আতাফল এর উপকারিতা ও অপকারিতা

আমাদের দৈনন্দিন মানব জীবনে আতাফল খুবই উপকারই একটি উপাদান। আতা ফল এর উপকারিতা ও অপকারিতা অনেক দেখা যায় আমাদের জীবনে। এই ফলটিতে রয়েছে অনেক অনেক পুষ্টিকর উপাদান যা আমাদের মানব শরীরে খুব সহজেই অনেক উপকার করে থাকে। আতাফল খুবই পুষ্টিকর একটি উপাদান। 

https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgL4CNTPnRydiYgCxvSSPVTSksLKl4pPSt1BFc_Nmde5H4qhlZRsreMOhdWQID2gxJ8Kg8uRWfVumB37VeOuiLAualHO5-YtJLbJH28yOav8ZurdizO2v1-evu1I1W9bciJdiGsMdXeVzTAL1fUbH0jxjonkQ5kHPxggeZtdTjRD1MtCrCrPFGCm1VPr74/s320/%E0%A6%86%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A6%B2%20%E0%A6%8F%E0%A6%B0%20%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE%20%E0%A6%93%20%E0%A6%85%E0%A6%AA%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE.jpg

পোস্ট সূচিপত্রঃএই আতা ফল পাকা অবস্থায় দেখতে খুবই সুন্দর দেখা যায় এবং এই আতা ফল খেতেও খুবই মজাদার বা অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে। এই আতাফলে রয়েছে বেশ অনেক পরিমাণে ভিটামিন যেটা খুব সহজেই আমাদের মানব শরীরকে বেশ অনেক ভাবে সাহায্য করে থাকে। 

আতা ফলের বৈজ্ঞানিক নাম

আমাদের দেশের আতাফলটি ছোট থেকে বড় কমবেশি সকলেই দেখে বা চিনে থাকি।  এই আতা ফলের বৈজ্ঞানিক নাম রয়েছে। ইংরেজিতে সেগুলো হলো :কাস্টার্ড অ্যাপল,সুগার অ্যাপল, সুগার পাইন অ্যাপল ও সুইটসপ(Custard Apple, Sugar apple,sugar pineapple or sweetsop)ইত্যাদি বলা হয়ে থাকে। 

আতা ফল খাওয়ার উপকারিতা

আতা ফল খাওয়ার উপকারিতা হিসেবে আমরা বেশ কয়েকটি উপকার দেখে থাকি। প্রতিনিয়ত নিয়ম মেনে আতা ফল খেলে ডায়াবেটিস কমে যায়, কেননা এই ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে ডায়াবেটিস ফাইবারের উপস্থিতি, এটি খুব সহজেই চিনির শোষন কমিয়ে দেয়। এই আতা ফলের উপরের অংশ বা খোসা দাঁতের জন্য অনেক উপকার করে থাকে। 

এছাড়াও এই আতা ফলে ভিটামিন এ থাকার কারণে চোখ, চুল এবং ত্বকের উপকার করে থাকে বিভিন্ন উপায়। এজন্যই আমাদের সকলেরই আতা ফল এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। 

গর্ভাবস্থায় আতাফল খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় আতা ফল খাওয়ার উপকারিতা হিসেবে বেশ কয়েকটি উপকার দেখে থাকি। এই আতাফলে রয়েছে ভিটামিন বি৬, যা সকালে বমি বমি ভাব প্রতিরোধ করে এবং এই আতাফলে আছে ক্যালোরি এবং নিউরাল সুগার, এগুলো ওজন বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। এই আতাফলে রয়েছে পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। 

কোষ্ঠকাঠিন্যর উপশম করে এবং মলকে নরম করে। ম্যাগনেসিয়াম পেশিগুলো শিথিল করে এবং কার্ডিওভাসকুলার নিয়ন্ত্রণ করে। এই কারণে স্টোক  হয় না এবং হৃদয়কে সুরক্ষা দেয়। এছাড়াও শরীর থেকে টক্সিন পরিষ্কার করে। এই কারণেই আমরা খুব সহজেই বলতে পারি যে, আমাদের মানব শরীরের জন্য আতা ফল এর উপকারিতা ও অপকারিতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। 

আতা ফলের পাতার উপকারিতা

আতা ফল যেমন আমাদের মানব শরীরের জন্য উপকার করে থাকে,তেমনি আতা ফলের পাতার উপকারিতা আমাদের মানব শরীরের জন্য অনেকটা উপকার করে থাকে। যদি কারও স্তনে ক্যান্সার থাকে তাহলে তাকে প্রতিনিয়ত নিয়ম মেনে এই ফলের পাতার রস খেতে হবে। 

কেননা এটি স্তনের ভিতরে থাকা বিষাক্ত টক্সিন কে দূর করতে সাহায্য করে থাকে। এই আতা ফলের খোসা ব্যবহার করলে দাঁত পরিষ্কার হয় ও দাঁতের মাড়ি মজবুত হয়। 

আতাফলের অপকারিতা

 আতাফলের অপকারিতা নেই বললেই চলে। এই আতাফল এর উপকারিতা বেশি অপকারের তুলনায়। আসলে বলতে গেলে অতিরিক্ত কোন কিছুই মানব শরীরের জন্য ঠিক নয়। এজন্য অতিরিক্ত আতাফল আমাদের মানব শরীরের জন্য হুমকি স্বরূপ, অতিরিক্ত আতাফল খেলে বদহজম বা প্রচন্ড আকারে পেট ব্যাথা হয়ে থাকে। 

আতাফল এর উপকারিতা ও অপকারিতা

আতা ফল অনেক পুষ্টিকর একটি উপাদান। আতাফল এর উপকারিতা ও অপকারিতা অনেক। উপকারিতার দিক ধরতে গেলে আতাফল অনেক উপকার করে থাকে অপকারের তুলনায়। প্রতিনিয়ত নিয়ম মেনে আতা ফল খেলে ডায়াবেটিস কমে যায়, কেননা এই ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে ডায়াবেটিস ফাইবারের উপস্থিতি, এটি খুব সহজেই চিনির শোষন কমিয়ে দেয়। 

এই আতা ফলের উপরের অংশ বা খোসা দাঁতের জন্য অনেক উপকার করে থাকে। এছাড়াও এই আতা ফলে ভিটামিন এ থাকার কারণে চোখ, চুল এবং ত্বকের উপকার করে থাকে বিভিন্ন উপায়।আতাফলে রয়েছে ভিটামিন বি৬,যা সকালে বমি বমি ভাব প্রতিরোধ করে এবং এই আতাফলে আছে ক্যালোরি এবং নিউরাল সুগার,এগুলো ওজন বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। এই আতাফলে রয়েছে পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। 

কোষ্ঠকাঠিন্যর উপশম করে এবং মলকে নরম করে। ম্যাগনেসিয়াম পেশিগুলো শিথিল করে এবং কার্ডিওভাসকুলার নিয়ন্ত্রণ করে। এই কারণে স্টোক  হয় না এবং হৃদয়কে সুরক্ষা দেয়। স্তনের ভিতরে থাকা বিষাক্ত টক্সিন কে দূর করতে সাহায্য করে থাকে আতা ফল এর পাতার রস। অন্যদিকে অপকারের দিক হলো: অতিরিক্ত আতাফল আমাদের মানব শরীরের জন্য হুমকি স্বরূপ, অতিরিক্ত আতাফল খেলে বদহজম বা প্রচন্ড আকারে পেট ব্যাথা হয়ে থাকে। 

আমাদের শেষ কথা

 আতা ফল আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকার করে থাকে, এমনকি গর্ভাবস্থায় থাকা মহিলাদের জন্য অনেক উপকার করে থাকে এই আতাফল। আতাফল পাকা অবস্থায় দেখতে যেমন টকটকে ঠিক তেমনি এই আতাফল পাকা অবস্থায় খেতেও অনেক মজাদার এবং খুবই সুস্বাদু হয়ে থাকে। 

এজন্য ছোট থেকে বড় পর্যন্ত সকলেই এই আতাফল খেতে পছন্দ করে থাকেন। আমাদের শরীর স্বাস্থ্য সুস্থ রাখার জন্য আতাফল এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানা বিশেষ প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

fasttechit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url