কিভাবে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড হ্যাক করা হয়

পাসওয়ার্ড বলতে আমরা মূলত বুঝি কোন কিছুতে প্রবেশ করার আগে অনুমতি প্রদান। উদাহরণস্বরূপ আমরা বলতে পারি যে, আমরা আমাদের বাসায় তালা ব্যবহার করি বাসা নিরাপত্তার জন্য। আর এই নিরাপত্তার চাবিটাই হলো পাসওয়ার্ড। এইটি আমরা ডিজিটাল চাবিও বলতে পারি। আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জানতে পারবো কিভাবে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড হ্যাক করা হয়। 

https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi4DRJL-lEFysFEFWy3-3WNAISgrIVfmHNBpGauoJFj45j_SXXRNGIlnFyHx4tMj6QT-usUS4fVPF2jMVJA_0y64xktyPyQOLrnHe48lObz7aSYZWwYDAi_7rx3zbfF1jx30xfeDEkTHrtLGKLxGhurBFoISaDxzRWKfvPzCKJedkJZOOBwr0EhZ8NeuaE/s320/%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87%20%E0%A6%B6%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%80%20%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%93%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A1%20%E0%A6%B9%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%95%20%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%BE%20%E0%A6%B9%E0%A6%AF%E0%A6%BC.jpg

পোষ্ট সূচিপত্রঃতাহলে চলুন আমরা এই সম্পর্কে কিছু বিস্তারিত জানি।

যেভাবে পাসওয়ার্ড হ্যাক হয়

পাসওয়ার্ড হ্যাক করা হয় সাধারণত বিভিন্ন সাইবার এর মাধ্যমে । ধরা যাক আপনার পাসওয়ার্ড ১২৩৪৫ সে ক্ষেত্রে একজন হ্যাকার যেভাবে পাসওয়ার্ড হ্যাক করে ও যেভাবে পাসওয়ার্ড হ্যাক হয় সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।


হ্যাকারের কাছে dictionary মতন একটি বই থাকে যার মাধ্যমে অনেকগুলো স্ক্রিপ্ট ও বিভিন্ন মাধ্যম প্রোগ্রামের সাথে যুক্ত। আপনার সেই প্রোগ্রামটি তাকে দায়িত্ব দিয়ে দেয়, হ্যাক করার জন্য। স্ক্রিপ্ট টি নিজের মতো করে প্রথমে ১ তারপরে ২ তারপরে ৩ দিয়ে অটো ভাবে চলে। 

এইভাবে একটার পর একটা পাসওয়ার্ড দিয়ে তারা অটো লগইন করার চেষ্টা করে। এভাবে এক সময় ১২৩৪৫ কম্ভিনেশন পেয়ে যাবে সে ক্ষেত্রে আপনার আইডি বা ফোন হ্যাক হয়ে যাবে। এটি করতে হ্যাকারদের সাধারণত ৫ থেকে ৬ সেকেন্ড সময় লাগে।

এখন ধরুন আপনার পাসওয়ার্ড হল ১২৩৪iut। সেক্ষেত্রে হ্যাকারদের এটি হ্যাক করতে সময় লাগবে তিন ঘন্টার মতন। কারণ প্রত্যেকটারই কম্বিনেশন থাকে 0 থেকে 20

a to z । এই নাম্বার গুলো ছোট হাতের বড় হাতেরও হতে পারে। বড় হাতের ও ছোট হাতের অক্ষর মিলিয়ে পাসওয়ার্ড বানানো একটা শক্তিশালী হয়। তবে এই পাসওয়ার্ডটি হ্যাক করার জন্য হ্যাকারদের মিনিমাম সময় লাগে ১২ থেকে ১৩ দিন।

আবার এখন যদি বড় হাতের অক্ষর ছোট হাতের অক্ষর এবং নাম্বার মিলিয়ে বড়সড় পাসওয়ার্ড তৈরি করলে কতটা নিরাপদ তাই দেখা যাক। কারণ এ স্পেশাল ক্যারেক্টার a b c d এর মতো ২৬ টি ধরানো রয়েছে ও 240 টি ক্যারেক্টারো পাওয়া যায়।

এই থেকে আমরা বুঝতে পারি স্পেশাল ক্যারেক্টার গুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে আমাদের পাসওয়ার্ডটা অনেক শক্তিশালী ও নিরাপদ হতে পারে। তাহলে এতক্ষণ আমরা যেভাবে পাসওয়ার্ড হ্যাক করবো সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম।

কতটা শক্তিশালী আপনার পাসওয়ার্ড

সাধারণত আমরা পাসওয়ার্ড শক্তিশালী করার জন্য বিভিন্ন ক্যারেক্টার ব্যবহার করে থাকি। ক্যারেক্টার ব্যবহারের মাধ্যমে পাসওয়ার্ড অনেকটা শক্তিশালী হয়ে থাকে। ফলে আপনার একাউন্ট বা আইডি নিরাপদ থাকে। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে কতটা শক্তিশালী আপনার পাসওয়ার্ড সে সম্পর্কে কিছু ধারনা নিব।

আমরা অনেকেই মনে করে থাকি যে যত বড় পাসওয়ার্ড দিব তত আমাদের জন্য নিরাপদ কিন্তু এই ধারণাটি একদম ভুল। কারণ পাসওয়ার্ড নির্ভর করে তার ক্যারেক্টারের উপরে।

এখন প্রশ্ন এটা হতে পারে যে কয়টি সংখ্যার ক্যারেক্টার দিব বা কিভাবে দিলে নিরাপত্তা আছে। এখন আমরা সেই সম্পর্কে আলোচনা করব। চলুন তাহলে কিভাবে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড হ্যাক করা হয় সে সম্পর্কেও কিছু তথ্য জেনে নেয়া যাক।

আমরা অনেকেই জেনে থাকি যে বড় বড় সাইডে পাসওয়ার্ড দেয়ার সময় অনেক সময় আট সংখ্যা নয় সংখ্যার পাসওয়ার্ড দিতে বলা হয়। জি হ্যাঁ এই তথ্যটি সত্যি আপনার পাসওয়ার্ডটি নিরাপদ করার জন্যই এটি সাধারণত করা হয়ে থাকে। তাই ক্যারেক্টারের পাসওয়ার্ড গুলো দেওয়া উচিত।

আমার বিজ্ঞানেরাও বলে থাকেন যে একজন মানুষ কমপক্ষে ১৬ থেকে ২১ টি অক্ষর মনে রাখতে পারে, এর বেশি অক্ষর থাকলে আপনি ভুলে যেতে পারেন। পাসওয়ার্ডের বিষয়টা জোর দেওয়ার কারণ হলো ও ও পাসওয়ার্ডের অক্ষর বেশি দেওয়ার কারণ হলো সব রকম ক্যারেক্টার থাকা উচিত তবে একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড গড়ে উঠতে পারে।

কারণ একজন হ্যাকারের নরমাল পাসওয়ার্ড বের করতে সময় লাগবে না তাই পাসওয়ার্ড কে জটিল করার জন্য কিছু ব্যতিক্রম ক্যারেক্টার ব্যবহার করা উচিত। তাই বলা হয় ১২ টি ক্যারেক্টার একসঙ্গে যোগ করলে সেটি শক্তিশালী ক্যারেক্টার হয়ে ওঠে।কিভাবে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড হ্যাক করা হয় ও পাসওয়ার্ড কতটা শক্তিশালী সে সম্পর্কে কিছু তথ্য জানালাম।

পাসওয়ার্ড তৈরি করার নীতিমালা

এরই মধ্যে আমরা কিভাবে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড হ্যাক করা হয় সে সম্পর্কেও কিছু নির্দিষ্ট নির্দেশনা জানলাম। এবার আসুন পাসওয়ার্ড তৈরি করার নীতিমালা সম্পর্কে কিছু তথ্য জানি। পাসওয়ার্ড মূলত বিশেষজ্ঞ দ্বারা তৈরি করা একটি নিয়ম। এখন আপনি যদি আপনার আইডি ও বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট এর পাসওয়ার্ড যদি এভাবে তৈরি করে থাকেন 

তাহলে আপনার পাসওয়ার্ডটি যথেষ্ট নিরাপদ অবস্থায় আছে। এখন আপনি যদি পাসওয়ার্ড তৈরি করার নীতিমালা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার পাসওয়ার্ডটি ক্যারেক্টার ভাগে ভাগ করতে হবে তবে আপনি একটি স্ট্রং পাসওয়ার্ড পেতে পারেন। যেমন আপনার স্ট্রং পাসওয়ার্ড কি এমন হতে পারে

@+347sonu65L9W&। আশা করি আপনারা পাসওয়ার্ড তৈরি করা নীতিমালা সম্পর্কে জানলেন।

কমন পাসওয়ার্ড এড়িয়ে চলুন

কমন পাসওয়ার্ড এড়িয়ে চলুন বলতে আমরা বুঝি যে খুব প্রচলন কথা বাবা মায়ের নাম বা নিজের মোবাইল নাম্বার, নিজের জন্ম সাল। এগুলোকে বোঝানো হয়। কারণ যে আপনাকে চেনে সে খুব সহজেই আপনার সম্পর্কে এইসব তথ্য বের করতে পারে।


তাই অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে কিছু ইউনিক পাসওয়ার্ড দিতে যাতে কেউ সহজে আপনার পাসওয়ার্ড সম্পর্কে কোন ধারণা না আনতে পারে। এই বিষয়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশা করবেন কমন পাসওয়ার্ড এড়িয়ে চলার। তাহলে আপনার আইডি নিরাপদ থাকবে।

ভিন্ন ভিন্ন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন

ইতিমধ্যেই আমরা কিভাবে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড হ্যাক করা হয় সে সম্পর্কে কিছু বিস্তারিত জেনেছি। এবার আসুন ভিন্ন ভিন্ন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করার কিছু নিয়ম সম্পর্কে জানি। আমরা মূলত একটি পাসওয়ার্ড ব্যবহার করলেই আমাদের সব রকম আইডি অ্যাকাউন্ট বা যেকোনো সাইডের একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে থাকি। 

যা আমাদের জন্য একদম নিরাপদ নয়। এতে পাসওয়ার্ড এর কোয়ালিটি অনেক লো হয়ে যায়। ও হ্যাকার এটা খুব সহজে এটিকে হ্যাক করতে পারে। তাই অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে আইডি অ্যাকাউন্ট সবকিছুতে ভিন্ন ভিন্ন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করার। তাহলে আপনার আইডি ও অ্যাকাউন্ট নিরাপদ থাকবে।

টু স্টেপ ভেরিফিকেশন

বর্তমান যুগে সকল ওয়েবসাইটে বা অ্যাকাউন্টে এই অপশনটি রয়েছে তা হলো টু স্টেপ ভেরিফিকেশন।
যা বর্তমান যুগে খুব জনপ্রিয়। এটি আপনার ফোনে চালু করে দিলে আপনার অ্যাকাউন্টটি নিরাপদ থাকবে । আপনি যদি ওয়েবসাইট বা অ্যাকাউন্টে লগইন করেন বা ঢুকতে চান তখন আপনার এই টু স্টেপ ভেরিফিকেশন কোড আপনাকে এসএমএস করে দিবে। 

এর ফলে আপনারা জানতে পারবেন যে আপনার আইডিটা সুরক্ষিত আছে কি নাই। টু স্টেপ ভেরিফিকেশন করে মাধ্যমে কোড দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনি আপনার পাসওয়ার্ডটা চেঞ্জ করে নিতে পারেন। এর ফলে আপনার আইডি বা অ্যাকাউন্ট যে কেউ চাইলে লগইন করতে পারবে না কারণ এটি আপনার ফোন নাম্বার বা ইমেইল আইডি দিয়ে খোলা। 

তাহলে আমরা জানতে পারলাম টু স্টেপ ভেরিফিকেশন মাধ্যমে কি সুবিধা হয়। টু স্টেপ ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে কিছু জিনিস অনুসরণ করতে হবে।
  1. ফিশিং সাইট থেকে দূরে থাকতে হবে
  2. একাউন্টের পাসওয়ার্ড আর ইমেল এর পাসওয়ার্ড মিলে যাওয়া যাবে না দুইটি আলাদা হতে হবে।
  3. আপনার পাসওয়ার্ড কোন সহজে মনে রাখার জন্য অবশ্যই নোট করে রাখতে হবে । যাতে ভুলে না যান।
  4. বছরে একবার হলেও পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করতে হবে এতে করে অনেক ভালো হয়।
এভাবে আমরা জানতে পারলাম যে কিভাবে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড হ্যাক করা হয়। ও টু স্টেপ ভেরিফিকেশন কোড এর কিছু তথ্য।

আমাদের শেষ কথা

ইতিমধ্যে আমরা পাসওয়ার্ড এর বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আলোচনা করেছি ও কিভাবে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড হ্যাক করা হয় সে সম্পর্কেও তথ্য দিয়েছি। আশা করি আপনাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেকটাই কাজে দেবে। আরো নিত্যনতুন তথ্য পেতে হলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন ও আমাদের আর্টিকেল গুলো পড়ুন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

fasttechit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url