মানুষ কবুতর পালন করে কেন
হরিণ কতটা শক্তিশালীকবুতর বাংলাদেশের একটি বিখ্যাত পাখি। কমবেশি প্রায় সকল অঞ্চলেই এই কবুতর দেখতে পাওয়া যায়। কবুতর অনেক জাতের হয়ে থাকে তবে দেশি কবুতর সব থেকে জনপ্রিয়। মানুষ কবুতর পালন করে কেন এবং এর সম্পর্কিত তথ্য আমাদের জেনে রাখা প্রয়োজন।
পোস্ট সূচীপত্রঃগবেষণায় দেখা গেছে পৃথিবীতে প্রায় ১২০ জাতের বা তার অধিক কবুতর আছে। তবে বাংলাদেশে মাত্র ২০ টি জাতের কবুতর পাওয়া যায়। মানুষ কবুতর পালন করে শখের বসে। কবুতর থেকে মানুষ অনেক টাকা উপার্জন করে এবং কবুতরের মাংসে অনেক পুষ্টিগুণ আছে। পরিবারের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে কবুতর অনেক ভূমিকা রাখে।
কবুতরের বিশেষ বৈশিষ্ট্য কি কি
বিখ্যাত এই পাখিটির বৈশিষ্ট্য অন্যরকম। কবুতর সাধারনত দেখতে অনেকটা ঘুঘু পাখির মত। এরা সাধারনত জোড়া বেঁধে বসবাস করে। দেশি কবুতর সাধারণত গম, সরিষা দানা, ধান এবং দানা জাতীয় খাবার খেয়ে থাকে। দেশি কবুতর সাধারণত দুটি করে ডিম দিয়ে থাকে।
আরও পড়ুনঃ মাকড়সার জীবন চক্র
একটি প্রাপ্তবয়স্ক দেশী কবুতর মাসে একবার করে ডিম দিয়ে থাকে। একটি দেশি কবুতরের ডিম দেওয়ার উপযোগী হয়ে উঠতে পাঁচ থেকে ছয় মাস সময় লাগে।
কত জাতের কবুতর আছে
গবেষণায় দেখা গেছে পুরো পৃথিবীতে ১২০ জাতের বা তার অধিক কবুতর আছে। বাংলাদেশের সাধারণত ২০ জাতের কবুতর দেখতে পাওয়া যায়। বাংলাদেশের দেশি কবুতরের সংখ্যা অনেক। বাংলাদেশের মানুষ তিনটি জাতের কবুতর বেশি পালন করে থাকে। দেশি কবুতর, জালালী কবুতর, গিরিবাজ কবুতর, বাংলাদেশের অত্যন্ত বিখ্যাত।
সবচেয়ে বেশি প্রচলিত কবুতর কোনটি
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সব থেকে বেশি প্রচলিত কবুতর হলো দেশি কবুতর। দেশি কবুতর পালনের চাহিদা বেশি থাকার কারণ হলো এই কবুতর প্রত্যেক মাসেই ডিম দিয়ে থাকে। দেশি কবুতরের মাংসে অনেক পরিমাণে পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়।
বাংলাদেশের অনেক হাটবাজারে দেশি কবুতরের চাহিদা অনেক বেশি। দেশি কবুতরের পাশাপাশি বাংলাদেশের মানুষ গিরিবাজ কবুতর পালন করে থাকে। গিরিবাজ কবুতর বাংলাদেশের জনপ্রিয় একটি কবুতর।
মানুষ কবুতর পালন করে কেন
বেশিরভাগ মানুষ শখের বসে কবুতর পালন করে থাকে। তবে বর্তমান সময়ে মানুষ কবুতর পালন করে অনেক টাকা উপার্জন করে। বর্তমান সময়ে কবুতরের চাহিদা অনেক বেশি, কারণ কবুতরের মাংসে অনেক পরিমানে পুষ্টি উপাদান থাকে।
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে কবুতরের খামার অনেক জায়গা দেখতে পাওয়া যায়। মানুষ বিভিন্ন কারণে কবুতর পালন করে থাকে,তবে বেশিরভাগ মানুষ সখের বসে এবং কবুতর থেকে আয় করার জন্য এর পালন করে থাকে।
কবুতরের শ্রবণশক্তি কি ভালো
কবুতর সম্পর্কে অনেক তথ্যই মানুষের অজানা। তবে আমাদের উচিত মানুষ কেন কবুতর পালন করে, কবুতরের বৈশিষ্ট্য এবং এর সম্পর্কে কিছু পরিমাণ ধারণা রাখা। কবুতরের দৃষ্টি শক্তির তুলনায় শ্রবণশক্তি অনেক বেশি।
আরও পড়ুনঃ শামুক খেলে কি কি উপকার করে
কবুতর অনেক দূরের আওয়াজ শুনতে পায়। সাধারণত গিরিবাজ কবুতরের শ্রবণ শক্তি সবথেকে বেশি। গিরিবাস অনেক দূরের শব্দ শুনে তার প্রতিক্রিয়া করতে পারে।
রেসিং এর জন্য কোন ধরনের কবুতর ব্যবহার করা হয়
বাংলাদেশে খুবই কম কবুতরের রেসিং দেখতে পাওয়া যায়। তবে ভারতে অনেক অঞ্চলেই কবুতরের রেসিং হয় এবং হয়ে যাচ্ছে। রেসিং এর জন্য বিখ্যাত হলো রেসার কবুতর। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে রেসার কবুতর সহ আরো বিভিন্ন জাতের কবুতর দিয়ে রেস করানো হয়।
গিরিবাজ কবুতরও বিভিন্ন জায়গায় রেসিং এর জন্য ব্যবহার করা হয়। একটি প্রফেশনাল রেসার কবুতরের মূল্য লক্ষ্য টাকার অধিক।
কবুতরের বাসস্থান কোথায়
বিভিন্ন জংলি কবুতর বিভিন্ন গাছ পালার ডালে বা উঁচু কোন টাওয়ারে বাসা বানিয়ে থাকে। কবুতরের খামার করার জন্য কবুতরের বাসা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। কবুতরের বাসা সাধারণত সূর্যের আলো এবং বাতাস চলাচল যেখানে করে সেখানে বানানো উত্তম।
কবুতরের বাসা সাধারণত উঁচু কোন জায়গায় বানানো হয়। কবুতরের বাসা বানানোর সময় অবশ্যই এই বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে এবং এর বাসা দক্ষিণমুখী হওয়া উচিত।
আমাদের শেষ কথা
কবুতর বাংলাদেশের বিখ্যাত একটি পাখি। সাধারণত বাংলাদেশের প্রায় সকল অঞ্চলে কবুতরের খামার দেখতে পাওয়া যায়। কবুতর একটি উপকারী পাখি। কবুতরের মাংসে অনেক পরিমানে পুষ্টিগুণ থাকে তাই এর চাহিদা অনেক। কবুতরের মাংস মানুষের রক্ত পরিষ্কার এবং বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। বাংলাদেশের অনেক অঞ্চলের মানুষ কবুতর পালন করে অনেক টাকা উপার্জন করছে।
কবুতরের গুনাগুনের শেষ নেই তাই এর চাহিদা সব সময় লেগেই থাকে। একটি পরিবারের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে কবুতর অনেক ভূমিকা পালন করে। আমাদের সকলেরই উচিত কবুতর সম্পর্কিত তথ্য এবং মানুষ কবুতর পালন করে কেন এই সকল বিষয়ে ধারণা রাখা।
বিভিন্ন কবুতরের জাত আজ বিলুপ্তপ্রায়, আমাদের সকলেরই উচিত এই সকল কবুতর সংরক্ষণ করা এবং লালন পালন করা।
fasttechit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url