শশা এর উপকারিতা ও অপকারিতা
শশা উপাদানটি আমরা কম বেশি সকলেই দেখে বা চিনা থাকি। শসা এর উপকারিতা ও অপকারিতা অনেক। আমাদের দৈনন্দিন মানব জীবনে কম বেশি সকলে শসা খেয়ে থাকি। এই শশা দেখতে যতটা না সুন্দর ঠিক তেমনি শসা খেতেও অনেক মজাদার একটি খাবার।
পোস্ট সূচিপত্রঃশশা উপাদানটিতে পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং ছোট-বড় সকলেই শসা খেতে অনেকটা পছন্দ করে থাকেন। শশা এর উপকারিতা ও অপকারিতা এর মধ্যে উপকারটাই বেশি করে থাকেন অপকারের তুলনায়। আমাদের দৈনন্দিন মানব জীবনকে সুস্থ রাখার জন্য শশা এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে সকলেরই জানা বিশেষ প্রয়োজন।
শসার পুষ্টিগুণ
শশা উপাদানটি আমরা কমবেশি সকলেই দেখে বা চিনে থাকি।শসা খেতে ছোট-বড় সকলেই পছন্দ করে থাকেন। এই শসার পুষ্টিগুণ অনেক। শসার পুষ্টিগুণ গুলো হলো ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, রাইবোফ্লাভিন, বি সিক্স, ফোলেট, আয়রন, ক্যালসিয়াম, জিংক ইত্যাদি। আমাদের মানব শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখতে এই শসার অন্ত নেই।
আরও পড়ুনঃ লাউ এর উপকারিতা ও অপকারিতা
তাছাড়াও খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে বিভিন্ন ভাবে উপকার করতে থাকে এই শসা। এজন্য আমরা খুব সহজে বলতে পারি যে, শসার উপকারিতা ও অপকারিতা অনেক।
শসা খাওয়ার নিয়ম
আপনি যে কোন খাবারই খান না কেন তাতে সব খাবার খাওয়ার একটি নিয়ম থাকে।তেমনি শসা খাওয়ার নিয়মও রয়েছে। শসা খাওয়ার নিয়ম হলো :শসা খালি পেটে না খেয়ে সচরাচর শসা খাবার খাওয়ার পর অথবা ভারী খাবার খাওয়ার পর খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। সকালে অথবা টিফিনের সময় শশা খাওয়া যেতে পারে।
আপনি চাইলে শশা দিয়ে সবজি রান্না করেও খেতে পারেন। এছাড়াও শসা দিয়ে তৈরি করা যায় এরকম খাবারও আপনি তৈরি করে খেতে পারেন। শশা এর উপকারিতা ও অপকারিতা এর মধ্যে উপকারটাই বেশি করে থাকেন অপকারের তুলনায়।
শসা খাওয়ার সঠিক সময়
আমাদের মানব জীবনকে সুস্থ রাখার জন্য প্রত্যেকটি খাবারই আমরা সঠিক সময়ে এ খেয়ে থাকি। শসা খাওয়ার সঠিক সময় আপনার জানা আছে কি? শসা খাওয়ার সঠিক সময় হলোলো:শসা খাওয়ার সঠিক সময় হল সকাল বেলা।যদি আপনি সকালে খেতে না পারেন তাহলে দুপুরে খাওয়া যেতে পারে। রাতের বেলায় শসা না খাওয়াই ভালো কেননা রাতের বেলা শসা খাওয়াতে বিভিন্ন রকমের সমস্যা হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ ডুমুর ফল এর উপকারিতা ও অপকারিতা
তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে, খালি পেটে শসা খাওয়া যাবে না।অবশ্যই ভারী খাবার খাওয়ার পরে শসা খেতে হয়। আমাদের দৈনন্দিন মানব জীবনকে সুস্থ রাখার জন্য শশা এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে সকলেরই জানা বিশেষ প্রয়োজন।
ওজন কমাতে শসার উপকারিতা
শশা উপাদানটি আমরা কম বেশি সকলেই চিনি এবং এই শশা উপাদানটি ছোট বড় সকলেই খেতে অনেক পছন্দ করেন। শসা আমাদের মানব শরীরের জন্য অনেক উপকার করে থাকে। ওজন কমাতে শসার উপকারিতা অনেক। এই শসার বীজ আমাদের মানব শরীরে অতিরিক্ত জল কমাতে অনেক ভাবে সহায়তা করে। মানব শরীরের মাংসপেশীকে শিথিল রাতে অনেক সাহায্য করে এবং পেট ফুলে যাওয়ার সমস্যা থেকে সমাধান দিয়ে থাকেন খুব সহজে।
এছাড়াও শসার রস আমাদের মানব শরীরের টক্সিন দূর করতে অনেক ভূমিকা পালন করে। এসব উপকার থেকে আমাদের মানব শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে। শসা এর উপকারিতা ও অপকারিত অনেক। এজন্য বলা যায় যে, শশা এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমাদের সকলেরই বিস্তারিত জানা প্রয়োজন।
রাতে শসা খাওয়ার অপকারিতা
রাতে শশা খাওয়ার অপকারিতারর বেশ কয়েকটি লক্ষণ দেখা যায়। সচরাচর রাতের বেলা শসা না খাওয়াই ভালো। বিভিন্ন বিজ্ঞানীগণ এবং বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ বলেছেন যে রাতের বেলা কখনোই শসা খাবেন না। রাতের বেলা শসা খেলে বদ হজম হতে পারে। খুব ভারী খাবারের সঙ্গে রাতে শসা খাবেন না। আপনার যদি পেটের সমস্যা থাকে তাহলে রাতে শসা না খাওয়াই ভালো। ঘুমের ব্যাঘাত ও ঘটতে পারে এই শশা খাওয়ার জন্য।
আরও পড়ুনঃ স্ট্রবেরি এর উপকারিতা ও অপকারিতা
এছাড়াও রাতের বেলা শসা খেলে ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য বলা যায় যে, রাতে শসা খাওয়ার অপকারিতা হিসেবে বেশ অনেক কয়েকটি দিক দেখা যায়। আমাদের দৈনন্দিন মানব জীবনকে সুস্থ রাখার জন্য শশা এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে সকলেরই জানা বিশেষ প্রয়োজন।
শসা খাওয়ার অপকারিতা
প্রত্যেকটি খাবারের উপকারিতা ও অপকারিতা দুইটি দিকে থাকে। শসার যেমন উপকারিতা রয়েছে ঠিক তেমনি শসা খাওয়ার অপকারিতাও রয়েছে। অতিরিক্ত শসা খাওয়ার অপকারিতার মধ্যে অন্যতম হলো কিডনিতে সমস্যা হওয়া। অতিরিক্ত শসা খেলে কিডনিতে অনেক রকমের সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও অতিরিক্ত শসা খাওয়ার ফলে হাইপারক্যালেমিয়ার মতো রোগ হতে পারে।
আর ওই সময় শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে গিয়ে গ্যাস হওয়া থেকে শুরু করে পেট ফুলে যাওয়া ইত্যাদি অনেক রকমের সমস্যা দেখা দেয়।শশা এর উপকারিতা ও অপকারিতা এর মধ্যে উপকারটাই বেশি করে থাকেন অপকারের তুলনায়।
শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এরমধ্যে উপকারটাই বেশি পাওয়া যায় অপকারের তুলনায়।শসা খাওয়ার উপকারিতা হিসেবে শসার অনেক রকমের ভিটামিন পাওয়া যায়, সেগুলো হলো: ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, রাইবোফ্লাভিন, বি সিক্স, ফোলেট,আয়রন, ক্যালসিয়াম, জিংক ইত্যাদি। আমাদের মানব শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখতে এই শসার অন্ত নেই। তাছাড়াও খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে বিভিন্ন ভাবে উপকার করতে থাকে এই শসা।
অন্যদিকে অতিরিক্ত শসা খেলে আমাদের মানব শরীরে বেশ কয়েকটি ক্ষতিকর দিক দেখা যায়। অতিরিক্ত শসা খেলে কিডনিতে অনেক রকমের সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও অতিরিক্ত শসা খাওয়ার ফলে হাইপারক্যালেমিয়ার মতো রোগ হতে পারে। আর ওই সময় শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে গিয়ে গ্যাস হওয়া থেকে শুরু করে পেট ফুলে যাওয়া ইত্যাদি অনেক রকমের সমস্যা দেখা দেয়।
আমাদের শেষ কথা
আমাদের দৈনন্দিন মানব জীবনে শসা এর উপকারিতা ও অপকারিতা অনেক ভূমিকা পালন করে। প্রতিনিয়ত নিয়ম মেনে শসা খেলে আমরা বেশ কয়েকটি রোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারি। আবার অতিরিক্ত শসা খেলে অথবা নিয়ম না মেনে শসা খেলে বিভিন্ন রকমের সমস্যা হয়ে থাকে। তাই আমরা সকলেই প্রতিনিয়ত নিয়ম মেনে শসা খাব এবং আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখবো।
fasttechit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url