ওসিডি রোগের লক্ষণ কেন জানা জরুরী?
ওসিডি (OCD) হলো একটি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, যা আবশ্যকতা ছাড়াই একটি প্রতিদিনের জীবনে সহজেই প্রত্যাক্ষে বা আদব্ধভাবে প্রতিরোধ করার প্রয়াসের সাথে চর্চায় অবস্থিত হতে পারে। এটি সাধারণভাবে চিন্তা এবং আদত্য প্রতিরোধের প্রয়াসের মাধ্যমে প্রকাশ পায়, যেটি সাধারণভাবে একটি চিন্তার বৃদ্ধির মাধ্যমে হতে পারে।
পোস্ট সূচিপত্রঃতাহলে জানা যা এই রোগ সম্পর্কে।
ওসিডি কি
ওসিডি (OCD) হলো একটি মানসিক অসুস্থতা, যা একজন ব্যক্তির মানসিক স্বাস্থ্য ও ব্যবহারিক জীবনে বাধা তৈরি করতে পারে। এটি একটি অত্যন্ত কোনোও বিশেষ ধরণের উপাসনা বা চিন্তাগুলি দ্বারা চরম সংকোচন এবং ব্যবসায়িক অসুস্থতা সাধারণভাবে চিহ্নিত করা হয়।
ওসিডি রোগের লক্ষণ
ওসিডি (OCD) হলো একটি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, যেখানে ব্যক্তি অদ্ভুত এবং পর্যাপ্ত সাধারণ চিন্তা বা কাজের সাথে নিজেকে প্রত্যাশিত আচরণ করে। এই সমস্যার কিছু লক্ষণ নিম্নলিখিত হতে পারে
আরও পড়ুনঃ উচ্চ রক্তচাপ কমানোর প্রাকৃতিক উপায়
১.অস্থায়ি এবং পর্যাপ্ত কারনে চিন্তা এবং আচরণের প্রাপ্তি, ওসিডি রোগীরা অস্থায়ী এবং অদ্ভুত চিন্তা বা আচরণের প্রাপ্তি করে এবং এগুলি থাকতে চান, তাতে যারা প্রতিভাষী হন তাদের চিন্তা বা আচরণ থামতে পারে না।
২.নিত্য আচরণ ওসিডি রোগীরা একই কাজ বা আচরণ করতে বাধ্য হন, সে ব্যাপারে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের অসুখ বাধাও উৎপন্ন করে।
ওসিডি থেকে মুক্তির উপায়
ওসিডি থেকে মুক্তি পেতে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করা উচিত
১.ধৈর্য ধারণঃ
ওসিডি থেকে মুক্তি পেতে ধৈর্য ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ। সময় ও উপকারণ সাথে কাজ করা স্বাস্থ্য ও জীবনস্তর উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
২. স্বাস্থ্যঃ
ওসিডি ব্যবহারের কারণে আপনি যদি স্বাস্থ্য সমস্যা অথবা মানসিক সমস্যা অনুভব করেন, তবে নিকটস্থ চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন।
৩. সাথী এবং পরিবারের সাথে আলোচনাঃ
আপনার সাথী এবং পরিবারের সদস্যদের সাথে এই সমস্যার দিকে মুখোমুখি হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। তাদের সাথে এই সমস্যা সম্পর্কে আলোচনা করে সাহায্য পেতে পারেন।
৪. সহানুভূতি এবং সহানুভূতি অনুসরণ
অন্যের সমস্যা সম্পর্কে সহানুভূতি এবং সাহায্য করলে অন্যের কাছে আপনার মানসিক স্বাস্থ্যে সুধার আসতে সাহায্য করতে পারে।
৫. পেশাদার সাহায্য
যদি ওসিডি ব্যবহার আপনার দৈনন্দিন জীবন এবং কর্মঠ জীবনের সাথে বিপর্যন্ত সমস্যা তৈরি করে, তবে একজন পেশাদার সাহায্যকারী, যেমন মানসিক স্বাস্থ্যের ডাক্তারের কাছে অবশ্যই পরামর্শ নিতে হবে।
ওসিডি রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি
ওসিডি হল এক ধরনের মানসিক ও আচরণগত ব্যধি। এটি নারী পুরুষ শিশু উভয়ের হতে পারে।ওসিডির নির্দিষ্ট কোন কারণ এখনো জানা যায়নি।তবে এটি জিনগত কারণ,মানসিক চাপ,মতিষ্কের পরিবর্তন ইত্যাদি কারণে হতে পারে। ডায়াবেটিস এর মতোই ওসিডি রোগটিকেও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এটি সাইকোলজিক্যাল আর ফার্মাকোলজিক্যাল এই দুই পদ্ধতি অবলম্বন করে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
আরও পড়ুনঃ বুকে ঠান্ডা লাগলে করণীয়
সাইকোলজিক্যাল পদ্ধিতে কগনেটিভ বিহেইভিয়ার থেরাপি এটির খুব কার্যকরী বলে জানা গেছে। এই পদ্ধতিতে রোগির ভুল চিন্তা ধারার উপর কাজ করা হয়। যে সব বিষয় এর উপর রোগির নেতিবাচক ধারণা থাকে সেগুলো শুধরানোর চেস্টা করা হয়।
আবার ফার্মাকোলজিক্যাল পদ্ধতিতে মূলত চিকিৎসা হয় ওষুধ এর মাধ্যমে। অনেক সময় এই রোগে আক্রান্ত রোগিরা ডিপ্রেশনে ভোগে। তাই ডাক্তার তাদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্ট ওষুধ দেন। যা এই রোগিদের কাজে আসে বলে জানা গেছে। এছাড়াও রেসপন্স প্রিভেনশন থেরাপি’ দ্বারাও রোগীকে সাহায্য করা হয়। বলা হয় যে, থেরাপি আর ওষুধ একসাথে প্রয়োগ করা হলে ফলাফল দ্রুত মেলে।
ওসিডি কি ভালো হয়
ওসিডি হল এমন ধরনের মানসিক রোগ যা সারাজীবন বয়ে নিয়ে বেড়াতে হয়। ওসিডি কে পুরাপুরি ভালো করা সম্ভব নয়। তবে থেরাপি আর ওষুধ এর মাধ্যমে এটিকে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। ফলে রোগটি ভালো থাকে।ওসিডি রোগীদের সারাজীবন এটির মোকাবিলা করে চলতে হয়। থেরাপি আর ওষুধ এর মাধ্যমে তারা একটু একটু স্বাভাবিক হতে শুরু করে। তারা এভাবে মানুষের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখে। ওসিডি তেমন বিপদজ্জনক রোগ নয়, তবে কারো গুরুত্বর ওসিডি থাকলে এটি তার জীবনে অভিশাপ হয়ে দাঁড়াবে।
উপসংহার
আমদের শেষ কথা বলা যায় যে ওসিডি একটি মানুষের জীবনে অভিশাপ। কেননা এটির কারণে ওই মানুষকে অনেক ভুগতে হয়। এসব রোগির নানা মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। ফলে তারা অজান্তেই নিজের ক্ষতি করে আর নিজের আশেপাশের মানুষের সাথে খারাপ ও অদ্ভুত আচরণ করে ফেলে। নিজেকে ভালো রাখতে তাদের আজীবন থেরাপি আর ওষুধ এর উপর থাকাই শ্রেয়।এতে তারা ভালো থাকবে। আর আমাদেরও উচিত ওডিসি আক্রান্ত রোগিদের সমস্যা বুঝে তাদের সাথে ভাল ব্যবহার করা।
fasttechit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url