শীতকালে পা ফাটার সমাধান
আপনি কি কনকনা শীতে পা ফাটা নিয়ে চিন্তিত? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন হ্যাঁ এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আমরা শীতকালে পা ফাটার সমাধান খুঁজি ।
পোষ্ট সূচিপত্রঃআশা করি এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়বেন এটি আপনার উপকারে আসবে। তাহলে আসুন আজকে শীতকালে পা ফাটার সমাধান নিয়ে আলোচনা করি।
শীতকালে পা ফাটার সমাধান
শীতকাল শুরু হলেই পা ফাটা শুরু হয়ে যায়। কিন্তু এই জিনিসটা গরমকালে দেখা যায় না, কারণ গরমের সময় আমাদের পা অনেক মোলায়েম থাকে সেই জন্য পা ফাটার সম্ভাবনা থাকে না। আজকে আর্টিকেলের মাধ্যমে শীতকালে পা ফাটার সমাধান নিয়ে চলে এসেছি। শীতকালে পা ফাটা সমাধানের মাধ্যমে প্রথম সমাধানটি হল পা ফাটার ক্রিম ব্যবহার করা।
আরও পড়ুনঃ কিডনি রোগ থেকে মুক্তির উপায়
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা পা ফাটার ক্রিম ব্যবহার করে কিন্তু এটির ভালো ফলাফল আসে না। তাহলে আজকে আপনাদের জানাবো শীতকালে পা ফাটার সমাধান ও কোন ভিটামিনের মাধ্যমে পা ফাটে। শীতকালে আপনার পা ফাটা দূর করতে পারেন, পায়ের যত্ন নিয়ে পায়ের তালুতে ক্রিম ব্যবহার করে। আপনি পা ফাটা দূর করতে পারেন।
পা পরিষ্কার করতে অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার করা যাবে না। সেক্ষেত্রে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। তাই কুসুম গরম পানির সাহায্যে পা ভিজিয়ে রাখতে হবে। তাছাড়া শীতকালে পা ফাটা আর একটা সমাধান ফ্রুট স্ক্রাব দিয়ে গোড়ালি ঘোষে পরিষ্কার করতে হবে। তারপর সেটি চাপ দিয়ে ঘষে ভালো করে শুকিয়ে সেখানে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে হবে।
ফুট প্রেমও ব্যবহার করা যেতে পারে যে ফেটে যাওয়া স্থানে। এছাড়াও দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকা যাবে না, ওজু করার ক্ষেত্রে বা গোসল করার ক্ষেত্রে অবশ্যই গরম পানি ব্যবহার করতে হবে। কোন প্রকার কোন রুক্ষ সাবান ব্যবহার করা যাবে না। এরই মাধ্যমে আমরা শীতকালে পা ফাটার সমাধান সম্পর্কে জানলাম।
কোন ভিটামিনের অভাবে পা ফাটে
আপনার অনেকেই হয়তো জেনে থাকবেন যে পায়ের গোড়ালি ফাটার মূল কারণ হলো শুষ্ক মৌসুম। এর কারণেই এই সমস্যাটি বেশি দেখা যায়। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কোন ভিটামিনের অভাবে পা ফাটে। আপনার হয়তো অনেককেই জানেন না যে ভিটামিন ই এর অভাবে পায়ের গোড়ালি ফেটে যায়। আর পা ফাটে মূলত ভিটামিনের অভাবে।
কারণ পা ফাটা বা পায়ের গোড়ালি ফাটা ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি এর অভাবে হয়ে থাকে। কারণ এই দুইটি ভিটামিন ত্বকের যত্নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই এই দুইটি ভিটামিনের যখনই অভাব দেখা যায় তখনই পা ফাটা শুরু হয়ে যায়। পা ফাটার রোগের নাম হলো এক্সিমা। এইটি হলো ত্বকের একটি রোগ। এই রোগটির কারণেই পায়ে ব্যথা অনুভব হয়।
রোগটির মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি উপসর্গ দেখা যায় যে সারা দেহে যে কোন স্থানের রোগ দেখা দিতে পারে। পা ফাটাবা পানি শূন্যতা এসবের জন্য সবচেয়ে বড় কারণ হলো শুষ্ক পরিবেশ শুষ্ক মৌসুম। এইসবের ক্ষেত্রেই আপনার শরীরের আদ্রতা কমে যায় ফলে চামড়া শুকিয়ে গিয়ে পায়ের গোড়ালি ফেটে যায়। এরই মাধ্যমে আমরা কোন ভিটামিনের অভাবে পা ফেটে যায় সে সম্পর্কে জানলাম।
পা ফাটার কারণ
এতক্ষণ আমরা শীতকালে পা কাটার সমাধান সম্পর্কে জানলাম এবার আসুন জেনে নেই যে পা ফাটার কারণ গুলো কি, শীতকাল মৌসুম আসলেই এই পা ফাটার সমস্যায় সবাই চিন্তিত থাকে। আর এই ভিটামিনের অভাবেই পা ফাটার কারণগুলো দেখা যায়। পা ফাটার সমস্যাটা আমরা অতি সামান্য মনে করি কিন্তু এইটি বড় আকারে তীব্র সমস্যা ধারণ করতে পারে।
তাই অবশ্যই পা ফাটা সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। আসুন তাহলে কয়েকটি পা ফাটার কারণ জেনে নেই।
- শীতকালীন পরিবেশের শুষ্ক আবহাওয়া থাকার কারণে আমরা পানি কম পান করে থাকি । এইটিও আমাদের পা ফাটার কারণ হতে পারে।
- শীতকালীন পরিবেশে দীর্ঘক্ষণ হাটাহাটি করার ফলেও পা ফাটার কারণ হতে পারে।
- পায়ের মোটা চামড়া হওয়ার ফলে পানি পরিমাণ কমে যায় সেইটিও পা ফাটার কারণ হতে পারে।
তাই পায়ের গোড়ালি ফাটা রোধ করতে অবশ্যই পায়ের যত্ন নিতে হবে কারণ শীতকালে পরিবেশটা খুব রুক্ষ হয়ে থাকে। আমরা কাজ করতে অলসতা বোধ করি। সেই কারণে অনেক সময় ত্বকের যত্ন নেওয়া হয় না এদিকেই অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। এরই মধ্যে আমরা পা ফাটার কারণ সম্পর্কে জানলাম।
পায়ের তালু ফাটার ওষুধ
পা ফাটার কারণ সম্পর্কে আমরা এরই মধ্যে যিনি এসেছি তাহলে এবার চলুন পায়ের তালু ফাটার ঔষধ সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক। শীতকালে পা প্রচুর পরিমাণে ফেটে যায়। সে ক্ষেত্রে পায়ের তালু ফেটে যাওয়ার ফলে তীব্র পরিমাণ যন্ত্রণা করে।
আর তখন পায়ের তালু ফাটার কারণে অনেকেই ওষুধ খেতে চান কিন্তু এই পায়ের তালু কেন ফাটে সেটা সম্পর্কে কেউ জানে না। কারণ এ টি ভিটামিনের অভাবে ফেটে যায়। তাই পায়ের তালু ফাটার ঔষধ হিসেবে ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি আছে যেগুলো সকলের জেনে রাখা উচিত।
তাই একটি বাটিতে কুসুম গরম পানি নিয়ে তার মধ্যে লবণ আধা চামচ নারিকেলের তেল দিয়ে ১০ মিনিট পাটি ডুবিয়ে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি একটি ভাল উপকারিতা পেতে পারেন কারণ পা ডুবিয়ে রাখার সাথে সাথে ফাটা স্থানটি পানি শুষে পাতলা করে নেয়।
তাছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। আমি মনে করি পায়ের তালু ফাটার ঔষধ খাওয়ার চেয়ে এই ঘরোয়া পদ্ধতিটি যদি ব্যবহার করা হয় তাহলে বেশি ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। তাই এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করতে হবে এবং সঙ্গে পায়ের যত্ন নিতে হবে। মাঝে মাঝে পায়ের তালু ফাটার স্থানে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার। সে ক্ষেত্রে পায়ের তালুটি নরম থাকবে
ও খালি পায়ে হাটা থেকে বিরত থাকতে হবে অবশ্যই স্যান্ডেল পরিধান করতে হবে। এরই মাধ্যমে ওরে পা ফাটার ঔষধ সম্পর্কে তথ্য জানলাম।
পা ফাটা দূর করার ক্রিম বাংলাদেশ
এরই মধ্যে শীতকালে পা ফাটার সমাধান সম্পর্কে অনেকটাই বিস্তারিত আলোচনা করেছি এবার আসুন পা কাঁটা দূর করার ক্রিম বাংলাদেশ সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেয়া যাক। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন পা ফাটা দূর করার ক্রিম বাংলাদেশ এখন আভিজাত্য ক্রিম তৈরি করেছে।
আরও পড়ুনঃ ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায়
আপনারা যারা জানতে চাচ্ছেন পা ফাটার ক্রিম গুলো কোন কোন কোম্পানির ভালো মানের হবে তারা আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ুন।
স্কয়ার ক্রিম সম্বন্ধে আমরা অনেকেই শুনেছি। এটি অনেক ভালো মানের একটি ক্রিম। যা পা ফাটা দূর করার অনেকটাই সমাধান তৈরি করে দেয়। তাই পা ফাটা দূর করতে অবশ্যই রাতে ঘুমানোর আগে এই ক্রিমটি ব্যবহার করুন ফলে আপনার পায়ের গোড়ালিটি নরম হবে ও মুসরিম থাকবে।
দ্বিতীয়ত পতঞ্জলি ক্রিম, এই ক্রিমটি অনেক জনপ্রিয় একটি ক্রিম । যেটি প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে ব্যবহার করে ঘুমাতে হবে ফলে গোড়ালি অনেক মোলায়েম থাকবে।
তৃতীয়ত গ্রিন টি হারবাল ক্রিম, আপনারা যারা পা ফাটা নিয়ে সমস্যায় ভুগছেন তারা অবশ্যই এই ক্রিমটি ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার পা ফাটার সমস্যাটি খুব দ্রুত সেরে যেতে পারে।
এরই মাধ্যমে আমরা পা ফাটা দূর করার ক্রিম বাংলাদেশ সম্বন্ধে কিছু তথ্য দিয়েছি আশা করি আপনাদের উপকারে আসবে।
আমাদের শেষ কথা
ইতিমধ্যে আমরা শীতকালে পা ফাটার সমস্যা নিয়ে আলোচনা করলাম। আশা করি উপরুক্ত তথ্য থেকে আপনাদের সাহায্য করতে পেরেছি। তাই আরো নতুন নতুন তথ্য পেতে হলে আমাদের আর্টিকেল গুলো মনোযোগ সহকারে পড়ুন ও আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখুন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
fasttechit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url