কিডনির পাথর দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায়
বাংলাদেশে কিডনিতে পাথর একটি সাধারণ সমস্যা। এটি বিভিন্ন কারণে দেখা যেতে পারে। কিডনি পাথর হল একটি ছোট শক্ত পাথরের মতো পদার্থ যা কিডনির দেয়ালে তৈরি হয়। এটি একটি সাধারণ অবস্থা যা সাধারণত স্বল্পস্থায়ী হয়। সৌভাগ্যবশত, এটি একটি চিকিৎসাযোগ্য অবস্থা এবং সাধারণত কোনো স্থায়ী ক্ষতি হয় না।
পোস্ট সূচিপত্রঃকিডনির পাথর, অন্যথায় ইউরোলিথিয়াসিস নামে পরিচিত, ক্যালসিয়াম এবং লবণের মতো খনিজ পদার্থ দিয়ে তৈরি ছোট, শক্ত জমা। যখন এই খনিজ এবং লবণগুলি সময়ের সাথে সাথে আপনার কিডনির দেয়ালে তৈরি হয়, তখন তারা পাথর হয়ে যায় যা কিডনিতে থাকে বা প্রস্রাবের মাধ্যমে চলে যায়। এই পাথর পাস খুব বেদনাদায়ক হতে পারে। কিডনিতে পাথর দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানব।
কিডনির পাথর দূর করার ১০ টি ঘরোয়া টোটকা
কিডনির পাথর দূর করার দশটি ঘরোয়া টোটকা নিচে দেওয়া হলঃ
আমাদের দেশে অধিকাংশ লোকই কিডনিতে পাথর জমার মত একটি সমস্যায় ভুগছে । কিডনিতে পাথর জমা একটি সাধারণ সমস্যা। পাথরের আকার ও সংখ্যার উপর নির্ভর করে তা দূর হতে কয়েক সপ্তাহ বা মাস সময় লাগতে পারে। নারীদের তুলনায় পুরুষদের কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
আর একবার কিডনিতে পাথর হওয়ার ১০-১৫ বছরের মধ্যে আরও পাথর হতে পারে। এটি একটি যন্ত্রণাদায়ক অবস্থা, যা স্বাভাবিক জীবনকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। চলুন তাহলে জেনে নিই কিডনিতে পাথর দূর করার ১০ টি ঘরোয়া টোটকা:
- বেশি বেশি পানি পান করা
- ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার খাওয়া
- লেবুর রস পান করা
- সোডিয়াম যুক্ত খাবার না খাওয়া
- প্রাণিজ প্রোটিন সমূহ খাবার না খাওয়া
- আপেলের রস পান করা
- ডালিম খাওয়া
- থানকুনির পাতা খাওয়া
- ভুট্টার গুড়া পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়া
- পরিশেষে বেশি শাক-সবজি খাওয়া
কিডনির পাথর দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায়
কিডনির পাথর দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে তথ্য-
কিডনিতে পাথর জমা রোধ করার জন্য অনেক ধরনের ঘরোয়া উপায় রয়েছে। এগুলো হয়তো অনেকে জানে আবার অনেকে জানে না। চলুন তাহলে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে আসি।
কিডনিতে পাথর যেমন একটি সাধারন সমস্যা তেমন এটি ভয়াবহ হতে পারে। সেই প্রাথমিক পর্যায়টা যতটা সাধারন এর উচ্চ পর্যায়টা ততটাই ভয়ানক। প্রাথমিক পর্যায়ে এটি ঘরোয়া উপায় এর মাধ্যমে দূর করলে ভবিষ্যতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না। ঘরোয়া উপায় সমূহ নিচে দেওয়া হল:
- বেশি বেশি পানি পান করা: প্রতিদিন যদি আমরা বেশি বেশি পানি পান করি তাহলে কিডনিতে পাথর জমার মতো আরও বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে বেঁচে থাকতে পারি। আমাদের প্রতিদিন উচিত দুই থেকে তিন লিটার পর্যন্ত পর্যাপ্ত পানি পান করা। প্রচুর পানি পান করতে হবে। খুব ছোট আকারের পাথর দেখা দিলে পরিমাণমতো পানি পানের মাধ্যমে তা সারিয়ে তোলা সম্ভব। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
- তুলসী পাতায় থাকা অ্যাসিটিক অ্যাসিড কিডনির পাথরকে ভেঙে ফেলতে সাহায্য করে। প্রতিদিন অন্তত দুবার করে তুলসীর রস খান। আর তুলসীর পাতা দিয়ে চা করেও পান করতে পারেন।
- পাতিলেবুর রসে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড ক্যালসিয়ামজাত পাথর তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করে এবং ছোট পাথরগুলোকে ভেঙে বের করে। রোজ সকালে পানির সঙ্গে লেবুর রস মিশ্রিত করে পান করুন অথবা দিনের যেকোনো সময়ে লেবুর রস পান করুন।
- ডালিম রসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট কিডনিকে সুস্থ রাখতে এবং পাথর ও অন্যান্য টক্সিনকে দূর করতে সাহায্য করে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সারাদিনে কতবার এটি পান করবেন তা ঠিক করুন।
- আপেল সিডার ভিনিগারে থাকা অ্যাসিটিক অ্যাসিড কিডনিতে পাথর দূর করে এবং ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে। আপেল সিডার ভিনিগারের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ পানি মিশিয়ে পান করুন। তবে একদিনে ১৬ চামচের বেশি খাবেন না।
- মেথি বীজ কিডনিতে পাথর প্রতিরোধ ও চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, বীজগুলো কিডনিতে জমাকৃত পাথর হ্রাস করে ও কিডনির পাথর প্রতিরোধ করে। এক কাপ ফোটানো জলে ১ থেকে ২ চা চামচ শুকনো মেথি বীজ দিন। এটি প্রতিদিন পান করুন।
- কালিজিরা বীজ একটি গবেষণা অনুযায়ী, কালিজিরার বীজ কিডনিতে ক্যালসিয়াম অক্সালেট স্টোন গঠনে উল্লেখযোগ্যভাবে বাধা দেয়। ২৫০ এমএল গরম জলে হাফ চা চামচ শুকনো কালিজিরা বীজ দিন। এটি দিনে দুইবার করে পান করবেন।
আমরা এতক্ষণ কিডনির পাথর দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানলাম।
কিডনির পাথর অপসরণের জন্য ৮ টি পদ্ধতি
কিডনিতে পাথর জমা একটি সাধারণ সমস্যা হলেও এটি পরবর্তীতে অনেকভাবে হতে পারে সেই কারণে এটি অতি দ্রুত অপসারণ করে নিতে হবে। আমাদের মধ্যে অনেকে হয়তো জানে না যে এটা কিভাবে অপসারণ করা সম্ভব। তাহলে চলুন আমরা কিডনিতে পাথর অপসারণের পদ্ধতি সমূহ জেনে নেই।
অথর অপসারণের আটটি পদ্ধতি নিচে দেওয়া হল:
১. প্রচুর পানি পান করাঃ
দিনে দুই থেকে তিন লিটার করে পানি পান করা। কিডনিতে পাথর হওয়ার প্রধান কারণ হলো সল্প পরিমাণে পানি পান করা ।এ কারণে আমাদের সকলের উচিত বেশি বেশি পানি পান করা।
২. বেকিং সোডাঃ
বেকিং সোডা তে বিভিন্ন ধরনের এসিড পাওয়া যায়। যার ফলে আস্তে আস্তে কিডনির পাথর অপসারণ হয়।
৩. তরমুজ বিচের চাঃ
একটি রেচক গুনের জন্য অত্যন্ত বিখ্যাত । তাছাড়া এটি এখন কিডনির পাথর দূর করার জন্য বেশ জনপ্রিয়।
৪. সেলারি সাকঃ
শাকসবজি আমাদের দেহকে সুস্থ রাখতে অনেক সহায়তা করে। তেমনি সেলারি শাকটি খেলে কিডনি থেকে বজ্র অপসারণ এর গতি বাড়ে।
৫. কলার ডাটাঃ
প্রতিদিন যদি কলার ডাটা জুস খাওয়া যায় তাহলে কিডনির পাথর অপসারণ অনেকটাই তাড়াতাড়ি হয়ে থাকে।
৬. মুলার রসঃ
এতে রয়েছে খনিজ উপাদান। আর খনিজ উপাদান কিডনির পাথর অপসারণ করতে সহায়তা করে।
৭. কিডনি বিলঃ
এতে রয়েছে উচ্চমাত্রা আজ যা আমাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমস্যা হতে মুক্তি দেয় । তেমনি কিডনি অপসারণ করতেও অনেক সহায়তা করে
৮. লেবুর রসঃ
প্রতিদিন সকালে গ্লাস করে লেবুর শরবত খেলে কিডনিতে পাথর অপসারণ করা সম্ভব।
কি খেলে কিডনির পাথর গলে যায়
আমরা ইতিমধ্যেই কিডনির পাথর দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জেনেছি আসুন এবার কি খেলে কিডনির পাথর গলে যায় সে সম্পর্কে জানি-
বর্তমান বাংলাদেশে এখন সবার কিডনিতে পাথর জমা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এটি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের উপায় রয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা বিভিন্ন ধরনের উপায় এর কথা বলেছি। এখন চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে বাকি খেলে কিডনির পাথর গোলে যাওয়া সম্ভব।
১. তুলসী পাতাঃ
প্রথমত তুলসী পাতা আমাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় । তুলসী পাতায় রয়েছে অ্যাসিটিক অ্যাসিড। যা কিডনির পাথরকে ভেঙ্গে ফেলতে অনেকটাই সাহায্য করে।
২. লেবুর রসঃ
লেবুর শরবত অনেকেই খেতে খুবই পছন্দ করে। কিন্তু এর উপকারিতা সম্পর্কে তেমন কারো জানা নেই। এতে রয়েছে সাইট্রিক এসিড ,যা পাথর তৈরিতে বাধা দেয়।
৩. ডালিমের রসঃ
ডালিমের রস যেমন রক্ত বৃদ্ধিতে সাহায্য করে তেমনি কিডনির পাথর গলাতে অনেকটাই উপকারী। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টি অক্সিডেন্ট ,যা কিডনির পাথর গলিয়ে দিতে সহায়তা করে।
৪. কালোজিরার বীজঃ
এটিও কিডনি হতে পাথর দূর করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন গরম পানিতে আধা চা চামচ শুকনো কালোজিরা দিয়ে দিনে দুইবার পান করতে হবে তাহলে কিডনি হতে পাথর গলে যাবে।
উপরোক্ত বিষয়গুলো মেনে চললে কিডনি থেকে পাথর গলিয়ে দেওয়া অনেকটাই সহজতর হবে।
আমাদের শেষ কথা
পরিশেষে বলা যায় যে কিডনিতে পাথর এর প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা নেওয়া অত্যন্ত ভালো নাহলে পরে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় । কিডনির পাথর তাদের আকার এবং বিকাশের উপর নির্ভর করে হালকা বা গুরুতর হতে পারে। প্রাথমিক চিকিৎসা করালে ভবিষ্যতে অনেক ব্যথা এবং গুরুতর জটিলতা এড়ানো যায়।
fasttechit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url