কুমির কোন শ্রেণীর প্রাণী
হরিণ কতটা শক্তিশালীকুমির একটি খুবই জনপ্রিয় প্রাণী। পৃথিবীর প্রায় সকল অঞ্চলেই কম বেশি এই প্রাণীকে দেখতে পাওয়া যায়। কুমির একটি জলজ চতুর্পদ প্রাণী। কুমির কোন প্রজাতির প্রাণী এবং এরা কি খায় তার সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান অর্জন করার প্রয়োজন।
পোস্ট সূচিপত্রঃকুমির একটি চতুর্পদ প্রাণী যা জলে এবং স্থলের উভয় জায়গায় বসবাস করতে পারে। কুমিরের চামড়া আমাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে আসে। কুমিরের চর্বি দিয়ে বিভিন্ন ঔষধ তৈরি করা হয়। কুমির উপকারী একটি প্রাণী আবার এর অপকারও আছে।
কুমিরের বৈশিষ্ট্য
চার পা বিশিষ্ট এই প্রাণী দেখতে খুবই ভয়ানক। কুমিরের মাথা সরু এবং দীর্ঘ আকারের হয়ে থাকে। কুমিরের নিচের এবং উপরের চোয়াল খুবই শক্তি সম্পন্ন হয়ে থাকে। এর একটি লম্বা লেজ থাকে এবং লেজের কাটা কাটা আকৃতির চামড়া থাকে।
আরেও পড়ুনঃ মাকড়সার জীবন চক্র
কুমিরের চামড়া মানুষের অনেক কাজেই আসে। কুমির জলে এবং স্থলে উভয় জায়গায়ই থাকতে পারে তবে, কুমির বেশিরভাগ সময় জলে থাকতে পছন্দ করে।
কুমিরের গুরুত্ব কি
ভয়ানক এই প্রাণী কুমিরের গুরুত্ব অনেক। কুমির দেশের অর্থনীতিতে অনেক ভূমিকা রাখে। কুমিরের চামড়া মানুষের বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। কুমিরের চামড়ায় দ্বারা বিভিন্ন জুতা এবং ব্যাগ তৈরি করা হয়।
আরেও পড়ুনঃ শামুক খেলে কি কি উপকার করে
কুমিরের লেজে থাকা তেল দিয়ে বিভিন্ন ঔষধে তৈরি করা হয়। বর্তমান সময়ে কুমিরের চাহিদা অনেক। তবে অনেক প্রজাতির কুমির আজ বিলুপ্তপ্রায়।
কুমিরের খাবার
কুমির একটি মাংসাশী প্রাণী, এটি ব্যাঙ, মাছ-মাংস, এবং বিভিন্ন পাখি শিকার করে থাকে। বিভিন্ন অঞ্চলে কুমির মানুষকে আক্রমণ করার ঘটনা শোনা যায়। কুমির একটি মাংসাশী প্রাণী হওয়ায় মানুষ এদের সামনে গেলে আক্রমণ করার আশঙ্কা বেশি। বর্তমানে অনেক মানুষ কুমির পালন করছে এবং তা থেকে অনেক আয় করছেন।
কুমির কি ডিম পাড়ে
একটি কুমির একবারে ৩০ থেকে ৪০টি ডিম পাড়ে। কুমির সাধারণত নদীর চরে বিভিন্ন জলাশয়ের ধারে ডিম পাড়ে। এরা জলাশয়ের ধারে গর্ত করে সেখানে ডিম পাড়ে। ডিম পাড়ার পর তা কিছুদিন পর বাচ্চা ফুটে বের হয়। কুমিরের বাচ্চা আবার অন্য পাখি বা প্রাণীর খাবার।
কুমির কত ফুট লম্বা হয়
একই প্রাপ্তবয়স্ক কুমির প্রায় সাত ফুট লম্বা হয়ে থাকে। তবে কোন কোন জায়গায় এই কুমির ১০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে । কুমির বেশিরভাগ নিচু অঞ্চলগুলোতে থাকতে পছন্দ করে। সব থেকে বেশি প্রজাতির কুমির আফ্রিকার জলাশয় গুলোতে পাওয়া যায়।
কুমিরের উপকারিতা
ভয়ানক দেখতে এই প্রাণীর কিছু উপকারিতা আছে। কুমিরের চামড়া বর্তমান সময়ে অনেক মূল্যবান। কুমিরের চামড়া দ্বারা বিভিন্ন জুতা এবং ব্যাগ তৈরি করা হয়। কুমিরের লেগে থাকা চর্বি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ তৈরি করা হয় । বিভিন্ন এলাকার মানুষ কুমির পালন করে অনেক টাকা উপার্জন করে। তাই কুমির দেশের অর্থনীতিতে অনেক ভূমিকা রাখে।
কুমির কোন শ্রেণীর প্রাণী
কুমির একটি জলজ চতুর্পদ প্রাণী। কুমিরের মাথার সরু এবং লম্বা আকৃতির হয়ে থাকে। কুমিরের গায়ে প্রচন্ড শক্তি থাকায় তারা বড় বড় শিকার করতে পারে। কুমির একটি উভচর শ্রেণীর প্রাণী।
একটা কুমির কত বছর বাঁচে
বিভিন্ন অঞ্চলের কুমির বিভিন্ন আকৃতির এবং বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া যায়। মিষ্টি পানির কুমির সাধারণত ৩০ থেকে ৪০ বছর পর্যন্তই বাঁচে । এবং এই কুমির অন্য কুমিরের তুলনায় শান্ত স্বভাবের হয়ে থাকে।
আরেও পড়ুনঃ ঈগল পাখি কত বছর বাঁচে
নোনা পানির কুমির দেখতেও অন্যরকম এবং এদের বৈশিষ্ট্য অন্যরকম। সাধারণত নোনা পানির কুমির ৭০ থেকে ৮০ বছর পর্যন্ত বাঁচে। কিন্তু কোন কোন অঞ্চলে তা ১০০ বছরের বেশি সময় বাঁচতে পারে।
কুমির কত প্রজাতির
পৃথিবীতে অনেক প্রজাতির কুমির থাকলেও বাংলাদেশে মাত্র তিনটি প্রজাতির কুমির পাওয়া যায়। বাংলাদেশের সাধারণত মিঠা পানির কুমির, নোনা পানির কুমির এবং ঘড়িয়াল কুমির দেখতে পাওয়া যায়। পৃথিবীর সব থেকে বেশি প্রজাতির কুমির পাওয়া যায় আফ্রিকার জলাশয় গুলিতে। বাংলাদেশের সাধারণত সুন্দরবন ও বান্দরবান কুমির বেশি দেখতে পাওয়া যায়।
আমাদের শেষ কথা
পৃথিবীতে কুমির একটি জনপ্রিয় প্রাণী। কমবেশি প্রায় সকল অঞ্চলেই কুমির দেখতে পাওয়া যায়। সব থেকে বেশি প্রজাতির কুমির আফ্রিকার জলাশয় গুলিতে পাওয়া যায়। কুমির একটি দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখে কারণ কুমির দ্বারা অনেক টাকা উপার্জন করা সম্ভব। কুমিরের চামড়া বর্তমান সময়ে অনেক মূল্যবান।
দক্ষিণ আমেরিকায় সব থেকে বেশি ওজনের কুমির পাওয়া যায়। বাংলাদেশে মাত্র তিনটি প্রজাতির কুমির দেখতে পাওয়া যায় তাও খুবই কম। আমাদের সকলের উচিত কুমির সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা এবং তা সংরক্ষণ করা। কুমির একটি মাংসাশী প্রাণী তাই কুমির কি খায় কুমির কোন শ্রেণীর প্রাণী এই সকল বিষয়ে মানুষের ধারণা রাখা প্রয়োজন।
fasttechit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url