কেন আমরা আমাদের ঠোট কামড় দেই

ডিম আগে না মুরগি আগেআমাদের মধ্যে অধিকাংশ লোকই চিন্তিত হবে শুনে যে আমাদের শরীর আমাদের সাথে অদ্ভুত সব আচরণ করে। যেমন ধরা যাক আমরা সপ্ন দেখার পর ভুলে যায় কেন তারপর কেনই বা আমরা আমাদের ঠোঁটে কামড়ে দেই। বিষয়টা কি কখনো ভেবে দেখেছেন।
https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgMJG-1TZXfE8_xG7itdbdx64u0mnYHcZZ7JYE_tyrgkCVJiawcBQzjN_Kn7HlJqFP0OCMe3NTLAN63HgLBe_2pICGDvjuv-U3ahS-XXaPdqhOF7x6T5XW-gxmQkapAfbWx3owyyYBPoNzC7we0Qt7bjgu8YMoPOm9cDWZ_86s7rF6m-WQhl5OPnpKSc9w/s320/%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%20%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%20%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A6%A0%E0%A7%8B%E0%A6%9F%20%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%A1%E0%A6%BC%20%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%87.jpg

পোস্ট সূচিপত্রঃএইটা জানার পর হয়তো সবাই চিন্তিত হয়ে পড়বেন। এইটা চিন্তিত হওয়ার মতই একটা বিষয়, চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক, এসব অদ্ভুত ঘটনা কেন আমাদের দেহের সাথে ঘটে থাকে ।

কেন আমরা আমাদের ঠোট কামড় দেই

কেন আমরা আমাদের ঠোঁটে কামড়ে দেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আমাদের মধ্যে হয়তো অনেকেই এই বিষয় নিয়ে চিন্তিত যে আমরা কেন আমাদের ঠোঁটে কামড়ে দেই? এইটা হওয়ার কারণ হলো মনস্তাত্ত্বিক। এইটা খারাপ অভ্যাসও বলা যায়। এটি হওয়ার উপস্থিতি হলো মানসিক চাপ বা উদ্বেগ। 

যেই ব্যাক্তি এই রকম সমস্যার সম্মুখীন হয় সেই সময় এই ব্যাক্তির মস্তিষ্ক তার দেহকে নির্দেশ করে ঠোঁটে কামড় দিতে যেন সেই ব্যাক্তি উক্ত সমস্যার কথা কম চিন্তা করে। কিন্তু ব্যাক্তির খেয়াল রাখা উচিত যেন বেশি কামড় না দেই নাহলে ঠোঁট এ আঘাত বা ঠোঁট রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। তাহলে আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে কেন আমরা আমাদের ঠোঁট কামড় দেই সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম।

কেন আমরা স্বপ্ন ভুলে যাই

কেন আমরা স্বপ্ন ভুলে যাই সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। আপনারা হয়তো অনেকেই খেয়াল করে দেখতে পারেন যে,আমরা সপ্ন দেখার পর ৯০% সপ্ন ভুলে যাই।কিন্তু কেন?? এইটা একটা অদ্ভুত ঘটনা বললেই চলে আমরা সপ্নে এমন এমন জিনিস দেখি যা দিয়ে একটা মুভি তৈরি করা যাবে । কিন্তু সেই মুভির ট্রেইলার টুকুই মনে থাকে। 

অর্থাৎ ১০০% এর মধ্যে ১০% মনে থাকে। আমরা এসব মনে রাখতে পারিনা এই কারণে যে, সপ্ন সবসময় আমাদের বিশৃঙ্খল এবং অদ্ভুত ছবি দেখায়। আর সেসব কথা যদি আমাদের মনে থাকতো তাহলে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হতো। সেই কারণে আমরা সপ্ন মনে রাখতে পারিনা। তাহলে আজ আমরা জানলাম কেন আমরা স্বপ্ন ভুলে যাই।

খেয়াল করেছো কেন আমাদের অ্যালার্মের আগে ঘুম ভেঙে যায়

খেয়াল করেছো কেন অ্যালার্মের আগেই ঘুম ভেঙে যায় এ সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত কিছু তথ্য জানবো।আমাদের প্রতিদিন ৮ ঘন্টা করে ঘুমানো উচিত। এতে শরীর ও মস্তিষ্ক উভয়ই ঠিক থাকে । কিন্তু অনেকেই আছে যারা ফোন এ অ্যালার্ম দিয়ে ঘুমায়। 


কিন্তু আপনারা হয়ত খেয়াল করেছেন পর্যাপ্ত ঘুম হয়ে যাওয়ার পর আমাদের ঘুম ভেঙে যায়। অ্যালার্ম দেওয়া সত্ত্বেও অ্যালার্ম বাজার আগেই ঘুম ভেঙে যায়। কারণ অ্যালার্ম আমাদের মস্তিষ্কের উপর চাপ সৃষ্টি করে। এই চাপ সৃষ্টি এড়ানোর জন্য মস্তিষ্কে থাকা প্রোটিন রিলিজ আমাদের ঘুম ভেঙে দিতে সাহায্য করে। এটি যদি আমরা সাহায্য করে। 

এটি যদি আমরা সূক্ষ্মভাবে কাজে লাগাই তাহলে আমরা বেশি সময় ধরে ঘুমিয়ে থাকা এড়িয়ে চলতে পারব। তাই আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আমরা জানলাম কেন আমরা এলার্মের আগে ঘুম থেকে উঠে যাই।

সুড়সুড়ি দিলে কেন হাসি পায়

সুড়সুড়ি দিলে কেন হাসি পায় এ সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব। আমরা হয়তো সকলেই খেয়াল করে দেখেছি যে, আমরা নিজেরা যদি নিজেকে সুড়সুড়ি দেই। তখন কিন্ত আমরা হাসিনা । কিন্ত যখনই অন্য কেউ আমাদের সুড়সুড়ি দেয় আমরা আনলিমিটেড হাসতে থাকি। কিন্তু কেনো? এইটা এখন বিজ্ঞানের কাছে রহস্য ময়। 

আমাদের দেহের সুড়সুড়ি দায়ক স্থান হলো বগলের নিচে এবং পেটের দুপাশে। যেই গুলো বেশ কিছু লার্ভ এবং গুরুত্ব পূর্ণ অর্গাল ঢেকে রাখে। এবং এইগুলা খুবই সংবেদনশীল । এইজন্য আমাদের যখন কেও সুড়সুড়ি দেয় আমরা এইগুলো রক্ষা করতে ব্যাস্ত থাকি এবং হাসতে থাকি। সুড়সুড়ি দিলে কেন হাসি-পাশে সম্পর্কে আমরা জানলাম।

নার্ভাস হলে কেন ঘাম হয়

নাভার্স হলে কেন ঘাম হয় তা সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব। আমরা যখন নার্ভাস হয়ে যায় তখনই আমাদের শরীর থেকে ঘাম বের হয়। এটি মূলত হয়ে থাকে যখন আমরা মানসিক চাপ অনুভব করি তখনই শরীর থেকে ঘাম হিসেবে প্রচুর তৈল বের হয়। এটি খুবই অসস্তিকর একটা বিষয়। এটি মূলত কোনো ভাষণ দিতে যেয়ে কোনো চাকরির ইন্টারভিউ বা ডেট এ থাকার সময় বেশি হয়ে থাকে। 

সেই সময় আমরা খুবই নার্ভাস বা ভয় পাই তাই আমাদের শরীর থেকে ঘাম বের হয়। কিন্ত আমরা যদি এই জিনিসটা এড়িয়ে চলতে পারি তাহলে জীবনে অনেক কিছু অর্জন করতে পারবো। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে নার্ভাস হলে কেন ঘাম হয় সে সম্পর্কে আমরা জানলাম।

আবহাওয়া কিভাবে আপনাকে মাথা ব্যথা দেয়

আবহাওয়া কিভাবে আপনাকে মাথাব্যথা দেয় সে সম্পর্কে আজ আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব। সবাই হয়ত জেনে অবাক হবে যে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারনে মাথা ব্যথা সৃষ্টি হয়। যার কারণে শরীরে একটি অস্বস্থিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। এটি হয় মূলত বায়ু চাপের কারণে। বায়ুচাপের কারণে মানুষের মানবদেহের ধমনী এবং শিরা সংকুচিত এবং প্রসারিত হতে থাকে। 


এই শিরা এবং ধমনী এতটাই প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে যে মানুষের দেহের ভেতর এবং বাহিরে চাপের প্রভাব পড়ে। ফলে মাথা ব্যথা সৃষ্টি হয়। এইটা শুনে হয়ত অনেকেই অবাক হবে। আজকের আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আমরা আবহাওয়া কিভাবে আপনাকে মাথা ব্যথা দেয় সে সম্পর্কে জানলাম।

যানবাহনে কেন অসস্তি হয়

আমাদের ব্যস্ত শহরে যানবাহনে চলাচল করাই লাগে। কিন্তু অনেকেরই যানবাহনে উঠতে অস্বস্তি হয় তাই আজকের আর্টিকেলে যানবাহনে কেন অসস্তি হয় সে সম্পর্কে আমরা জানবো । যানবাহনে প্রায় অধিকাংশ মানুষেরই বমি এবং অসস্থি বোধ হয়ে থাকে। 

কিন্তু এইটা কেন হয় তা হয়ত অনেকেরই জানা নেই। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক এটি কেন হয়। গাড়িতে বসে থাকাকালীন আমাদের ব্রেনে কোনো মুভমেন্ট সৃষ্টি হয় না। কিন্তু ব্যক্তির কান তার শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখে। এই কারণে কান ব্যক্তিকে অনুভব করার যে মুভমেন্ট হচ্ছে। কান ও ব্রেন এর বিপরীত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির কারণে শরীরে অস্বস্থিবোধ সৃষ্টি হয়। 

তার ফলে বমি হয়। অনেকেই এটি শুনে অবাক হবে এবং কেউ এটি ভেবেও দেখিনি। তাই আজকের আর্টিকেলে যানবহনে উঠলে অসস্তি কেন হয় তা সম্পর্কে জানলাম।

রোদে আমাদের ত্বক কালো হয়ে যাওয়ার কারন কি

রোদে আমাদের ত্বক কালো হয়ে যাওয়ার কারন সম্পর্কে বিস্তারিত জানব। আমাদের শরীরে এক ধরনের মেলানিন সৃষ্টি হয় । যা হতে নিঃসৃত UV-Ray কে প্রতিবোধ করতে সহায়তা করে। আমাদের শরীর থেকে মেলানিন তৈরি হওয়ার সাথে সাথে তুক কালো হতে শুরু করে। আমাদের চুল- এও মেলানিন উপস্থিত। 

কিন্তু সেটি Uv-Ray - কে প্রতিবোধ করতে ততটাও সক্ষম নয় যতটা ত্বক হতে বের হওয়া মেলানিন সক্ষম।মেলানিন সর্ম্পকে হয়ত অনেকেরই পর্যাপ্ত জ্ঞান নেই। মেলানিন হলো এক ধরণের রঞ্জক পদার্থ। যা মেলানোসাইট নামক কোষ থেকে তৈরি হয়, যার কারণে মানুষ বা অনান্য প্রাণীর চামড়ার, চুল ও চোখের মণি পাখির পলক কালো হয়। 

আর এটির কারনেই রোদে আমাদের ত্বক কালো হয়। উপরোক্ত আলোচনা শেষ করে জানলাম রোদে আমাদের ত্বক কালো হয়ে যাওয়ার কারণ।

কেন আমরা কানে বাজতে শুনি

কেন আমরা কানে বাজতে শুনি এ সম্পর্কে আজ বিস্তারিত আলোচনা করবো। আমাদের কানের অভন্তরীণ সূক্ষ্ম চুলগুলো প্রকম্পিত হয়ে সাউন্ড ওয়েড এর সৃষ্টি করে। আর এটি আমাদের ব্রেনে সিগন্যাল পাঠায়। আমাদের নার্ভ নষ্ট হওয়ার মূল কারণ হলো উচ্চ স্বরে কিছু শোনা। উচ্চস্বরে কিছু শুনলে আমাদের কানের সাথে সাথে মাথাতেও বিপাকিয়তা সৃষ্টি হয়।

এই জন্য আমাদের ব্রেন মিথ্যা বার্তায় প্রচলিত হতে থাকে। এটি অনবরত হওয়ার কারণে আমাদের কান বাজতে থাকে। এটি শুনে হয়ত অনেকেই আকাশ থেকে পড়বে। এবং এটি সকলেরই জানা উচিত। আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আমরা জানলাম যে কেন আমরা কানে বাজতে শুনি।

অনেক খাবার খেলে কেন অলস লাগে

অনেক খাবার খেলে কেন অলস লাগে আজ তার সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিই। বেচে থাকার জন্য আমাদের সকলেরই খাবার এবং পানির প্রয়োজন। এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনেরই রুটিন। আমাদের যখন ক্ষুধা লাগে তখন ব্রেন আমাদের সিগন্যাল জানায়, যে আমাদের ক্ষুধা পেয়েছে। 

খাবার খাওয়ার পর খাবার হজম করার জন্য আমাদের শরারের বিশ্রাম এর প্রয়োজন হয়। এবং ব্রেন আমাদের এটিরও সিগনাল দিয়ে দেই। এই সময় শরীরের ভেতর একটি অলসতা সৃষ্টি হয়।এর কারণে আমাদের খাবার গ্রহণের পর বিশ্বামের প্রয়োজন হয়। তাই আজকে আর্টিকেলটি পড়ে আমরা জানলাম অনেক খাবার খেলে কেন অলস লাগে।

আমাদের শেষ কথা

মানবদেহের এই ১০ টি অজানা তথ্য হয়ত অনেকেরই ভালো লেগেছে। এবং অনেকেই হয়ত জেনে অবাকও হবেন যে আমাদের দেহে এত কিছু অজানা রহস্য ঘটে থাকে। আশা করি, এই আর্টিকেলটি সবার ভালো লাগবে। সর্বপরি, এই রকম অজানা সব তথ্য পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। ধনবাদ সবাইকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

fasttechit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url