ঈগল পাখি কত বছর বাঁচে

পুরো পৃথিবীতে ঈগল একটি জনপ্রিয় পাখি। এই পাখি পৃথিবীর প্রায় সকল অঞ্চলেই দেখতে পাওয়া যায়। ঈগল একটি শিকারি পাখি নামে পরিচিত। ঈগল পাখি ইঁদুর, মাছ, খরগোশ সহ আরো অনেক প্রাণী শিকার করে থাকে।
https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhTmXfKszbg7hB8jcnn7opXP9TA7vkNxkDCcFScc23AYLF-uqmsKoVP_LIchLPdFY730l9YYQTcyhm3_ml-Dqzi-qaI9eg8NQXRi5jN3GV7P3XGoId7lZukht3m-pfWih2DwB2cfFXUC_jOgKppaQiXjic7C1wONJ9GMs00SpzKZJ-tf9rdBNgCj2ANoyU/s320/%E0%A6%88%E0%A6%97%E0%A6%B2%20%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A6%BF%20%E0%A6%95%E0%A6%A4%20%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0%20%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%9A%E0%A7%87.jpg

পোস্ট সূচিপত্রঃঈগল পাখি সম্পর্কে অজানা তথ্য অনেক রয়েছে। ঈগল পাখি সাধারণত গাছের উঁচু ডালে বা পাহাড়ের ঢালে বাসা তৈরি করে। ঈগল পাখি আকাশে অনেকক্ষণ পর্যন্ত উড়ে থাকতে পারে। এই পাখির দৃষ্টিশক্তি তুখর। আকাশের অনেক উঁচু থেকে মাটিতে একটি ছোট্ট ইদুরকে খুব সহজেই দেখতে পারে। এ পাখি সম্পর্কে অনেক তথ্য এখনো অজানা।

ঈগল পাখির বৈশিষ্ট্য

ঈগল পাখি সাধারণত বৃহৎ আকারের হয়ে থাকে। এই পাখির গায়ে প্রচন্ড শক্তি থাকে এবং এটি একটি শিকারী পাখি। ঈগল সাধারণত বন জঙ্গলে বসবাস করে থাকে। এই পাখি সাধারণত গাছের উঁচু ডালে বাসা তৈরি করে। এই পাখি ছোট যাতে প্রাণী শিকার করে জীবন ধারণ করে। এই পাখির তীক্ষ্ণক নখ এবং শক্তিশালী ঠোঁট আছে।

ঈগল পাখির খাবার

শিকারী এই পাখি সাধারণত মাংসাশী পাখি। ঈগল ছোট ছোট ইঁদুর, কাঠবিড়ালি, মাছ, ছোট পাখি, খরগোশ ইত্যাদি পশু পাখিকে শিকার করে থাকে । এই পাখির শরীরে মারাত্মক শক্তি থাকার কারণে এটি একটি শিকারি পাখি নামে পরিচিত। ঈগল তার থেকে ছোট পাখি এবং ছোট পশুকে শিকার করে জীবন ধারণ করে।

ঈগল পাখি কত বছর বাঁচে

বৃহতাকার এবং শক্তিশালী এই পাখিটি ৪০ থেকে ৫০ বছর বাঁচতে পারে। ঈগল পাখি জীবনধারণের জন্য ছোট ছোট পশুপাখি কে স্বীকার করে। এই পাখি উচু উঁচু গাছপালা এবং পাহাড় পর্বতের চূড়ায় বাসা তৈরি করে সেখানে বাস করে। ঈগল পাখির দৃষ্টিশক্তি অনেক তুখোর হওয়ার কারণে ছোট ছোট শিকার করতে এর সুবিধা হয়।

ঈগল পাখির বাসস্থান

এই পাখি সাধারণত বোন জঙ্গলে উঁচু উঁচু গাছপালায় বসবাস করে। বিভিন্ন অঞ্চলের ঈগল পাহাড় পর্বতের চূড়ায় বসবাস করে। আমাদের ঈগল সম্পর্কিত তথ্য জেনে রাখা প্রয়োজন। ঈগল পাখি কোন নদীর ধারে জলাশয় এর ধারে বাসা তৈরি করে থাকে। নদীর ধারে এবং জলাশয়ের ধারে বাসা তৈরি করার ফলে এর মাছ শিকার করতে সুবিধা হয়।

ঈগল পাখির প্রজনন

ঈগল পাখি সাধারণত মানব সভ্যতা থেকে দূরে এবং মাটি থেকে প্রায় একশ ফুট উপরে বাসা তৈরি করে থাকে। একটি বাসায় পুরুষ ঈগল এবং স্ত্রী ঈগল একসাথে থেকে সেখানে প্রজনন ঘটায়। আত্মরক্ষার জন্য এদের অস্ত্র হল এদের নখ। 

ঈগলের নখ অনেক তীক্ষ্ণ হয় ফলে আত্মরক্ষা এবং শিকারে এদের সুবিধা হয়। ঈগল সাধারণত ৫ থেকে ৬ টি ডিম পাড়ে,তার মধ্যে দুই থেকে তিনটি বাচ্চাই বড় হতে পারে। ঈগল তার অন্য দুর্বল বাচ্চাদের বাসা থেকে ফেলে দিয়ে মেরে ফেলে।

ঈগল পাখির বাসার ধরন

শিকারী এই পাখি ঈগলের বাসার ধরন অনেকটাই ভিন্ন রকম। ঈগল সাধারণত মানব সভ্যতা থেকে দূরে এবং মাটি থেকে প্রায় ১০০ ফুট উপরে বাসা তৈরি করে। ঈগল সাধারণত খড়কুটা এবং ছোট ছোট ডাল পালা দিয়ে বাসা তৈরি করে। একটি প্রাপ্তবয়স্ক ঈগল সর্বোচ্চ মাটি থেকে ১১০০ ফুট উচ্চতায় উড়তে পারে।

ঈগল পাখির রং

ঈগল পাখির গায়ের রং বাদামী, সোনালী এবং সাদা মিশ্রিত। একটি ঈগল মাটিতে শিকার না দেখা পর্যন্ত আকাশে ঘুরপাক খেতে থাকে। মাটিতে শিকার দেখার পর তারা উপর থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে, ফলে স্বীকার করতে অনেক সহজ হয়।

ঈগল সম্পর্কে অজানা তথ্য

ঈগল সম্পর্কে অজানা তথ্য অনেক রয়েছে। বর্তমানে অনেক রিসার্চ চালানোর ফলে ঈগল সম্পর্কে অনেক তথ্য বের হয়ে এসেছে। রিসার্চে দেখা যায় ঈগলের দৃষ্টিশক্তি অনেক ভালো ফলে এরা আকাশের অনেক উঁচু থেকে মাটিতে থাকা ছোট স্বীকার দেখতে পারে। এদের শ্রবণশক্তি অনেক ভালো। ঈগলের যেমন উপকারিতা আছে তেমনি অপকারিতা ও আছে। আমাদের উচিত ঈগল সম্পর্কে অজানা তথ্য খুঁটিয়ে বের করা।

ঈগল কেন পাখির রাজা

সুবিশাল দেহের অধিকারী এই পাখিকে পাখিদের রাজা বলা হয়। এই পাখির শরীরে প্রচন্ড শক্তি এবং শিকার করার দক্ষতা অনেক সেই জন্য এই পাখিকে পাখিদের রাজা বলা হয়। তাছাড়া অনেক কারণে এই পাখিকে পাখিদের রাজা বলা হয়, যেমন এই পাখির দৃষ্টিশক্তি অন্য পাখির তুলনায় অনেক বেশি এবং অন্য পাখির তুলনায় এই পাখির গায়ে শক্তি বেশি।

আমাদের শেষ কথা

ঈগল একটি পৃথিবীর বিখ্যাত পাখি, এই পাখি দেখতে অনেক বিশাল, এবং এর গায়ে প্রচন্ড শক্তি থাকার কারণে একে পাখিদের রাজা বলা হয়। বর্তমানে ইগলাস বিলুপ্তপ্রায়, আমাদের উচিত এই পাখিকে সংরক্ষণ করা। ঈগল সাধারণত বিভিন্ন পশু পাখি এবং মাছ শিকার করে থাকে। ঈগল মানব সভ্যতা থেকে অনেক দূরে এবং মাটি থেকে প্রায় একশরও বেশি ফুট উচ্চতায় বাসা তৈরি করে। 

ঈগল সম্পর্কে অনেক তথ্যই আজ অজানা, আমাদের উচিত ঈগল সম্পর্কিত তথ্য জেনে রাখা। বর্তমান সময়ে ঈগল প্রায় বিলুপ্ত একটি পাখির এই পাখির অস্তিত্ব দিনে দিনে কমে যাচ্ছে। আমাদের সকলের উচিত ঈগল সম্পর্কিত তথ্য জেনে রাখা এবং এই পাখিকে সংরক্ষণ করা।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

fasttechit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url