হাঁসের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা

কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতাহাঁসের ডিম আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। কিন্তু আমরা বেশিরভাগ বাঙালি মুরগির ডিম খেয়ে অভ্যস্ত। কিন্তু আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য যারা হাঁসের ডিম খেতে পছন্দ করেন। 
https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjg-lRl3_3No3PgzGrkZHvjKpYlHDBQb3M6wh_Qjth7O8ZKrS_yaj3RqJ3lqa_xSP6myTZerznRI_Hbu1KIGa0VmBxl_gmRQsrueoZAzYyyOjucJmHUHpAK269mLZTBi_BqPo3tqhmKOgGJLaRSSt0_u2TdUZQZ5h_UsBbKubkorOVP_z02Z-dVQ2TGIAU/s320/%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE%20%E0%A6%93%20%E0%A6%85%E0%A6%AA%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE.jpg

পোষ্ট সূচিপত্রঃআজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন হাঁসের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা। তাহলে আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক হাঁসের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।

সিদ্ধ হাঁসের ডিমের উপকারিতা

সিদ্ধ হাঁসের ডিমের উপকারিতা তোর কি বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। ডিম অত্যান্ত পুষ্টিকর একটি খাবার। ডিম অনেক ভাবেই খাওয়া যায়। তবে এর মধ্যে সিদ্ধ ডিমের ভালো পুষ্টিগুণ সরবারহ করে। হাঁসের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা দুইটাই আছে। 


সিদ্ধ ডিমের ক্যালোরি যে মোটামোটি কম। ডিমে রয়েছে পুষ্টি, প্রোটিন, ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জাতীয় খাবার যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহযোগিতা করে। ওজন কমানোর জন্য সিদ্ধ ডিম উপকারী।

মুরগির ডিমের তুলনায় হাঁসের ডিমের কুসুম বড়ো হওয়ায় এতে কার্বোহাইড্রেট ও মিনারেলের পরিমাণ সমান হলেও হাঁসের ডিমে প্রোটিন এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ সামান্য বেশি থাকে।এতে অতিরিক্ত ভিটামিন বি ১২ রয়েছে।

হাঁসের ডিম খেলে কি প্রেসার বাড়ে

হাঁসের ডিম খেলে কি প্রেসার বাড়ে সে সম্পর্কে আপনারা জানতে চান? আসুন তাহলে আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে জেনে নিয়। হাঁসের ডিম যেমন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো ঠিক উল্টো পাশে প্রেসারের মানুষের ক্ষতি হয়। তাই অবশ্যই খাওয়ার সময় সচেতনতা অবলম্বন করে খাইতে হবে। অতিরিক্ত ডিম খাওয়া উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, কোলেস্টেরল এর জুকি বাড়ায়। 

তাই এই বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। কিন্তু দেখা গেছে দিন ২টি ডিম্ খেলে এরকম কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না। কারণ আমাদের সবার শরীর এক রকম নয়। হয়তো কারো শরীরে বেশি প্রভাব ফেলতে পারে আবার কারো শরীরে তাই অবশ্যই নিজের শরীর অনুযায়ী খাবার খেতে হবে। এরই মাধ্যমে আমরা হাঁসের ডিম খেলে কি প্রেসার বাড়ে সে সম্পর্কে বুঝতে পেরেছি।

হাঁসের ডিমের পুষ্টিগুণ

হাঁসের ডিমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। হাসির ডিমে অবশ্যই পুষ্টিগত গুনাগুন আছে । প্রতি ১০০ গ্রাম হাঁসের ডিমে ১৮৫ ক্যালোরি এনার্জি পাওয়া যায়। বিপরীত পক্ষে মুরগির ডিমে থাকে ১৫০ ক্যালোরি এনার্জি প্রায়। থিয়ামিন, নিয়াসিন, রাইবোফ্লোভিন, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, ফোলেট, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১২ ও রেটিনল 


এই ভিটামিন গুলো তুলনামূলক ভাবে মুরগির ডিমের তুলনায় হাঁসের দিমে বেশি থাকে। তাই শিশুদের আমাদের হাসির ডিম খাওয়ানোর অভ্যাস করানো উচিত কারণ এটি বেশি স্বাস্থ্যকর। এই মাধ্যমে হাঁসের ডিমের পুষ্টিগত গুণ সম্পর্কে আমরা জানলাম।

হাঁসের ডিমের দাম ২০২৩

হাঁসের ডিমের দাম ২০২৩ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত কিছু বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। দিন দিন দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়েই চলেছে । তাই অনেকেরই বাজারজাত করতে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে । তাই এই বিষয়গুলো খেয়াল রেখে আমাদের বাজার করা উচিত। হাঁসের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা দুইটি বিদ্যমান । 

বর্তমান বাজার মূল্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যাই ১ হালি হাঁসের ডিমের দাম ৬০-৭০ টাকা এবং ১ ডজন হাঁসের ডিমের মূল্য ২০৫ টাকা প্রায়। এরই মাধ্যমে হাঁসের ডিমের দাম ২০২৩ সালের বিস্তারিত জানলাম 

হাঁসের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা

হাঁসের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা যাক । পৃথিবীর প্রত্যেকটি উপকারী খাবার এর অপকারিতা আছে ,হাঁসের ডিম ও এর ব্যাতিক্রম নয়। ডিমকে সুপার ফুড বলা হয়। হাঁসের ডিমে মুরগির ডিমের তুলনায় সমস্ত ভিটামিন বেশি থাকায় এটি একটু বেশি উপকারী।


আমাদের দেহের অতি প্রয়োজনীয় একটি উপাদান হচ্ছে প্রোটিন। প্রোটিনের একটি ভালো উৎস হচ্ছে হাঁসের ডিম। হাঁসের ডিম কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। আমাদের দেহের খারাপ কোলেস্টোরল হাঁসের ডিম্ নষ্ট করে দেয় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

চোখ ভালো রাখতে ডিমের জুড়ি নেই। চোখের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ভিটামিন হচ্ছে ভিটামিন এ। হাঁসের দিমে রয়েছে ভিটামিন এ এর উৎস। দিমে থাকে ক্যারোটিনয়েড যা চোখের জাতি বাড়ায়।

হাঁসের ডিমের অপকারিতা

হাঁসের ডিমের অপকারিতা তখন ই লক্ষণীয় যখন এটি বেশি পরিমানে খাওয়া হয়। অতিরিক্ত ডিম খাওয়া কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে যা হৃদরোগের কারণ।

আমাদের শেষ কথা

ইতিমধ্যে হাঁসের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানলাম । আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। আরো এমনই নতুন নতুন তথ্য ও টপিক সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখুন। 

আমাদের আর্টিকেলগুলো পড়ুন আশা করি আপনাদের সাহায্য করতে পারব। আজকের মত এই পর্যন্তই দেখা হবে পরবর্তী কোন টপিকে। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

fasttechit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url