করলা খাওয়ার উপকারিতা
আমরা দৈনন্দিন মানব জীবনে অনেক খাবার খেয়ে থাকি,এরমধ্যে করলা উপাদানটি অন্যতম। করলা খাওয়ার উপকারিতা অনেক। আমাদের মানব জীবনকে সুস্থ রাখার জন্য করলা বিভিন্ন ভাবে উপকার করে থাকে। করলা এর পুষ্টিগুণ অনেক এবং এই করলাতে রয়েছে উপকারিতা।
পোস্ট সূচীপত্রঃআমাদের নিত্য নতুন খাবারের মধ্যে করলা একটি ভালো খাবার, যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকার করে থাকে। ছোট বড় সকলেই এই করলা চিনে থাকে। করলা খাওয়ার উপকারিতা হিসেবে পেটের সমস্যার সমাধান বেশি ধরা হয়ে থাকে। করলা উপাদানটি তেতো হওয়ায় ছোট বাচ্চারা এটি খেতে চায়না অথচ এই উপাদানটি ছোট বাচ্চাদের জন্য অনেক উপকার করে থাকে।
করলা খেলে কি উপকার হয়
আপনি কি জানেন যে, করলা খেলে কি উপকার হয়? আমাদের দৈনন্দিন মানব জীবনে করলা অনেক উপকার করে থাকে। এসব উপকারের মধ্যে অন্যতম হলো এটি লিভার ইনফ্লেমেশন হতে পারে। এই করলা আমাদের মানব শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে অনেক সাহায্য করে এবং ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও অনেক উপকার করে।
বিভিন্ন বিজ্ঞানীগণ ও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ বলেছেন যে, তেতো করোলা বেশি খেলে লিভার এনজাইমকে উন্নত করার পাশাপাশি লিভারের প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। এজন্যই বলা যায় যে, করলা এর উপকারিতা ও অপকারিতা অনেক।
করলা খাওয়ার পর কি খাওয়া যাবে না
আমরা যে কোন খাবারের পর অন্য খাবার খেয়ে থাকি কিন্তু আমরা একটি বারের জন্যও ভাবি না যে প্রথম যে খাবারটি খেলাম সেই খাবারটির পরের খাবার খাওয়া যাবে কিনা। আমাদের সকলের জানা দরকার যে,করলা খাওয়ার পর কি খাওয়া যাবে না? আমরা সচরাচর করলা খাবার পর সব ধরনের খাবারই খেয়ে থাকি কিন্তু এটা করা যাবে না কেননা বেশ কিছু খাবার রয়েছে যা করলা খাবার পরে খাওয়া যাবে না।
করলা ভাজি অথবা করলা তরকারি খাবার পরে মুলা খাওয়া যাবেনা কেননা এতে আপনার বুক চলতে পারে অথবা প্রচন্ড পরিমাণে এসিডিটি হতে পারে। এছাড়াও করলা খাবার পর দই জাতীয় খাবার খাওয়া যাবেনা বলে অনেক বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ বলেছেন। আমাদের দৈনন্দিন মানব জীবনকে সুস্থ রাখতে করলা এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমাদের সকলেরই জানা প্রয়োজন।
করলা গরম নাকি ঠান্ডা
করলা একটি পুষ্টিকর খাবার। ছোট বড় সকলেই আমরা এই করলা উপাদানটি দেখে বা চিনে থাকি। আমাদের এই বিষয়েও জানা দরকার যে, করলা গরম নাকি ঠান্ডা? আয়ুর্বেদিক নীতি অনুসারে করলা একটি ঠান্ডা খাবার হিসেবে বিবেচিত করা হয়েছে।
এই করলা শীতল করার বৈশিষ্ট্য এবং এটি দ্বারা শরীরের অতিরিক্ত তাপ ও পিট্টার ভারসাম্য বজায় রাখতে বিভিন্নভাবে সহায়তা করে থাকে। করলা খাওয়ার উপকারিতা হিসেবে পেটের সমস্যার সমাধান বেশি ধরা হয়ে থাকে।
তেতো করলার তেতো ভাব দূর করা কি ভালো
করলা খুবই পুষ্টিকর একটি উপাদান। কিন্তু অধিকাংশ সবাই এই করলা খেতে পছন্দ করেন না,কেননা এই করলা প্রচন্ড পরিমাণে তেতো হয়ে থাকে। আপনি কি জানেন যে, তেতো করোলা তেতো ভাব দূর করা কি ভালো? এ বিষয়ে আমাদের সকলেরই জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। করলার তেতো অংশটুকু তেতো হলেও এটিতেই থাকে প্রচন্ড পরিমাণে পুষ্টিকর উপাদান।
এজন্য তেতো করলাতে তো ভাব দূর করা ঠিক নয় কিন্তু যদি কেউ তেতো করলা খেতে না পারেন তাহলে করোলা সিদ্ধ করে সিদ্ধ করা পানি টুকু ফেলে দিতে হবে, এতে তেতো তেতো ভাব অনেকটাই কমে যাবে। করলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমাদের জানা প্রয়োজন কেননা এই করলা আমাদের দৈনন্দিন মানব জীবনকে অনেক রোগ জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা করে থাকে।
গর্ভাবস্থায় তেতো করলা খাওয়া যাবে কি
আমাদের ছেলে-মেয়ে সকলেরই জানা দরকার যে, গর্ভাবস্থায় তেতো করলা খাওয়া যাবে কি? গর্ভাবস্থায় তেতো করলা খাওয়া যাবে কারণ এই করলায় থাকে ক্যালোরি কম এবং ফাইবার থাকে অনেক বেশি পরিমাণ যা একটি গর্ভবতী মহিলাদের জন্য খুবই চমৎকার একটি খাবার।
এই করলা গর্ভবতী মহিলাদের স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করে থাকে এবং অতিরিক্ত খাওয়া রোধ করে। এজন্য আমরা খুব সহজেই বলতে পারি যে, করলা খাওয়ার উপকারিতা অনেক।
করলা গাছের যত্ন
আমাদের কম-বেশি সকলেরই জানা দরকার যে, করলা গাছের যত্ন কিভাবে নিতে হয়? ৬ থেকে ৭ ঘন্টা সরাসরি সূর্যের আলো যেন করলা গাছের উপর পরে এরকম জায়গায় এই গাছটি লাগাতে হবে। গাছটিতে পর্যাপ্ত আলো যেন লাগে এবং বায়ু সঞ্চালনের সাথে কিছু আংশিক ছায়াও বৃদ্ধি পেতে পারে। করলা গাছটি যেন ঠিকঠাক বৃদ্ধি পেতে পারে সেরকম জায়গা নির্ধারণ করে গাছটি লাগাতে হবে।
প্রতিনিয়ত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি দিতে হবে এবং গাছটিতে যেন পোকামাকড় না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এভাবেই একটি করলা গাছে যত্ন নিতে হয়। করলা খাওয়ার উপকারিতা অনেক, তবে সেটা অবশ্যই ভালো জাতের করলা হতে হবে।
তিতা করলার জন্য কোন সার ভালো
আপনি কি জানেন যে, তিতা করলার জন্য কোন সার ভালো? করলা চাষের জন্য অনেকেই অনেক রকম সার ব্যবহার করে থাকেন। তবে সচরাচর করলা চাষের জন্য সুপারিশকৃত ইউরিয়া ডোজ এবং ভার্মি কম্পোস্টের ৫০% সংমিশ্রণের সুপারিশ করা হয়, যেটা এই পরিস্থিতিতে জৈব সারের সুবিধার উপর ভিত্তি করে উন্নত বৃদ্ধি, ফলন এবং গুণমানের দিকে পরিচালিত করে থাকে। যদি আপনি করলার জন্য এসব সার ব্যবহার করেন তাহলে আপনি করলা খাওয়ার উপকারিতা পাবেন।
আমাদের শেষ কথা
করলা আমাদের মানব জীবনকে বিভিন্ন ভাবে উপকার করে থাকে। করলায় থাকে ক্যালোরি কম এবং ফাইবার থাকে অনেক বেশি পরিমাণ,যেটা গর্ভাবস্থায় মহিলাদের জন্য অনেক উপকার। এরকম আরও অনেক উপকার করে থাকে এই করলা। আমাদের দৈনন্দিন মানব জীবনকে সুস্থ রাখার জন্য করলার ভূমিকা অনেক। এজন্যই আমরা খুব সহজেই বলতে পারি যে, করলা খাওয়ার উপকারিতা অনেক।
fasttechit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url