টিয়া পাখির উপকারিতা-টিয়া পাখির বৈশিষ্ট্য

টিয়া পৃথিবীর জনপ্রিয় একটি পাখি, এই পাখি সাধারণত পৃথিবীর অনেক অঞ্চলেই দেখতে পাওয়া যায়। টিয়া পাখি দেখতে অনেক সুন্দর এবং আকর্ষণীয়। বিভিন্ন লোক শখের বসে টিয়া পাখি পালন করে। টিয়া পাখি সুন্দর দেখতে হওয়ার কারণে এই পাখির চাহিদা অনেক।

পোস্ট সূচিপত্রঃটিয়া পাখির উপকারিতা যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে এই পাখির অপকারিতা। বর্তমান সময়ে টিয়া পাখির অনেক চাহিদা। বিভিন্ন মানুষ টিয়া পাখি বাসায় পালন করে। টিয়া পাখি সাধারণত বন জঙ্গলের গাছের উঁচু ডালে বাসা বাঁধে। এই পাখি সাধারণত ফলমূল এবং বিভিন্ন কীটপতঙ্গ খেয়ে থাকে।

পৃথিবীতে অনেক প্রজাতির টিয়া পাখি থাকলেও সব থেকে জনপ্রিয় হল সবুজ টিয়া। সবুজ টিয়া পাখি অনেক সহজেই মানুষের পোষ মানে এবং মানুষের মতো কথা বলতেও পারে। সবুজ টিয়ার লম্বা একটি লেজ এবং বাঁকানো লাল ঠোঁট আছে। এই পাখি সাধারণত ফলমূল এবং বিভিন্ন কীটপতঙ্গ খেয়ে থাকে। এই পাখি বিভিন্ন বন, জঙ্গল, বাগান এবং বসত বাড়িতে দেখতে পাওয়া যায়।

আরও পড়ুনঃ বোয়াল মাছ খেলে কি হয়

টিয়া পাখির বাসস্থান

সবুজ টিয়া পাখি সাধারণত বন জঙ্গল, বিভিন্ন বাগান, আবাদি জমি, পরিত্যক্ত বসতবাড়ি প্রভৃতি জায়গায় বসবাস করে। এই পাখি সব থেকে বেশি দেখতে পাওয়া যায় বিভিন্ন বন জঙ্গল এবং ফল ফলাদির বাগান গুলোতে। তাছাড়া বাংলাদেশের বিভিন্ন পরিত্যক্ত জমিদার বাড়িতে টিয়া পাখির আবির্ভাব অনেক।

পৃথিবীতে মোট ছয় প্রকারের টিয়া পাখি দেখতে পাওয়া যায়। টিয়া পাখি অনেক সুন্দর এবং সুদর্শন হওয়ার কারণে, অনেক মানুষ এই পাখির পালন করে। টিয়া পাখি খুব সহজে মানুষের পোষ মানে এবং মানুষের মত কথা বলতে পারে।সুন্দর এবং শান্ত স্বভাবের এই পাখির চাহিদা অনেক।

জনপ্রিয় এই টিয়া পাখির স্বভাব অত্যন্ত সুন্দর। টিয়া পাখি খুব সহজে মানুষের পোষ মানে। টিয়া পাখিকে ভালো ট্রেনিং দিলে এই পাখি মানুষের মত কথা বলতে পারে। টিয়া একটি শান্ত স্বভাবের পাখি তাই মানুষ একে খুব পছন্দ করে। অত্যন্ত শান্ত স্বভাবের হওয়ার কারণে এই পাখির চাহিদা অনেক।

সাধারণত টিয়া পাখি দানা জাতীয় খাবার খেয়ে থাকে। টিয়া পাখি ফল, ফুল, বিভিন্ন ফলের রস সহ অনেক কীটপতঙ্গ খেয়ে থাকে। তাছাড়া টিয়া পাখি ক্ষেতের পাকা ধান, সরিষা দানা এবং গম খেয়ে থাকে। টিয়া পাখির প্রিয় খাবার হলো বিভিন্ন ফল, ফুল এবং ফলের রস।

অত্যন্ত সুন্দর এই পাখি মানব সভ্যতার কাছাকাছি কোন উঁচু গাছের ডালে বাস করে।অত্যন্ত শান্ত স্বভাবের হওয়ার কারণে এটি মানব সভ্যতার কাছাকাছি থাকে। বাংলাদেশের সবুজ রঙের টিয়া অনেক জনপ্রিয়। পুরো পৃথিবীতে উষ্ণ অঞ্চল গুলিতে টিয়া পাখি দেখতে পাওয়া যায়। টিয়া পাখি সম্পর্কে অনেক তথ্য আজও অজানা, আমাদের উচিত টিয়া পাখি সম্পর্কে জানা।

সাধারণত টিয়া পাখি জানুয়ারি থেকে জুলাই মাস এবং সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাসে প্রজনন করে থাকেন । প্রজননের সময় টিয়া পাখির কাঠ ঠোকরার পুরনো বাসা এবং পরিত্যক্ত বাসা বাড়ির কাঠের কুঠোরে বাসা বাঁধে। একটি টিয়া পাখি সাধারণত তিন থেকে চারটি ডিম পাড়ে।

বিভিন্ন ধর্মের লোকজন টিয়া পাখিকে অনেক ভালো এবং শুভ বলে মনে করে। বিভিন্ন ধর্মের লোকজন বলে টিয়াপাখি বাড়িতে পুষলে বাড়ির শান্তি বজায় থাকে । সুন্দর দেখতে এই পাখির বর্তমান সময়ে চাহিদা অনেক। টিয়া পাখি খুব সুদর্শন হওয়ার কারণে মানুষ একে পুষে। খুব সহজে টিয়া পাখি মানুষের পোষ মানে এবং মানুষের মত কথা বলতে পারে। 

আরও পড়ুনঃ শামুক খেলে কি কি উপকার করে

বর্তমান সময়ের টিয়া পাখির অনেক চাহিদা থাকায়, এই পাখির দাম অনেক। অনেক মানুষ এই পাখি পালন করে অনেক টাকা উপার্জন করে।

আমাদের শেষ কথা

অনেক সুন্দর সুদর্শন এবং শান্ত স্বভাবের এই পাখি পৃথিবীতে অনেক জনপ্রিয়। পৃথিবীর সকল উষ্ণ অঞ্চল গুলিতে কম বেশি টিয়া পাখি দেখতে পাওয়া যায়। পৃথিবীতে ছয় প্রকারের টিয়া পাখি পাওয়া যায়। বাংলাদেশের সব থেকে জনপ্রিয় হল সবুজ টিয়া পাখি। 

এই পাখি খুব শান্ত স্বভাবের হওয়ার কারণে সহজে মানুষের পোষ মানে। মানুষের সাথে ভালো সম্পর্ক হয়ে উঠলে এই পাখি মানুষের মতো কথা বলতে শুরু করে। একটি কথা বলা টিয়া পাখির বাজার মূল্য অনেক। বর্তমান সময়ে অনেক জাতের টিয়া পাখি বিলুপ্তপ্রায়, আমাদের সকলের উচিত এই পাখিকে সংরক্ষণ করা। 

বাংলাদেশের বিভিন্ন বন অঞ্চল, চা বাগান এবং পরিত্যক্ত বসতবাড়িতে এই পাখি দেখতে পাওয়া যায়। আমাদের উচিত টিয়া পাখির উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে ধারণা রাখা।