রক্তে হিমোগ্লোবিন কমার লক্ষণ

আমাদের রক্তে তিন ধরণ এর কণিকা থাকে। এর মধ্যে একটি হল লোহিত রক্ত কণিকা। আর এই লোহিত রক্ত কণিকাতেই থাকে হিমোগ্লোবিন। এই হিমোগ্লোবিন এর জন্যই রক্তের রং লাল হয়।হিমোগ্লোবিন এর কাজ হল দেহের সব জায়গায় প্রয়োজনীয় অক্সিজেন রক্তের মাধ্যমে পৌঁছায় দেওয়া। 

https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjgGFja4cBgjdHghnvXwEM7GdM2xj_43XOOG1NBGpeM_1fAgLsyfAVzO4mCjj_29vLp2tGLy5QDgq5FxsA4FU9xytamUoROxOyNWbrG2JjpZQLbKWgk_ZLtD5v1ihoR_bfprEmxcZX9Tb9CKDAiqCMQtLwaDOb4QrVPdCV31NhcKzTGaDzZgeLJ3GnyvI8/s320/%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%87%20%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A8%20%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%20%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%A3.jpg

পোস্ট সূচিপত্রঃতবে রক্তে এই হিমোগ্লোবিন কমে গেলে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যেমন-শ্বাসকষ্ট,ক্ষুধামন্দা ইত্যাদি। এটির কমে যাওয়া একজন মানুষের জীবনঝুঁকির কারণও হতে পারে।

রক্তে হিমোগ্লোবিন কমার লক্ষণ

রক্তে হিমোগ্লোবিন কমা এবং এর সাথে সম্পর্কিত লক্ষণ হতে পারে:

হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার ফলে মানুষের স্বাস্থ্য সুখ কমে যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ একটি হল শারীরিক দুর্বলতা।

রক্তে হিমোগ্লোবিন কমার লক্ষণ গুলো হল ত্বক ফ্যাকাশে দেখানো। আবার চুল বেশি পড়া, নখ ভেঙে যাওয়া এসব সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আবার রক্তে হিমোগ্লোবিন কমার লক্ষণ এর মধ্যে পড়ে হল ফলে হৃৎপিন্ডে  ব্যাথা অনুভব করা।ব্যাথার নানান ধরণ হতে পারে। আবার চোখের ফুলা অবস্থা, শ্বাসকষ্ট অনুভব করা, একটুতেই ক্লান্ত হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। এরূপ লক্ষণ দেখা দিতে পারে রক্তে হিমোগ্লোবিন কমলে।

রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি করা উচিত

রক্তে হিমোগ্লোবিন কমেছে এটা অনুভব করলেই প্রথম কাজ  চিকিৎসকে দেখাবনো এবং তার নির্দেশনা অনুসরণ করা। চিকিৎসক স্বাস্থ্য অবস্থা নিরীক্ষণ করে এবং টেস্টের মাধ্যমে হিমোগ্লোবিন পরিমাণ জেনেএবং প্রাপ্ত নির্দেশনা দিবেন। সাধারণভাবে, রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি করা উচিত এ সম্পর্কে চিকিৎসক বলে দিবেন। 

কি রকম  খাবার খেতে হবে, মৃদু  ব্যায়াম, ঔষধ, রক্ত নিতে হবে কি না সাথে ইত্যাদি ডাক্তার জানিয়ে দিবে। তবে, সমস্যাটি  চিকিৎসা প্রয়োজনে এটি নির্ভর করবে।তবে কিছু খাবার খেলে হিমোগ্লোবিন এর ঘাটতি পূর্ণ হয়।সেগুলো খেতে হবে। সর্বোপরি ডাক্তার এর নির্দশনা মেনে চলতে হবে।

রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে শরীরে কি কি সমস্যা দেখা যায়

রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে, শরীরে নিম্নলিখিত সমস্যা দেখা যেতে পারে:

১.  হিমোগ্লোবিন কমলে রক্তে আনেমিয়া দেখা দিতে পারে। এই সমস্যায় রক্তের অক্সিজেন বহন করার ক্ষমতা কমে যায়। অতিরিক্ত দুর্বলতা, অস্বাস্থ্যতা, শ্বাসকষ্ট এবং জ্বরের সমস্যা দেখা দেয়।

২. হিমোগ্লোবিনের কারণে রক্ত কমে যায়। দেহের বিভিন্ন অংশে রক্ত পৌঁছতে সমস্যা হয়।।

৩. চিন্তা ও দু:খ: হিমোগ্লোবিন কম হলে মানসিক স্বাস্থ্যে সমস্যা হতে পারে, সময়ে চিন্তা, দু:খ  অবস্থা যেগুলি হিমোগ্লোবিনের স্তরে প্রভাব ফেলতে পারে।

এই সমস্যা সমাধান বের করতে হলে সর্বাধিক ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। ডাক্তার হিমোগ্লোবিনের স্তর নির্ধারণ করবেনএবং প্রয়োজনে চিকিৎসা বলে দিবেন।

কি কি খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়বে

রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর জন্য আপনি নিম্নলিখিত খাবার এবং কি কি খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়বে  কাজে নিম্নলিখিত সময় ব্যয় করতে পারেন:

১. আয়রন-রিচ খাবার: আয়রন শক্তিশালী খাবার যেমন পালংশাক,  ডাল, মাংস, মাছ, ডিম, পেয়াজ,  ইত্যাদি সেবন করা হলে হিমোগ্লোবিন বাড়তে সাহায্য করতে পারে।

২.ভিটামিন C: ভিটামিন সি যুক্ত থাকা  খাবার যেমন লেমন, কমলা, আম,  বা স্ট্রবেরি খেতে হবে।যা হিমোগ্লোবিন উন্নত করতে সাহায্য করবে।

৩. সামুদ্রিক খাবার গ্রহণ করতে হবে

৪. রঙিন শাক সবজি খেতে হবে।

৫. ডাল, বিন জাতীয় খাবার খেতে হবে।

৬. নিয়মিত ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়াম সাহায্য করতে পারে হিমোগ্লোবিন স্তর উন্নত করতে।

৭. প্রয়োজনে রক্ত নিতে হবে। 

ডাক্তারের পরামর্শ এবং হিমোগ্লোবিন বাড়ে এরূপ খাবার খেয়ে রক্তে হিমোগ্লোবি বাড়াতে হবে। 

আমাদের শেষ কথা

হিমোগ্লোবিন হল রক্তে অবস্থিত প্রোটিন।যেহেতু হিমোগ্লোবিন মানবদেহের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অংশ তাই এর প্রতি আমাদের যত্নশীল হতে হবে। আমাদের খাদ্যতালিকা তে হিমোগ্লোবিন যাতে বাড়ে এই জাতীয় খাবার রাখতে হবে। ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খেতে হবে।কলিজা, ডিম, দুধ এসব খেতে হবে। এভাবে আমার খাদ্যতালিকা সাজিয়ে পুষ্টিকর খাবার খেয়ে হিমোগ্লোবিন এর পরিমাণ বজায় রাখার চেস্টা করতে পারি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

fasttechit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url