মাসিক বন্ধ না হলে কি করবেন
প্রত্যেকটা নারীর জন্যই মাসিক একটা স্বাভাবিক ব্যাপার। এইটি নির্দিষ্ট সময় পর হয়ে থাকে এবং নির্দিষ্ট সময়ের পর বন্ধ হয়ে যায়। এটি প্রায় ৯০ ভাগ নারীরই স্বাভাবিকভাবে হয়ে থাকে। কিন্তু দশভাগ নারীরেই অস্বাভাবিকভাবে হয়ে থাকে। যেমন ঘন ঘন ঋতুস্রাব হওয়া বার্ষিক বন্ধ না হওয়া দুই মাস পর পর হওয়া। মাসিক প্রতিমাসে একবার করে হয় এবং এর শরবত সর্বোচ্চ থাকার দিন হল পাঁচ দিন। কিন্তু অনেকেরই দেখা যায় দুই মাস পর পর হওয়া পা মাসিক হলে বন্ধ হতে চায় না।
পোষ্ট সূচিপত্রঃতাদের উচিত দ্রুত ডক্টরের কাছে চিকিৎসা নেওয়া। মাসিক বন্ধ না হলে কি করবেন? তা সম্পর্কেই আজকে আর্টিকেলটি চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক মাসিক বন্ধ না হওয়ার কারণ।
মাসিক বন্ধ না হওয়ার কারণ কি
মাসিক বন্ধ না হওয়ার কারণ কি তা সম্পর্কে ও মাসিক বন্ধ না হলে কি করবেন? তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীর মাসিকের ঋতুস্রাবের দিন হল সর্বোচ্চ তিন থেকে সাত দিন। কিন্তু অনেকেরই দেখা যায় যে, এটি অধিক সময় ধরে থেকে যায় তাছাড়া অনেক ব্লিডিং হতে থাকে। এটি আসলেই একটি দুশ্চিন্তার বিষয়। অনেকে এটি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়।
এরকম সমস্যা দেখা দিলে দ্রুতই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে । না হলে ভবিষ্যতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। মাসিক বন্ধ না হওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে। মাসিক বন্ধ না হলে কি করবেন? চলুন তাহলে তার সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নি।
এটি হরমোন জনিত রোগের কারণে হতে পারে তাছাড়া বিভিন্ন রোগের কারণে হতে পারে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক কেন মাসিক বন্ধ হয়ে থাকে আর এর কারণ সমূহ নিয়ে।
নিচে মাসিক বন্ধ না হওয়ার কারণ সমূহ পয়েন্ট আকারে লেখা হলো, মাসিক বন্ধ না হওয়ার প্রথমত কারণ হলো নন-হরমোনাল ইন্ট্রা ইউটেরাইন ডিভাইস।
বিভিন্ন সময় দেখা যায় যে, যারা নন-হরমোনাল ইন্ট্রা ইউটেরাইন ডিভাইস শরীরে প্রবেশ করান তাদের প্রচুর পরিমাণে ব্লিডিং হতে পারে। সেই কারনে ডাক্তার এর পরামর্শ ছাড়া এই ধরনের ডিভাইস শরীরে প্রবেশ করানো উচিত না।
কারন আপনি যদি ডাক্তার এর পরামর্শ ছাড়া এই ডিভাইস শরীরে প্রবেশ করান তাহলে পরবর্তীতে ঋতুস্রাবের হার বৃদ্ধি পেতে থাকবে।
মাসিক বন্ধ না হওয়ার দ্বিতীয় কারণ হল গর্ভজনিত সমস্যা। আমাদের মধ্যে যারা প্রেগন্যান্ট এবং ঋতুস্রাব বন্ধ হয় না তারা আর দেরি না করে দ্রুত ডাক্তার এর কাছে পরার্মশ নিন। নাহলে ভবিষ্যৎে বাচ্চা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সমস্যা হতে পারে।
এটি মূলত কোনো ইন্টারনাল সমস্যা এর কারনে হয়ে থাকে। তাই দেরি না করে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার।
তৃতীয়ত হরমোনজনিত সমস্যা
হরমোনজনিত সমস্যা হলো মাসিক বন্ধ না হওয়ার অন্যতম কারন। হরমোনজনিত সমস্যার কারনে মাসিকের ঋতুস্রাব দীর্ঘদিন থাকতে পারে। জরায়ুর ভেতর এন্ডোমেট্রিয়াম গঠন করার ২টি হরমোন দায়ী। হরমোন ২টির নাম হলো, ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন। মাসিক ঋতু স্রাব এর সময় নারীদের জরায়ুর থেকে বেরিয়ে আসা পদার্থকে এন্ডোমেট্রিয়াম বলে।
ভিন্ন সময় হরমোনাল সমস্যার কারণে এন্ডো মেট্রিয়াম মোটা হয়ে যায়। এটি মোটা হওয়ার কারণে মাসিকে ঋতুস্রাব দীর্ঘদিন থাকতে পারে। এ কারণে ভবিষ্যতে কোন সমস্যা দেখা দেওয়ার আগে আক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার।
ইউটেরাসে ফ্রাইব্রয়েড
অধিক ঋতুস্রাব হওয়ার কারন হলো কোনো নারীর ইউটেরাসে ফ্রাইব্রয়েড হওয়া বা কোনো ধরনের পলিপ হওয়া। যদি এই ধরনের সমস্যা দেখা যায় তাহলে দ্রুত ডাক্তার এর পরামর্শ নেওয়া দরকার। যদি দ্রুত এটি সমাধান না করা
যায় তাহলে ভবিষ্যৎে টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পরবর্তীতে টিউমার থেকে ক্যান্সার হতে পারে। এই জন্য এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
মাসিক বন্ধ না হলে করণীয়
মাসিক বন্ধ না হলে করণীয়? মাসিক বন্ধ না হলে কি করবেন? তা সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।মাসিক বন্ধ না হওয়া একটি অস্বাভাবিক ব্যাপার। অস্বাভাবিক ব্যাপার গুলো হল ঋতুস্রাব হলে বন্ধ না হওয়া, মাসে দুইবার মাসিক হওয়া, মাসিক একবার হলে ভালো না হওয়া ,অনেক দিন পর পর মাসিক হওয়া ইত্যাদি।
এই সব অস্বাভাবিক ঘটনা দেখা গেলে দ্রুতই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তাছাড়া এইসব সমস্যা দেখা দেয় আমাদের যা করণীয় তা সম্পর্কে চলুন বিস্তারিত আলোচনা করে আসি। মাসিক বন্ধ না হলে কি করব সেটা নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
মাসিক বন্ধ না হলে করণীয় ? মাসিক বন্ধ না হলে কি করব? প্রথম উপায় অ্যালোভেরা।
অ্যালোভেরা অধিক ঋতুস্রাব থেকে মুক্তি দেয়। সে কারণে অধিক ঋতুস্রাব বা মাসিক বন্ধ না হলে আমাদের অ্যালোভেরা খাওয়া উচিত।
কারণ এটি আমাদের দেহের রক্ত নষ্ট না করার জন্য বিশেষ ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন নিয়মিত এলোভেরা রস খেলে অধিক ঋতুস্রাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ঋতুস্রাব দেখা দেয় তাহলে আমাদের সকলের উচিত অ্যালোভেরার রস খাওয়া। এটি দেহের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
মাসিক বন্ধ না হলে করণীয়? মাসিক বন্ধ না হলে কি করব? দ্বিতীয় উপায় কাঁচা হলুদ
কাঁচা হলুদ অধিক মাত্রায় ঋতুস্রাব হওয়া বন্ধ করতে অত্যন্ত ভালো। তাই যদি আমাদের অধিক মাথায় ঋতুস্রাব দেখা দেয় তাহলে কাঁচা হলুদ একবার খাওয়া উচিত। কারণ এটি আমাদের দেহের সাথে সাথে শারীরিক গঠন ও ঠিক রাখে।
মাসিক বন্ধ না হলে করণীয়? মাসিক বন্ধ না হলে কি করব ? তৃতীয় উপায় লেবুর রস
লেবুর রস ও অধিক মাথায় ঋতুস্রাব কমিয়ে দিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে লেবুর রস খেলে অধিক মাত্রায় ঋতুস্রাব কমে যায়। লেবুর রস আমাদের দেহের ওজনও কমাতে সহায়তা করে।
মাসিক বন্ধ না হলে করণীয়? মাসিক বন্ধ না হলে কি করব?: চতুর্থ উপায় আদার রস
আদার রস ও অধিক মাত্রার ঋতুস্রাব কমিয়ে দিতে অনেকটাই সাহায্য করে। এটি অনেকটাই কার্যকরী একটি ওষুধ। এটি আপনি ব্যবহার করতে পারেন যেভাবে সেটি হল প্রথমে আদা গুলো কুচি কুচি করে কেটে নিয়ে এটি বেটে একটি পাতিলে ঢেলে পানি সহ হালকা কুসুম গরম করে নিতে হবে। তারপরে আপনি এটি খেতে পারবেন। হলে অধিক মাত্রায় ঋতুস্রাব অনেকটাই কমে যাবে।
মাসিক বন্ধ না হলে কি করণীয় ? মাসিক বন্ধ না হলে কি করব ? এই সম্পর্কে আমরাই তোমাদের বিস্তারিত আলোচনা করলাম আপনারা হয়তো বুঝতে পেরেছেন মাসিক বন্ধ না হলে আমাদের কি করা উচিত আর তাছাড়াও ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত ভালো একটি কাজ হবে।
মাসিক বন্ধ না হলে কি ওষুধ খেতে হবে
মাসিক বন্ধ না হলে কি ঔষুধ খেতে হবে? - মাসিক বন্ধ না হলে হোমিও ঔষুধ
যদি কিছুতেই আপনার মাসিক বা ঋতুস্রাব বন্ধ না হয় তাহলে আপনি হোমিও ঔষধ খেতে পারেন। এটি অনেক কার্যকর ভূমিকা পালন করে। মাসিক বন্ধ না হলে কি ওষুধ খেতে হবে তা নিচে আলোচনা করা হলো।
মাসিক বন্ধ না হলে কি ঔষুধ খেতে হবে? - মাসিক বন্ধ না হলে হোমিও ঔষুধঃ পালসেটিলা।
অধিক মাত্রায় ঋতুস্রাব বন্ধ করার জন্য পালসটিলা খেতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ অনযায়ী ওষুধটি গ্রহণ করবেন।
মাসিক বন্ধ না হলে কি ঔষুধ খেতে হবে? মাসিক - বন্ধ না হলে হোমিও ঔষুধঃ সেপিয়া
যেসব নারীর মাসে দুইবার ঋতুস্রাব বা অধিক মাত্রায় ঋতুস্রাব হয় তাদের ক্ষেত্রে সোপিয়া অনেক কার্যকর ভূমিকা রাখে।
মাসিক বন্ধ না হলে কি ওষুধ খেতে হবে? মাসিক বন্ধ না হলে হোমিও ঔষধঃ সিকেল কর্নুটা
মাসিক বন্ধ না হলে যে সকল ওষুধ ব্যবহার করা হয় তাদের মধ্যে সিকেল কর্নুটা অন্যতম।
মাসিক বন্ধ না হলে কি ওষুধ খেতে হবে? মাসিক বন্ধ না হলে হোমিও ঔষুধ : ল্যাচেসিস
ডাক্তাররা ঋতুস্রাব বন্ধের জন্য যেসব ঔষধ দেন তার মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর ঔষুধ হলো ল্যাচেসিস।
মাসিক বন্ধ না হলে কি ওষুধ খেতে হবে? মাসিক বন্ধ না হলে হোমিও ঔষুধঃ ল্যাচেসিস
ক্যালকেরিয়া ফস। কমবয়সী মেয়েদের অধিক মাত্রায় ঋতুস্রাব হলে ক্যালকেরিয়া ফস অনেক কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
আমাদের শেষ কথা
ইতিমধ্যে মাসিকের বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে আমরা জানলাম। মাসিক হলে কি করনীয়, মাসিক বন্ধ হওয়ার উপায় , মাসিক বন্ধ না হলে কি কি ওষুধ খেতে হবে সেই সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি আমাদের তথ্যগুলো পেয়ে আপনারা উপকৃত হবেন।
আরো নতুন নতুন তথ্য পেতে হলে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ুন এবং আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন । এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
fasttechit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url