সেটা কমাতে অনেক সাহায্য করে থাকে এই লবণ পানি মিশ্রণ। যষ্টিমধুতে প্রদাহ কমানোর উপাদান থাকায় টনসিলের জন্য এটি খুবই উপকারী। চা বা গরম পানি টনসিলের কারণে গলায় সৃষ্টি হওয়া প্রচন্ড ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। 

টনসিলাইটিস হলে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম নেয়ার কথা বলা হয়েছে। ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করে যদি টনসিল সংক্রমণ রোগ প্রতিরোধ না হয় তাহলে দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে আপনাদের নিকটস্থ হসপিটাল বা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষুধ খেতে হবে। 

তাই বলা যায় টনসিল কি ও টনসিল কেন হয় এর সম্পর্কে বেশি বেশি আলোচনা করা তাহলেই টনসিল এর ঔষধ এবং কি করলে এই টনসিল সংক্রমণ রোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায় সেটি জানা যায়।

আমাদের শেষ কথাঃ টনসিল কি ও টনসিল কেন হয়

টনসিল আমাদের মানব দেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এই টনসিল সংক্রমণ রোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য করণীয় হলো টনসিল কি ও টনসিল কেন হয় এই সম্পর্কে বেশি বেশি আলোচনা করা। এই টনসিল সংক্রমণ হলে আমাদের শরীরের নানান জায়গায় অনেক রকমের সমস্যা দেখা দেয়। 

এই সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো প্রচন্ড আকারে গলা ব্যথা হওয়া এবং গলা ফুলে যাওয়া। এই টনসিল সংক্রমণ রোগটি আমাদের মানব জাতির জন্য প্রচন্ড হুমকিস্বরূপ। তাই আমাদের এই টনসিল সংক্রমণ রোগটির সম্পর্কে বেশি বেশি জানা দরকার কেননা এই সম্পর্কে আমাদের জানা থাকলে আমরা খুব সহজেই এই রোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবো।