জলহস্তি কিভাবে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর
কুমির কোন শ্রেণীর প্রাণীজলহস্তী একটি জনপ্রিয় প্রাণী। সাধারণত আফ্রিকায় এই জলহস্তী বেশি দেখতে পাওয়া যায়। জনপ্রিয় এই প্রাণী,জলহস্তির যেমন উপকারীতা আছে তেমনি আছে অপকারিতা। জলহস্তী কিভাবে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর তা আমাদের জানা দরকার।
পোস্ট সূচিপত্রঃসাধারণত আফ্রিকার জলাশয় গুলোতে জলহস্তী দেখতে পাওয়া যায়। বিশাল দেহের অধিকারী এই প্রাণীর গায়ে অনেক শক্তি থাকে। জলহস্তী একটি মাংসাশী এবং তৃণভোজী প্রাণী। সচরাচর অনেক জায়গায় জলহস্তী মানুষকে আক্রমণ করতে দেখা যায়। আমাদের সকলেরই জলহস্তির সম্পর্কে ধারণা রাখা প্রয়োজন।
জলহস্তি এর বৈশিষ্ট্য
জনপ্রিয় এই প্রাণী জলহস্তির বৈশিষ্ট্য একটু ব্যতিক্রম। জলহস্তীর সুবিশাল একটি দেহ এবং একটি বিশাল মাথা আছে, এর চারটি পা এবং প্রত্যেকটি পায়ে চারটি করে আঙ্গুল আছে, জলহস্তীর ছোট্ট একটা লেজ আছে।এই জলহস্তী সম্পর্কে অনেক জ্ঞান আমাদের অজানা। সকলেরই উচিত জলহস্তী সম্পর্কে কমবেশি ধারনা রাখা।
জলহস্তি এর খাদ্য
সাধারণত জলহস্তির মূল খাদ্য হলো জলজ আগাছা, গাছের কচি পাতা এবং ঘাস। কখনো কখনো এই জলহস্তী বিভিন্ন ছোট পশুপাখিকে খেয়ে থাকে। বিভিন্ন সময় একটি জলহস্তী অন্য একটি মৃত জলহস্তির মাংস খেতে দেখা যায়। এই প্রাণী মাংসাশী এবং তৃণভোজী। এরা সাধারণত দল বেঁধে থাকতে পছন্দ করে।
জলহস্তির বাসস্থান
পৃথিবীর সকল অঞ্চলে এই জলহস্তী দেখতে পাওয়া না গেলেও, এদের মূল বাসস্থান হলো আফ্রিকার বিভিন্ন জলাভূমি। এরা সাধারণত জলে এবং স্থলে উভয় জগাই বাস করে। দিনের বেশিরভাগ সময় এরা জ্বলে থাকতে পছন্দ করে।
আরও পড়ুনঃ হাঙ্গরের মাংস খাওয়া হয় না কেন
জলহস্তী তার নিজের এলাকা মল-মূত্র দ্বারা চিহ্নিত করে রাখে । দিনের বেশিরভাগ সময় জলে থাকলেও রাতের বেলা এই প্রাণী স্থলে বসবাস করে।
জলহস্তী কতবড় হতে পারে
ভয়ানক দেখতে এই প্রাণী সুবিশাল দেহের অধিকারী এবং অত্যন্ত বড় হয়ে থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে পৃথিবীর সব থেকে বড় জলহস্তীর ওজন ১৪০০ কেজি। একটি প্রাপ্তবয়স্ক জলহস্তী প্রায় সাড়ে চার ফুট বা ৫ ফুট পর্যন্ত বড় হয়ে থাকে।
পৃথিবীতে জলহস্তী কয় প্রজাতির
পুরো পৃথিবীতে এক প্রজাতির জলহস্তী পাওয়া যায়। জলহস্তী সাধারণত আফ্রিকার জলাভূমিতে দেখতে পাওয়া যায়। ভয়ানক এই প্রাণীর ইংরেজি নাম (হিপোপটেমাস)। বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন চিড়িয়াখানা গুলোতে জলহস্তী দেখতে পাওয়া যায়।
জলহস্তি কিভাবে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর
ভয়ানক দেখতে এই প্রাণী জলহস্তির অনেক ক্ষতিকর দিক আছে। তাই আমাদের সকলের উচিত জলহস্তী কিভাবে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর তা জানা। জলহস্তী সাধারণত জলে তার মলমূত্র ত্যাগ করে জল দূষিত করে ফেলে।
আরও পড়ুনঃ তিমি মাছ কতদিন বাঁচে
জলহস্তির যে অঞ্চলের জলে থাকে সেখানে কোন জলজ প্রাণী বসবাস করতে পারে না। বর্তমানে জলহস্তী একটি আক্রমণাত্মক প্রাণী হিসেবে পরিচিত। অনেক সময় জলহস্তী মানুষকে আক্রমণ করতে দেখা যায় এবং অনেক মানুষ জলহস্তির আক্রমণে মারাও গেছে।
জলহস্তির স্বভাব
বিখ্যাত এই প্রাণী জলহস্তী সম্পর্কে অনেক জ্ঞান এখনো মানুষের অনেক অজানা। ভয়ানক এই প্রাণীর স্বভাব অনেক আক্রমণাত্মক। সাধারণত এদের এরিয়াতে কোন প্রাণী বা মানুষ ঢুকলে তার উপর আক্রমণ করতে দেখা যায়।
আরও পড়ুনঃ শামুক খেলে কি কি উপকার করে
জলহস্তী সাধারণত দলবেঁধে চলতে পছন্দ করে। জলহস্তী যে জলাশয় গুলিতে থাকে সেখানে মানুষ তো দূরের কথা কোন জলজ প্রাণীও যেতে পারে না। সাধারণত জলহস্তির স্বভাব খুবই আক্রমণাত্মক এবং হিংস্র। আমাদের সকলেরই উচিত জলহস্তী সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা।
আমাদের শেষ কথা
ভয়ানক দেখতে এই প্রাণী জলহস্তি অনেক হিংস্র স্বভাবের। পৃথিবীর সকল অঞ্চলে এই প্রাণীকে দেখতে পাওয়া যায় না। সাধারণত জলহস্তী বেশি দেখতে পাওয়া যায় আফ্রিকার জলাশয় গুলিতে। জলহস্তী পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর একটি প্রাণী, কারণ এরা যে জলাশয় থাকে সেই জলাশয় দূষিত করে ফেলে।
অনেক হিংস্র স্বভাবের হওয়ার কারণে অনেক মানুষ জলহস্তির আক্রমণে মারা গেছে। বর্তমান সময়ে জলহস্তী একটি আক্রমনাত্মক প্রাণীর তালিকায় রয়েছে। বাংলাদেশের মতো বিভিন্ন দেশের চিড়িয়াখানাগুলোতে জলহস্তিকে দেখতে পাওয়া যায়। জলহস্তী সাধারণত পানিতে থাকা আগাছা, গাছের পাতা, ঘাস ইত্যাদি খেয়ে থাকে।
কখনো কখনো এই প্রাণীকে অন্য প্রাণীর মাংস খেতে দেখা যায়। অনেক বিশাল দেহের অধিকারী এই প্রাণী অনেক হিংস্র বলে গণ্য করা হয়। জলহস্তী সম্পর্কে অনেক তথ্য আজ অজানা,আমাদের সকলেরই উচিত জলহস্তী সম্পর্কে কমবেশি ধারণা রাখা।
fasttechit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url