পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট সাপ কোনটি
ভয়ানক দেখতে এই জিবটি পৃথিবীর সকল অঞ্চলে পাওয়া যায়। সাপ বিভিন্ন জাতের হয়ে থাকে। পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট সাপ কোনটি এই বিষয়ে জানলে আপনি অবাক হবেন। এদের কিছু কিছু প্রজাতি বিষাক্ত নয়, তবে সাপের বেশিরভাগ প্রজাতি বিষাক্ত। আমাদের সকলেরই উচিত সাপ কামড়ানোর লক্ষণ কি? সাপের বৈশিষ্ট্য এবং এর সম্পর্কিত তথ্য জেনে রাখা।
পোষ্ট সূচিপত্রঃবাংলাদেশের প্রায় ৯০ প্রজাতির অধিক সাপ দেখতে পাওয়া যায়। পুরো বিশ্বজুড়ে এই সাপের আবির্ভাব রয়েছে। সাধারণত সাপ বন জঙ্গল এবং স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় থাকতে পছন্দ করে। বাংলাদেশে অনেক মানুষ সাপের কামড়ে মারা গিয়েছে, তবে সাপের বিষ দিয়ে অনেক ঔষধ তৈরি করা হয়।
সাপ এর বৈশিষ্ট্য
সাপ মূলত হাত-পা বিহীন মাংসাশী একটি সরীসৃপ। সাপের দৃষ্টিশক্তি তেমন ভালো নয় তবে এরা জিহ্বার সাহায্যে দিক নির্ধারণ করে। পৃথিবীর সবচেয়ে বিষধর সাপের নাম বেল চেরি।এই সাপ সাধারণত কালো রঙের হয়ে থাকে। এই সাপের বিষ মানুষের শরীরে প্রবেশ করলে মানুষের বাচা প্রায় অসম্ভব।
আরও পড়ুনঃ বিড়ালের খাবারের দাম
সাপে কামড়ানোর লক্ষণ
বিষধর সাপ কামড়ানোর লক্ষণ খুব সহজেই বোঝা যায়। কয়েকটি লক্ষণ দেখেই বোঝা যায় মানুষকে বিষধর সাপ কামড়েছে কিনা। কামড়ানোর জায়গায় জ্বালাপোড়া শুরু হবে এবং চোখের পাতা আস্তে আস্তে বন্ধ হতে শুরু করবে। উক্ত বিষয়গুলো দ্বারা সাপ কামড়ানোর লক্ষণ খুব সহজেই বোঝা যায়।
সাপের বিষের উপকারিতা
সাপের বিষ শুধু মানুষকে মেরেই ফেলেনা এটি দ্বারা মানুষ অনেক উপকৃত হয়। সাপের বিষ দ্বারা হার্টের এবং স্টোক জনিত রোগে আক্রান্ত রোগী অনেক উপকৃত হয়। সাপের বিষ দ্বারা এই সকল রোগের ঔষধ তৈরি করা হয়। তাছাড়াও সাপের বিষ দ্বারা মানুষ অনেক ভাবে উপকৃত হয়ে থাকে। সাপের বিষ দ্বারা ব্যথা নিরাময়ের ঔষধ তৈরি করা হয়।
সাপের গড় আয়ু কতদিন
হাত-পা বিহীন এই প্রাণী অনেক বছরই বাঁচতে পারে। পৃথিবীতে বিষহীন সাপ সব থেকে বেশি বছর বাঁচতে পারে। একটি বিষধর সাপ সাধারণত ২০ থেকে ৩০ বছর বাঁচতে পারে, কখনো কখনো এই সাপ ৫০ বছরের অধিক সময় বাঁচতে পারে।
কোন রাজ্যে সবচেয়ে বেশি সাপ আছে
বাংলাদেশের সব থেকে বেশি সাপ দেখতে পাওয়া যায়, মৌলভীবাজার এবং পার্বত্য অঞ্চল গুলোতে। বাংলাদেশে ২৭ টি বা তার অধিক বিষধর সাপ রয়েছে। বাংলাদেশে মোট ৮০টির উপরে সাপের প্রজাতি রয়েছে।
পৃথিবীর সবচেয়ে বিষধর সাপ কোনটি
বেলচেরি নামক সাপ পৃথিবীর সব থেকে বিষধর সাপ। এই সাপের বিষ মানুষের শরীরে প্রবেশ করলে মানুষের বাঁচা অসম্ভব প্রায়।এ সাপের বিষ খুবই মারাত্মক একটি বিষ, পৃথিবীতে অনেক মানুষ এই সাপে কামড়ানোর ফলে মারা গেছে।
এ সাপের বিষ দ্বারা যেমন অনেক মানুষ মারা গেছে, তেমনি এই সাপের বিষ দ্বারা অনেক মানুষ উপকৃত হয় । এই সাপের বিষ দ্বারা বিভিন্ন ঔষধ তৈরি করা হয় যা অনেক কার্যকরী।
পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট সাপ কোনটি
পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট সাপ কোনটি? এই সাপ ক্যালিফোর্নিয়া নামক অঞ্চলে পাওয়া যায়। পৃথিবীর সব থেকে ছোট সাপের নাম হলো ক্যালিফোর্নিয়ার রিং নেকড স্নেক। এই সাপের সেরকম মারাত্মক বিষ নেই তবুও এটি বিষধর সাপের মধ্যেই পড়ে। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট সাপ কোনটি।
আরও পড়ুনঃ বিড়াল পালনের উপকারিতা ও অপকারিতা
সাপ কোন রং দেখতে পায়
সাপের দৃষ্টিশক্তি অন্য জীবের মতো নয়।সাপ সব রং দেখতে পায় না, এরা সাধারণত ঝাপঝা ঝাপসা রং দেখতে পায়। সাপের চোখে বিশেষ শক্তি থাকায় এরা অবলা আলো দেখতে পায়। সাপ সকল প্রাণীর মতো সব রং দেখতে পায় না এরা স্বল্প কিছু রং দেখতে পায় চোখে। সাপ দিক নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে তার জিহ্বা ব্যবহার করে, সাপের জিহ্বায় বিশেষ ধরনের শক্তি থাকে।
আমাদের শেষ কথা
সাপ পৃথিবীর একটি জনপ্রিয় প্রাণী। পৃথিবীতে অনেক প্রজাতির সাপ পাওয়া যায় তার মধ্যে বেশিরভাগ প্রজাতির সাপ বিষধর। বাংলাদেশে প্রায় ২৭ টির বেশি বিষধর সাপ পাওয়া যায়। পৃথিবীর সবথেকে বেশি সাপ পাওয়া যায় ক্যালিফোর্নিয়া নামক অঞ্চলে। আর এখানেই রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট সাপ কোনটি।
সাপ সাধারণত ঝোপঝাড় এবং স্যাঁতস্যাতে জায়গা পছন্দ করে। বাংলাদেশে সাধারণত লালমনিরহাট এবং পার্বত্য অঞ্চলে সাপ বেশি দেখতে পাওয়া যায়। সাপের বিষ যেমন মানুষের জন্য মারাত্মক, তেমনি সাপের বিষ দ্বারা মানুষ অনেক উপকৃত হয়। সাপের বিষদ্বারা বিভিন্ন রোগের ঔষধ তৈরি করা হয় বর্তমানে। বেশি বিষধর সাপের বিষ দ্বারা বেশি কার্যকরী ঔষধ তৈরি করা হয়।
বর্তমানে বিভিন্ন প্রজাতির সাপ আজ বিলুপ্তপ্রায়, আমাদের সকলের উচিত সাপ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা এবং এটি সংরক্ষণ করা। বর্তমানে বিভিন্ন অঞ্চলে মানুষ সাপ লালন পালন করে এর বিষ বিক্রি করে অনেক টাকা উপার্জন করে। সাপ সম্পর্কে অনেক জ্ঞান আজ মানুষের অজানা। আমাদের সকলের উচিত সাপে কাটার লক্ষণ, সাপের বিষ এবং এর বাসস্থান সম্পর্কে ধারণা রাখা।
fasttechit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url