সন্তান জন্মের আগেও পরে সিজারিয়ান মায়ের যত্ন কেমন হওয়া উচিত
আজকের আর্টিকেলটি হল সন্তান জন্মের আগেও পরে মায়ের যত্ন কেমন হওয়া উচিত তার সম্পর্কে তথ্য। একজন সিজারের মায়ের প্রতি যত্নবান হওয়াটা অত্যন্ত দরকার। কারণ সেই সময় একজন নারীকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় সেক্ষেত্রে অবশ্যই কিছু করণীয় থাকে যেগুলো প্রত্যেকটা মানুষেরই পূরণ করা উচিত।
পোস্ট সূচিপত্রঃসেই করণীয় সম্পর্কে নীচে আলোচনা করা হলো।
সিজারের পর মায়ের যত্ন কিভাবে নিবেন
সিজার পর মায়ের যত্ন নেওয়া সম্পর্কে ডাক্তারের পরামর্শ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মায়ের যত্নের প্লান সাধারণভাবে তার সিজারের পরে নেয়া হয়। ডাক্তার যত্নের জন্য নির্দিষ্ট নির্দেশনা দেবেন, যেগুলি মায়ের স্বাস্থ্য এবং শিশুর স্বাস্থ্য নির্বাচন করতে সাহায্য করতে পারে। সিজারের পরে মায়ের যত্ন স্বাস্থ্য পরীক্ষণ এবং চিকিৎসা মেডিক্যালি আত্মবিশেষণ প্রয়োজন হতে পারে।
সিজার অপারেশনের পরে, মায়ের যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কিভাবে শিশুকে দুধ খাওয়াতে হবে এসব বিষয় খেয়াল রাখা উচিত। যেহেতু পেট কেটে সিজার করা হয় ওই জন্য বসে থাকা যাবেনা বেশিক্ষণ। বারবার উঁচু নিচু পাওয়া যাবে না সন্তানকে ঠিকমতো দুধ খাওয়াতে হবে।
এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে। ভারী কাজকর্ম থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। যেহেতু সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে সে ক্ষেত্রে মা কে পুষ্টিকর খাবার গুলো বেশি বেশি খেতে হবে । এটি ডাক্তারের নির্দেশনানুসারে করতে হবে। সাধারণভাবে, মায়ের যত্ন নিতে হলে:
১. অধিক শান্তি ও আরাম প্রয়োজন।
২. নির্দিষ্ট খাবারের সাথে ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।
৩. নির্দিষ্ট ওষুধ নেওয়ার পরামর্শ মেনে চলতে হবে।
৪. যদি কোন অস্বাস্থ্যকর লক্ষণ দেখা দেয়, তবে তা তাড়াতাড়ি ডাক্তারের সাথে কথা বলতে হবে।
মায়ের যত্ন সম্পর্কে বিশেষ নির্দেশনা জন্য অবশ্যই ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা গুরুত্বপূর্ণ।
সিজারের পর খাবার তালিকা কেমন হওয়া উচিত
সিজার পর খাবার তালিকা তৈরি করার জন্য নিম্নলিখিত টিপস
১.প্রোটিনঃ প্রোটিনের উচ্চ উৎস যেমন মাংস, মাছ, ডাল, গুড় ইত্যাদি একটি অবশ্যই খাইতে হবে।
২. ফলমূলঃ সেজারের পর খাবারে ফলমূলের উচ্চ পরিমাণ থাকা উচিত, যেমন আঙ্গুর, আপেল, কমলা, স্ট্রবেরি ইত্যাদি।
৩. সবজিঃ খাবারে সবজির উচ্চ পরিমাণ যোগ করতে হবে।
৪. কার্বোহাইড্রেটঃ সাদা চাল, রুটি, পাস্তা, সুজি ইত্যাদি কার্বোহাইড্রেট খাবার তালিকায় থাকতে পারে।
৫. পর্যাপ্ত পানিঃ পানি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের শরীরে অত্যন্ত প্রয়োজন এবং সিজারের রোগীর ক্ষেত্রে আরো বেশি প্রয়োজন।
সিজারের কতদিন পর বাচ্চা নেওয়া যায়
সিজার একটি জটিল কার্যপ্রণালী, যা একজন চিকিৎসক ও রোগীর পর্যায়ের কিছু নির্দিষ্ট কারণে নিষ্পাদন করা হয়। এই কার্যপ্রণালী বেশ জটিল এবং নির্ভর করে রোগীর স্বাস্থ্যের অবস্থার ওপর । শারীরিক পরিস্থিতি ও সিজারের পর বাচ্চা নেওয়া সময় স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী চিকিৎসকের সিদ্ধান্ত অনুসারে নির্ধারণ হয়।
তবে পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাচ্চা নেওয়া যাবে না তাহলে মায়ের মৃত্যুর ঝুঁকি থাকতে পারে। একজন সিজারিয়ান মহিলার বাচ্চা হওয়ার পর দ্বিতীয় বাচ্চার জন্য কমপক্ষে দুইটা বছর অপেক্ষা করাটা খুব জরুরী, না হলে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
তবে, সিজারের পর অনেক পরামর্শকারী চিকিৎসকের মধ্যে আপেক্ষিক মতামত থাকতে পারে, এবং এটি সর্বোত্তম স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে নির্ধারণ হয়। সেই সময়ে, এই সব সমস্যার সমাধানে চিকিৎসকের নির্দেশনা মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ।
সিজারের কতদিন পর সেলাই শুকায়
সিজার মূলত এক ধরনের শল্য চিকিৎসা যার সন্তান জন্মদানের সময় করা হয়। এটি সি সেকশন নামেও পরিচিত। বর্তমানে প্রাকৃতিক উপায়ে জন্মদান সম্ভব হলেও সবাই মূলত সি সেকশন করেই বাচ্চা জন্ম দিতে চায়। সিজারে ৪৫ মিনিট থেকে 1 ঘন্টা সময় লাগতে পারে। সিজার মূলত মায়ের উদর এবং জরায়ুতে করা হয়।
সিজার অপারেশনের সেলাই মূলত ৫-৭ দিন পর কেটে ফেলা হয়। পুরো ক্ষত সেরে উঠতে ১ থেকে ১.৫ মাসের মত সময় লাগে।তবে এইসময় টুকু নিজের যত্ন ভালোভাবে নিতে হয়। তবে সবার শরীর এক না কারো কারো বেশিদিন সময় রাখতে পারে এবং কারো কারো কম দিনেও শুকিয়ে যেতে পারে।
সন্তান জন্মের আগেও পরে সিজারিয়ান মায়ের যত্ন কেমন হওয়া উচিত
সন্তান নেওয়ার আগেও পরে সিজারিয়ান মাদের কেমন যত্ন নেওয়া উচিত তা সম্পর্কে কিছু তথ্য দেওয়া হল, সিজার করার আগে একজন মায়ের বিশেষ যত্ন নেয়া উচিত। কারণ যত্ন না নিলে মায়ের ও সন্তানের দুজনেরই ক্ষতি হয়ে থাকে। তাই আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে সন্তান জন্মের আগেও পরে সিজারের মায়ের যত্ন কেমন হওয়া উচিত তা সম্পর্কে জেনে নিন।
সিজারিয়ান মারার জন্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়াটা অত্যন্ত জরুরী। বিশ্রামও ঘুমের দিকটি খেয়াল করতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে নোংরা ভাবে থাকা যাবে না এবং পোশাক ঢিলা করে বানাতে হবে। সিজারিয়ান মায়ের ঢিলা পোশাক পরা উচিত।
এ সময়ের ভ্রমণ করা যাবে না। এবং টিকার বিষয়গুলো লক্ষ্য করতে হবে সময়মতো টিকা দিতে হবে। ভারী কোন কাজ করা যাবে না, ভারী কিছু তোলা যাবে না বিস্রামের মধ্যে থাকতে হবে।
প্রতিদিন গোসল করতে হবে। পরিষ্কারভাবে চলতে হবে। সিজারের আগে অবশ্যই সাবধানে চলাফেরা করতে হবে কারণ অসাবধানতায় চলাফেরা করলে শিশু ও মায়ের দুজনেরই ক্ষতি হবে। এবং পোশাকের বিষয়ে নজর দিতে হবে সুতি পোশাক পরিধান করতে হবে। কারণ এই সময় নিজের স্বাস্থ্যের দিকে আগে খেয়াল রাখতে হবে।
আমাদের শেষ কথা
আশা করি আমাদের আর্টিকেলটি আপনারা মনোযোগ সহকারে পড়েছেন আরো কিছু তথ্য জানতে হলে আর্টিকেলটি আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং সবাইকে জানার সুযোগ করে দিন। সন্তান জন্মের আগেও পরে সিজারিয়ান মায়ের যত্ন সম্পর্কে অনেক রকম সমাধান আমরা ইতিমধ্যে দিয়েছি।
যা আপনাদের জন্য কার্যকর হতে পারে। এই ধরনের আরো তথ্য পেতে হলে আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকুন ও শেয়ার করুন।
fasttechit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url