মানব জীবনে বিদ্যুতের অবদান

আমাদের দৈনন্দিন মানব জীবনে বিদ্যুতের অবদান সর্বদা হয়ে থাকে। যেকোনো কাজের জন্য আমাদের বিদ্যুতের প্রয়োজন। বিদ্যুৎ ছাড়া কোন কাজই স্বয়ংসম্পন্ন করা সম্ভব নয়। বিদ্যুৎ আছে বলেই আমাদের দেশ এত তাড়াতাড়ি উন্নতি করতে পেরেছেন। তেল ছাড়া যেমন গাড়ি অচল ঠিক তেমনি বিদ্যুৎ ছাড়া আমাদের মানব জাতি অচল। 

https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEihliYjsBG5Y76qWLq34SFz17W1G1SocwFbfPElUwBdYPCALKD3GwyqV7QDTey9GFvxEOdBl4I0VcvTSNuiZzE9pmxwSoNb3gintorwlr0lgmWQT5zDWx8Mlt62GfcTeIXEwtbZwAneQrNIqwk9hoHDWulNww3-XgwdKGEozFO5dBhCKOu8HSCwAdCfLeQ/s320/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AC%20%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%87%20%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A6%85%E0%A6%AC%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%A8.jpg

পোষ্ট সূচিপত্রঃবিদ্যুৎ আছে বলেই আমরা যেকোনো কাজ খুব দ্রুত শেষ করতে পারি। আমাদের মানব জীবনে বিদ্যুতের অবদান চরম পর্যায়ে। বিদ্যুৎ না থাকলে আমরা কোন কাজই ঠিকমতো করতে পারবো না। 

বিদ্যুতের ব্যবহার

এমন কোন কাজ নেই যা এই বিদ্যুতের সাথে সম্পৃক্ত নয়। বিদ্যুতের ব্যবহার সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো: আলো, উত্তাপ, শীতলকরন,নিমায়নের জন্য এবং অপারেটিং, যন্ত্রপাতি, কম্পিউটার, ইলেকট্রনিক্স, যন্ত্রপাতি এবং ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম এ সকল কিছুতে বিদ্যুৎ খুবই ওতপ্রোতভাবে ব্যবহার হয়ে থাকে। তাই আমরা সকলেই মানব জীবনে বিদ্যুতের অবদান সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান অর্জন করব। 

বিদ্যুৎ উৎপাদন পদ্ধতি

বিদ্যুৎ উৎপাদন পদ্ধতি বেশ জটিল একটি পদ্ধতি কেননা সচরাচর বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন কেন্দ্রে বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক জেনারেটরের সাহায্যে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদিত হয়। বেশ অনেক শক্তিশালী এই জেনারেটর গুলোর তাপ ইঞ্জিনে জ্বালানি এবং নিউক্লিয় ফিশন বিক্রিয়া ব্যবহার করা হয়ে থাকে। 

বেশ অনেক ক্ষেত্রে এই প্রবাহমান জলধারা বা বায়ু সঞ্চিত গতিশক্তিকেও বিদ্যুৎ শক্তির উৎপাদনের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই বিদ্যুৎ ছাড়া আমাদের কোন কাজ স্বয়ং সম্পূর্ণ হয় না, তাই বলা যায় মানব জীবনে বিদ্যুতের অবদান অনেক। 

বিদ্যুৎ শক্তির উৎস কি কি

আপনি কি জানেন যে, বিদ্যুৎ শক্তির উৎস কি কি? আপনি জানলে অবাক হবেন যে, বিদ্যুৎ শক্তির প্রধান উৎস হচ্ছে প্রাকৃতিক গ্যাস। কয়লা ও তেল তারা ছাড়া বিশ্বের তিনটি জীবাশ্ম জ্বালানির অন্যতম।

এছাড়াও বলা যায় যে স্বাভাবিক চাপ ও তাপে গ্যাস বা বাষ্পাকারে অবস্থিত হাইড্রোকার্বনই হচ্ছে এই প্রাকৃতিক গ্যাস। এজন্যই প্রাকৃতিক গ্যাস কে বিদ্যুৎ শক্তির উৎস বলা হয়ে  থাকে এবং মানব জীবনে বিদ্যুতের অবদান অনেক। 

বিদ্যুৎ কে কতো সালে আবিষ্কার করেন

যেহেতু আমরা এই বিদ্যুৎ থেকে এত এত সুবিধা উপভোগ করছি সেহেতু আমাদের সকলেরই জানা দরকার যে, বিদ্যুৎ কে কত সালে আবিষ্কার করেন? ১৮২০ সাল থেকে ১৮৩০ সালের দশকে প্রথম বিদ্যুৎ উৎপাদনের বুনিয়াদি তত্ত্ব আবিষ্কার করেন। 

ব্রিটিশ বিজ্ঞানী মাইকেল ফ্যারাডে প্রথম বিদ্যুৎ আবিষ্কার করেন এবং মাইকেল ফ্যারাডের আবিষ্কৃত সেই প্রাথমিক তত্ত্বের উপরে ভিত্তি করেই আজ পর্যন্ত সেই ভাবেই বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়ে আসছে। সেই তখন থেকেই আমাদের মানব জীবনে বিদ্যুতের অবদান হয়ে আসছে। 

বাংলাদেশে কত সালে বিদ্যুৎ আসে

ব্রিটিশ বিজ্ঞানী মাইকেল ফ্যারাডে ১৮২০ থেকে ১৮৩০ সালের দশকে প্রথম বিদ্যুৎ আবিষ্কার করেন কিন্তু এর অনেক বছর পরে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আসে। আপনি কি জানেন, বাংলাদেশে কত সালে বিদ্যুৎ আসে? ১৯০১ সালের ৭ই ডিসেম্বর মি. বোল্টন নামের এক ব্রিটিশ নাগরিক আহসান মঞ্জিলে সর্বপ্রথম সুইচ টিপে বিদ্যুৎ সরবরাহের সূচনা করেন। 

ওই সময় নবাব আহসানউল্লাহর অর্থানুকুল্যে অক্টাভিয়াস স্টিল নামক কোম্পানি তৎকালীন ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়ক ও আহসান মঞ্জিল সহ পর্যায়ক্রমে ঢাকার কয়েকটি অভিজাত ভবন কে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার আওতায় এনেছিলেন। 

বিদ্যুৎ আমাদের কি কি কাজে লাগে

আমাদের দৈনন্দিন মানব জীবনে বিদ্যুতের অবদান সর্বদা। আপনি কি জানেন যে, বিদ্যুৎ আমাদের কি কি কাজে লাগে? তেল ছাড়া যেমন গাড়ি অচল তেমনি বিদ্যুৎ ছাড়া মানবজাতি অচল। কেননা বর্তমান বিশ্বে প্রত্যেকটি কাজের সঙ্গে প্রচন্ড ওতপ্রোতভাবে জড়িত হচ্ছে বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ ছাড়া কোন কিছু চিন্তা করাও অসম্ভব। ভাত রান্না করা থেকে শুরু করে ঘুমানো পর্যন্ত সর্বদাই আমাদের বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়ে থাকে। 

যেমন: ভাত রান্না করার জন্য রাইস কুকার, ঘুমানোর জন্য ফ্যানের দরকার, গোসলের জন্য পানির দরকার,ফোন ও কম্পিউটার চালানোর জন্য চার্জের প্রয়োজন, রাতের বেলা চলাচলের জন্য লাইটের প্রয়োজন, চলাচলের জন্য চার্জ যুক্ত গাড়ি প্রয়োজন ইত্যাদি যা যা প্রয়োজন সবকিছুতেই বিদ্যুতের ভূমিকা অপরিসীম। এজন্য আমরা খুব সহজেই বলতে পারি যে, আমাদের মানব জীবনে বিদ্যুতের অবদান অনেক গুরুত্বপূর্ণ। 

মানব জীবনে বিদ্যুতের অবদান

বর্তমান বিশ্ব এমন একটা পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে, বিদ্যুৎ ছাড়া চলাচল করা কোনভাবেই সম্ভব নয় মানব জাতির। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে চলাচলের জন্য ও জীবিকা নির্বাহের জন্য বিদ্যুতের গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা প্রত্যেকটি কাজের পিছনে রয়েছে বিদ্যুতের অবদান। যদি ২ ঘন্টার জন্য বিদ্যুৎ না থাকে তাহলে প্রত্যেকটি মানুষের জন্য অনেকটা ভোগান্তি ভোগ করতে হয়। খাবার এক বেলা না খেয়ে থাকা সম্ভব হয় কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকলে আমাদের টিকে থাকা খুব কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। 

ভাত রান্না করার জন্য রাইস কুকার, ঘুমানোর জন্য ফ্যানের দরকার,গোসলের জন্য পানির দরকার,ফোন ও কম্পিউটার চালানোর জন্য চার্জের প্রয়োজন,রাতের বেলা চলাচলের জন্য লাইটের প্রয়োজন, চলাচলের জন্য চার্জ যুক্ত গাড়ি প্রয়োজন ইত্যাদি যা যা প্রয়োজন সবকিছুতেই বিদ্যুতের ভূমিকা অপরিসীম।এজন্যই খুব সহজে এবং অতি জোর গলায় বলা যায় যে, আমাদের মানব জীবনে বিদ্যুতের অবদান অনেক। 

আমাদের শেষ কথা

বিদ্যুৎ আছে বলেই বিশ্ব এতটা উন্নতির মুখ দেখতে পেরেছেন। বিশ্বের প্রত্যেকটি মানুষই বিদ্যুতের সাথে খুবই ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বিদ্যুৎ ছাড়া ভালোভাবে কেউই চলতে পারবেন না। কারো সঙ্গে কেউ ভালোভাবে যোগাযোগ রাখতে পারবেন না। 

তেল ছাড়া যেমন গাড়ি অচল ঠিক তেমনি বিদ্যুৎ ছাড়া মানবজাতি অচল। তাই বলা যায় যে, আমাদের দৈনন্দিন মানব জীবনে বিদ্যুতের অবদান অনেক গুরুত্বপূর্ণ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

fasttechit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url