প্রেসার লো হওয়ার কারণ

আজকের বিষয়টা হলো প্রেসার লো হওয়ার কারণ। আজকের আর্টিকেল এ প্রেসার লো সম্পর্কে আলোচনা করব। আমরা জানি উচ্চ রক্তচাপ আমাদের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর ঠিক তেমনিভাবে নিম্ন রক্তচাপও আমাদের শরীরকে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত করে। 

https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiVyGeTMRRM_gvmaFOlsB_ATqqmjlnpeLdA-Za2gsQbERuP28_k0wUZhofLGt3AZwPeWmHqMjf1Z7FmABVMk4pG2-yQSOhyphenhyphenphoMiQOqtFXrTJ13Qk53wYziBgI2BBDtaRNp1nFRPmZpGT2A-ECglWGq9d8JTbV37Yv91d4880U4ct4-Md2HXeC7Pwbgy2U/s320/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%20%E0%A6%B2%E0%A7%8B%20%E0%A6%B9%E0%A6%93%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%20%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A3.jpg

পোস্ট সূচিপত্রঃতাই আজকে আমরা প্রেসার লো সম্পর্কে লক্ষণীয় বিষয় ও কারণ গুলো জানব।

প্রেসার লো হওয়ার কারণ

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে আমাদের সকলের মাথা ব্যাথা থাকে। কিন্তু নিম্ন রক্তচাপ সম্পর্কে আমরা কেউই সেরকম সচেতন থাকি না। উচ্চ রক্তচাপ যেমন শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে তেমনি নিম্ন রক্তচাপ শরীরকে দুর্বল করে দিতে পারে। 

যখন ৯০/৬০ এর আশেপাশে থাকে তখন তাকে নিম্ন রক্তচাপ ধরা হয়। তাহলে চলুন আমরা প্রেসার লো হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানি

শরীরে পানি শূন্যতার কারনে প্রেসার লো হয়ে থাকে। সময় আমরা খুব অল্প পরিমাণে পানি পান করি এদের শরীরকে সতেজ করতে পারে না ওই জন্য বেশি বেশি পানি পান করা উচিত। পানি শূন্যতার কারণে প্রেসার লো হয়ে যায় ।

অতিরিক্ত পরিশ্রমের মাধ্যমেও লো প্রেসার হয়ে যায়। আমরা অনেক সময় বেশি কাজকর্ম করে ফেলি। সেক্ষেত্রে আমাদের প্রেসার লো হয়ে যেতে পারে। 

সুস্থ থাকার জন্য আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত খাবারের প্রয়োজন হয়। একটা মানুষের সুস্থ থাকাটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে তার খাওয়া দাওয়া। আমাদের শরীরে খাবারের সঠিক চাহিদা পূরণ না হলে প্রেসার লোয়ের সমস্যা দেখা যায়।

প্রেসার আর একটা কারণ বেশি দুশ্চিন্তাও হতে পারে। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার কারণে প্রেসার লো হয় আবারো পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব এর কারণে ও প্রেসার লোড দেখা যায়। ঘুম একটা মানুষের জন্য ওষুধের মতন কাজ করে সে ক্ষেত্রে রাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানো টা অত্যন্ত জরুরী। 

শরীরের রক্ত না থাকলেও প্রেসার লো হয়। বেশি বেশি বেদানা খেতে হবে । আমরা এতক্ষণ প্রেসার লো এর কারণ সম্পর্কে জানলাম।

প্রেসার লো হাওয়ার লক্ষণ

উচ্চ রক্তচাপ যে রকম একটি বড় সমস্যা ঠিক সেভাবে প্রেসার লো অনেক বড় একটা সমস্যা। আমরা এতক্ষন প্রেসার লো এর কারণ সম্পর্কে জানলাম এবার আসুন প্রেসার লো হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে কিছু জেনে নি-

  1. প্রেসার লো হইলে শরীর দুর্বল অনুভব হয় কোন কাজ করতে ইচ্ছে করেনা
  2. হঠাৎ করে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে চারিদিকে অন্ধকার হয়ে যায় শরীর তার ভারসাম্য নিতে পারে না সে ক্ষেত্রে অনেকেই পড়ে যায়।
  3. আবার হঠাৎ করে মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়া প্রেসার লো এর লক্ষণ।
  4. প্রেসার লো আরো একটি লক্ষণ আছে তা হল বেশি বেশি পিপাসা লাগে।
  5. হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া ও প্রেশার লো এর লক্ষণ
  6. মাথা ঘুরানো বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে না পারা।

প্রেসার লো হলে কি কি সমস্যা হয়

প্রেসার লো হলে কি কি সমস্যা হয় তা নিচে দেওয়া হল-

আমাদের মধ্যে অনেক মানুষ আছে যারা সব সময় হাই প্রেসার নিয়ে চিন্তিত থাকে কিন্তু লো প্রেসার নিয়ে তাদের কোন মাথাব্যথা  থাকে না কিন্তু এটি একটি সমস্যার কারণ। হাই প্রেসার যেমন শরীরে ক্ষতি করে লো প্রেসার শরীরের জন্য আরও বেশি ক্ষতি করে। 

তাই অবশ্যই রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করতে হবে । এখন আমরা লো প্রেসার হলে কি কি সমস্যা হয় সেগুলো সম্পর্কে জানবো -

  1. প্রেসার লো হয়ে গেলে আমাদের শরীরে পালসের মাত্রাটা বেড়ে যায়।
  2. অনেক সময় রোগীর হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়
  3. রক্তশূন্যতা অতিরিক্ত বমি ও ডায়রিয়ার সমস্যা ভোগ করে।
  4. শরীর বেশি অসুস্থ হয়ে যায় দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না।
  5. জোরে জোরে নিঃশ্বাস নেয়।

প্রেসার লো হলে কি কি খেতে হবে

ইতিমধ্যে আমরা লো প্রেসার এর করণীয় , ক্ষতিকর দিক ও লক্ষণ সম্পর্কে জেনেছি এবার আসুন প্রেসার লো হলে কি কি খেতে হবে তা সম্পর্কে কিছু বিস্তারিত জানি-

প্রেসার লো হয়ে গেলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার হল স্যালাইন। এটি পানি শূন্যতা দূর করে এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই শরীর সুস্থ করে দেয়। প্রেসার লো হলে সবার প্রথমে খাওয়া উচিত।

দ্বিতীয়ত গ্লুকোজ। গ্লুকোজ খেলেও লো প্রেসারের ক্ষেত্রে দ্রুত কাজ করে।

তৃতীয়ত হল দুধ ও ডিম। আমরা সকলেই জানি দুধ ও ডিম সুষম খাবায় ও পুষ্টিকর খাবার। আমাদের শরীরকে শক্তি যোগায়। প্রত্যেকটি ডাক্তারি বলে লো প্রেসার হয়ে গেলে দুধ ও ডিম খাওয়াটা অত্যন্ত জরুরি। কারণ লো প্রেসার হওয়ার একমাত্র কারণ হলো পুষ্টিকর খাবার কম খাওয়া

চতুর্থ খাবারটি হল কিসমিস। আমরা অনেকেই জানি কিসমিস আমাদের শরীরের জন্য উপকারী একটি খাবার। এইটি খাওয়ারও একটি নিয়ম আছে, নিয়ম কি হলো একটি বাটিতে কিছু কিসমিস নিয়ে সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে উঠে খেয়ে নিতে হবে। 

এটি লো প্রেসার রোগীদের জন্য করণীয় একটি কাজ। এটি খেলে লো প্রেসার রোগীদের জন্য অনেক উপকার হবে। লো প্রেসার রোগীদের জন্য টাটকা তাজা সবজি খাওয়াটা খুব জরুরী। তাছাড়াও বাদাম মধু এসবও খুব কার্যকরী উপাদান। 

তাছাড়াও নিয়মিত ব্যায়াম করলে এরকম সমস্যার থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ব্যায়াম করা ও হাঁটাহাঁটি করা শরীরের জন্য অত্যন্ত ভালো । যা ওষুধের মতন কাজ করে।

আমাদের শেষ কথা

ইতিমধ্যে আমরা লো প্রেসার এর কারণ। লো প্রেসারের লক্ষণ ও লো প্রেসারের করণীয় সম্পর্কে জেনেছি তাছাড়াও লো প্রেসার হলে কি কি খেতে হয় তা সম্পর্কেও আলোচনা করেছি। আপনারা যদি লো প্রেসারে সমস্যায় থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলটি পড়ুন। ইনশাআল্লাহ আপনাদের সমস্যাগুলোর সমাধান করার চেষ্টা করেছি এই আর্টিকেলে। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আবারো নতুন নতুন কিছু তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

fasttechit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url