অতিরিক্ত বমি হলে করণীয়

অতিরিক্ত বমির মূল কারণ চিন্তা করুন এবং যত্তক্ষণ পর্যন্ত সমস্যা স্থায়ী স্থিতি অথবা সমস্যার উৎস বোঝা যায় তা পর্যবেক্ষণ করুন। অতিরিক্ত বমি হলে করণীয় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন যাতে ডিহাইড্রেশন প্রাপ্তি হতে না পারে।

পোস্ট সূচিপত্রঃএকটি স্থায়ী অথবা অতিরিক্ত বমি হলে করণীয়। নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটি শান্ত ও সুরক্ষিত স্থানে বিশ্রাম প্রয়োজন।

অতিরিক্ত বমি হলে করণীয়

যদি অতিরিক্ত বমি বোধ করেন, তবে নিম্নলিখিত কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত:

1. আপনি প্রথমে শান্তি পেতে চেষ্টা করতে পারেন। অতিরিক্ত বমির কারণে মাথা ব্যাথা হতে পারে, তাই আরাম নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
2. অতিরিক্ত বমি শরীরের শক্তি ও তরল নষ্ট করতে পারে, সেজন্য পর্যাপ্ত পানি প্রদান করা গুরুত্বপূর্ণ।
3. মুখ পরিষ্কার করতে সাবান এবং পানি ব্যবহার করুন।
4. অতিরিক্ত বমি হলে করণীয় হলে অধিক খাবার খাওয়া উচিত নয়, এটি আপনার স্বাস্থ্যকে ক্ষতি করতে পারে।
5. যদি অতিরিক্ত বমি চিরস্থায়ী বা গম্ভীর সমস্যা তৈরি করে, তাহলে একটি চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।

যদি  অতিরিক্ত বমি হলে করণীয়  সমস্যা সমাধান না হয় বা আপনি গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসকের প্রয়োজন মনে করেন, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন।

বমি বন্ধ করার উপায়

বমি বন্ধ করার উপায় নির্ভর করে  কারণে এবং আপনার স্বাস্থ্য অবস্থা দেখে তৈরি হতে পারে। তবে, আমি কিছু সাধারণ পরামর্শ দেতে পারি

1. বমি বন্ধ করার উপায় বেশি খাবার খেলে বমি হতে পারে, সেজন্য সময়ে সময়ে ছোট পর্যায়ে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
2. সবসময় উপযোগী পরিমাণে পানি খেতে দিন, যাতে ডিহাইড্রেশনের আপাততা না থাকে।
3. প্রশান্তি বা ব্যাক্তিগত স্থিতি প্রাপ্ত করতে চেষ্টা করুন: চাপিয়ে বেশি স্থির হতে সাহায্য করতে পারে।
4. বমি বন্ধ করার উপায় যদি বমি আপাততা থাকে এবং আপনি সাময়িক সাহায্য প্রয়োজন করেন, তাহলে এটি কর্মী বা চিকিৎসা করতে পারে।
5. যদি বমি দ্বারা সমস্যা সৃষ্টি হয় বা চিরস্থায়ী বমি সমস্যা থাকে, তাহলে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

অতিরিক্ত বমি হলে করণীয় বৈদ্যুতি পরামর্শের প্রয়োজনে বা গম্ভীর স্থিতির কারণে, চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত বমি হলে করণীয়

গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত বমি হলে দ্রুত একজন চিকিৎসকে দেখানো উচিত। গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত বমি হলে করণীয় এটি গর্ভাবস্থার স্বাভাবিক অংশ নয় এবং এর পেশাদার কারণ থাকতে পারে, যেমন কোনও খাদ্য অসম্মাননা, প্রতিষ্ঠানের কোন সমস্যা, গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত বমি হলে করণীয় অথবা কোনও আশুপাশুর অসুস্থতা। 

আরও পড়ুনঃ সারোগেসি পদ্ধতি ইসলাম কি বলে?

অতিরিক্ত বমি হলে করণীয় চিকিৎসক আপনার অবস্থার প্রাথমিক পরীক্ষা করে এবং প্রয়োজনে আপনাকে যে কোনও আদর্শ পরিস্থিতি বা চিকিৎসা প্রদান করতে পারেন। গর্ভাবস্থার সমস্যা সম্পর্কে চিকিৎসকের পরামর্শ সর্বদা গুরুত্বপূর্ণ।

বাচ্চাদের অতিরিক্ত বমি হলে করণীয়

বাচ্চাদের অতিরিক্ত বমি হলে করণীয় যদি একটি শিশু অতিরিক্ত বমি করে তাহলে তা সাধারণভাবে একটি অস্বাস্থ্য অবস্থা সৃষ্টি করতে পারে এবং আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ সাহায্য পেতে সাহায্য করতে পারে। অতিরিক্ত বমির কারণ বোঝার জন্য আপনি শিশুটির শারীরিক অবস্থা, খাবার পদ্ধতি, খাওয়া খেতে পেয়ে সমস্যাগুলি পর্যালোচনা করতে পারেন। বাচ্চাদের অতিরিক্ত বমি হলে করণীয় আপনার শিশু যদি অতিরিক্ত বমি করে তবে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন যাতে শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হতে পারে এবং উচিত চিকিৎসা প্রদান করা যাতে সমস্যাটি সমাধান পেতে পারে।

বার বার বমি কিসের লক্ষণ

সাধারণত বমি তখনই হয় যখন আমরা শরীর এর জন্য ক্ষতিকর এমন কিছু খেয়ে ফেলি। বার বার বমি কিসের লক্ষণ বলা যায় যে বমি হওয়া শরীর এর নিরাপত্তামূলক একটি ব্যবস্থা।তবে অসুস্থ হয়ে বমি করাটা মোটেও ভাল লক্ষন না।আবার বারবার বমি করাও ভালো লক্ষণ না। বার বার বমি যেকোনো জটিল রোগের লক্ষণ হতে পারে।তবে যদি কোন কারণ ছাড়াই ঘণ্টায় ঘণ্টায় বা একনাগাড়ে কয়েকদিন বমি হয় তবে একে সাইক্লিক ভমিটিং সিনড্রোম বলে।তবে এই সমস্যা ৩ থেকে ৭ বছর বয়সীদের মধ্যে বেশি লক্ষণীয়।

আরও পড়ুনঃ বাচ্চা পেটে আসলে কোন মাসে কোন সূরা পড়তে হয়

সাধারণ হৃৎপিন্ড এর রোগ,আলসার,অ্যাপেন্ডিসাইটিসন্ডিসাইটিস, খাদ্যনালীতে কোন বাধা ইত্যাদি রোগে বার বার বমি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। বার বার বমি কিসের লক্ষণ বলা যেতে পারে বার বার বমি হওয়া এসব রোগের লক্ষণ। তাছাড়াও বার বার বমি হলে পানি শূণ্যতা হয়। ফলে এটির জন্য কিডনির ফেইলরও হতে পারে।

বমি হলে কি খাবার খাওয়া উচিত

বমি হলে খাওয়ার ব্যাপারে সর্তক থাকতে হবে।কারণ বমি হওয়ার পর শরীর দূর্বল হয়ে যায়।তাই সর্বপ্রথম বমি হলে স্যালাইন খাওয়া উচিত।যাতে পানিশূন্যতা না হয়। বমি হলে কি খাবার খাওয়া উচিত অতিরিক্ত বমি হলে করণীয় কয়েকঘন্টা পর্যন্ত ভারী খাবার না খাওয়াই ভালো।বমি হওয়ার পর বা বমি হলে সহজে হজম হবে এমন খাবার খেতে হবে। নরম খাবার খেতে হবে।

তরল জাতীয় খাবার খাওয়া ভালো।বেশি মসলা যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। বমি হলে ডাব খেতে হবে। বমি হলে কি খাবার খাওয়া উচিত্যযা পেট ঠান্ডা রাখবে। আবার বমি হওয়ার পর আদা খেলে এটি বমি বমি ভাব দূর রাখে। তাছাড়াও পুদিনা পাতা খাওয়া যায়। এটি খাওয়ার ফলে বমি ভাব কেটে যায়। তাই বমি এই সব খাবার খেলে বমি ভাবও কেটে যাবে। আর দ্রুত সুস্থ হয়েও উঠা সম্ভব।

বমি হলে কি ঔষধ খেতে হবে

বমি হলে সর্বপ্রথম স্যালাইন খেতে হবে। তাও যদি কাজ না হয় তবে বমির ওষুধ খেতে হবে। বমি হলে কি ঔষধ খেতে হবে  অতিরিক্ত বমি হলে করণীয় যেসব ওষুধ খাওয়া যায় সেগুলো হল মেকলোজিন, জয়ট্রিপ, হাইডোসিন, ওনডান্সেন্টর ইত্যাদি। 

আরও পড়ুনঃ নবজাতকের বুকে ঠান্ডা লাগলে করণীয় 

এগুলোর মধ্যে জয়ট্রিপ সবচেয়ে কার্যকরী ধরা হয়। আবার বাচ্চাদের জন্য বমির বন্ধ এর ওষুধ আলাদা। বমি হলে কি ঔষধ খেতে হবে  সেগুলো হল Alset, Zofra odt 4mg, Emistat siraf ইত্যাদি। তবে বমি হলে যেকোনো ওষুধ গ্রহণের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াই ভালো।

আমাদের শেষ কথাঃ অতিরিক্ত বমি হলে করণীয়

বমি হওয়া যেমন ভালো তেমনি অতিরিক্ত বমি হওয়া শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। কেননা অতিরিক্ত বমি হলে পানি শূন্যতা হতে পারে। যার ফলে মৃত্যুও ঘটতে পারে।তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। সব সময় স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। গরমকাল হলে পেট ঠান্ডা রাখে এরকম খাবার খেতে হবে। অতিরিক্ত বমি হলে করণীয় বাইরের পানি পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে। 

আর বাইরের পানি পান করলেও তা যেন আর্সেনিকমুক্ত টিউবলের হয়। সবচেয়ে নিরাপদ থাকা যায় নিজে পানি নিয়ে বের হলে। অতিরিক্ত বমি হলে করণীয় তাছাড়াও বাইরের বেশি মসলা তেল যুক্ত খাবার হতে বিরত থাকতে হবে। এভাবে খাবার ও জীবনযাপনে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে বমি সহ আরো নানারোগ থেকে মুক্ত থাকা যায়।