মাছরাঙ্গা পাখির বাসস্থান
ঘুঘু পাখির মাংসের উপকারিতামাছরাঙ্গা বাংলাদেশের জনপ্রিয় একটি পাখি। এই পাখি সাধারণত বাংলাদেশের প্রায় সকল অঞ্চলেই দেখতে পাওয়া যায়। মাছরাঙ্গা সম্পর্কে অনেক জ্ঞান আজ অজানা, আমাদের উচিত মাছরাঙ্গা পাখির বাসস্থান, মাছরাঙ্গা পাখি কি খায় এবং এই পাখির সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জেনে রাখা।
পোস্ট সূচীপত্রঃসাধারণত মাছরাঙ্গা পাখির বাসস্থান নদী নালার ধারে। এই পাখি সাধারণত বাংলাদেশের নদী-নালা এবং খাল- বিল অঞ্চলগুলোতে বেশি দেখতে পাওয়া যায়। মাছরাঙ্গা পাখি সাধারণত মাছ শিকার করে থাকে বলেই এর নাম মাছরাঙ্গা।
মাছরাঙ্গা পাখির বৈশিষ্ট্য
অন্য সকল পাখির তুলনায় মাছরাঙ্গা পাখির বৈশিষ্ট্য একটু অন্যরকম। মাছরাঙ্গা পাখির দেহের তুলনায় মাথা বড় হয়ে থাকে। এই পাখির তীক্ষ্ণ লম্বা একটি ঠোঁট আছে। মাছরাঙ্গা পাখির খাটো পা এবং খাটো লেজ থাকে।
এই পাখি সাধারণত উজ্জ্বল রং এর এবং নারী ও পুরুষের ক্ষেত্রে একটু ভিন্নতা আছে। সকল পাখির তুলনায় মাছরাঙ্গা পাখির বৈশিষ্ট্য একটু ব্যতিক্রম। সাধারণত নদীর ধার গুলোতে মাছরাঙ্গা পাখির বাসস্থান হয়ে থাকে।
মাছরাঙ্গা পাখির খাবার
বাংলাদেশে সাধারণত মাছরাঙ্গা পাখির বাসস্থান খাল - বিল এর নিকট হয়ে থাকে। মাছরাঙ্গা পাখির খাবার সাধারণত মাছ। মাছ ব্যতীত এই পাখি বিভিন্ন জলজ পোকামাকড়, ব্যাঙ্গাচি, এবং কীটপতঙ্গ খেয়ে থাকে। মাছরাঙ্গা পাখির খাবার এর মধ্যে মাছ অন্যতম বলেই এর নাম মাছরাঙ্গা।
মাছরাঙ্গা পাখির বাসস্থান
বাংলাদেশের প্রায় সকল অঞ্চলেই মাছরাঙ্গা পাখির বাসস্থান দেখতে পাওয়া যায়। মাছরাঙ্গা পাখি সাধারণত নদী -নালা, খাল -বিল এবং বিভিন্ন পুকুরের ধারে বাসা তৈরি করে থাকে। মাছরাঙ্গা পাখির বাসস্থান সাধারণত মাটির ছোট গর্তে, বিভিন্ন গাছের কোঠরে হয়ে থাকে।
মাছরাঙ্গা পাখি সাধারণত ছোট ছোট খড়কুটো দিয়ে এর বাসা তৈরি করে থাকে। এই পাখি নদী -নালার কাছে বাসা তৈরি করার কারণে, এই পাখির শিকার করতে অনেক সুবিধা হয়।
মাছরাঙ্গা পাখির বৈজ্ঞানিক নাম
মাছরাঙ্গা পাখির বৈজ্ঞানিক নাম আলসেডো।মাছরাঙ্গা পাখি বাংলাদেশ, ইউরোপ, আফ্রিকা সহ আরো বিভিন্ন দেশে পাওয়া যায়। মাছরাঙ্গা সাধারণত মাছ শিকার করে থাকে তাই এটি একটি মাংসাশী পাখি। মাছরাঙ্গা পাখির বাসস্থান অন্য পাখির তুলনায় একটু ব্যতিক্রম।
এরা সাধারণত নদী-নালার ধারে বাসা তৈরি করে। আমাদের উচিত মাছরাঙ্গা পাখির বৈজ্ঞানিক নাম, মাছরাঙ্গা পাখির বাসস্থান এবং এই পাখি কি খায় তা জেনে রাখা।
মাছরাঙ্গা পাখির গায়ের রং
মাছরাঙ্গা পাখির বাসস্থান নদীর ধারে হলেও এরা কখনো কখনো উঁচু গাছের ডালেও বাসা তৈরি করে। মাছরাঙ্গা পাখির গায়ের রং অন্য পাখির তুলনায় একটু ব্যতিক্রম। মাছরাঙ্গা পাখির গায়ের রং সাধারণত চকচকে হয়ে থাকে। এই পাখির দেহের উপরিভাগ নীলচে সবুজ এবং নিচে কমলা রঙের হয়ে থাকে। মাছরাঙ্গা পাখির তীক্ষ্ণ লম্বা কালো একটি ঠোট আছে।
মাছরাঙ্গা পাখি দেখার সেরা জায়গা
মাছরাঙ্গা পাখির বাসস্থান নদীর ধারে হওয়ায়, মাছরাঙ্গা পাখি দেখার সেরা জায়গা নদীর কিনারে গুলি। বাংলাদেশে মাছরাঙ্গা পাখি দেখার সেরা জায়গা গুলি হলো,বিভিন্ন নদী-নালার ধারে এবং বড় বড় জলাশয় গুলির কাছে।বিভিন্ন সময় মাছরাঙ্গা পাখি উঁচু গাছের ডালে দেখতে পাওয়া যায়, তবে বেশিরভাগ সময় এই পাখি নদীর ধারে থাকে।
মাছরাঙ্গা পাখির স্বভাব
মাছরাঙ্গা পাখি মাংসাশী পাখি হলেও এটি একটি শান্ত স্বভাবের পাখি। মাছরাঙ্গা পাখির স্বভাব শান্ত হলেও নিজের আত্মরক্ষার জন্য এরা অনেক হিংস্র হয়ে উঠতে পারে । মাছরাঙ্গা পাখির প্রিয় খাদ্য মাছ হওয়ায়, মাছরাঙ্গা পাখির বাসস্থান নদীর কাছে। শিকারি পাখি হওয়া সত্বেও মাছরাঙ্গা পাখির স্বভাব খুবই শান্ত।
মাছরাঙ্গা পাখির প্রজনন
মাছরাঙ্গা পাখির প্রজনন সম্পর্কে অনেক তথ্যই রয়েছে। মাছরাঙ্গা পাখি সাধারণত একসাথে 8 থেকে 13 টি ডিম পাড়ে। মাছরাঙ্গা পাখির প্রজনন এর সময় এরা নির্জন জায়গা পছন্দ করে। মাছরাঙ্গা পাখির ডিম থেকে বাচ্চা ফুটতে ১৮ থেকে ২০ দিন সময় লাগে। মাছরাঙ্গা পাখির বাসস্থান নদীর ধারে হলেও, এই পাখির প্রজননের সময় এরা নির্জন এলাকা গুলিতে চলে যায়।
আমাদের শেষ কথা
বাংলাদেশ সহ আরও বিভিন্ন দেশে মাছরাঙ্গা পাখি দেখতে পাওয়া যায়। মাছরাঙ্গা পাখির বাসস্থান সাধারণত নদীর ধার গুলি এবং এর প্রিয় খাদ্য হলো মাছ। পুরো পৃথিবীতে প্রায় ৯০ প্রজাতিরও অধিক মাছরাঙ্গা পাখি দেখতে পাওয়া যায়।
বাংলাদেশের প্রায় সকল অঞ্চলে এই পাখির আবির্ভাব রয়েছে। মাছরাঙ্গা পাখির বিভিন্ন প্রজাতি আজ বিলুপ্তির মুখে, আমাদের সকলের উচিত এই পাখি সংরক্ষণ করা এবং এই পাখি সম্পর্কে তথ্য জেনে রাখা।
বর্তমান সময়ে অনেক অসাধু শিকারি এই পাখির শিকার করে যাচ্ছে, আমাদের উচিত এই ব্যাপারে সচেতন হওয়া। সুন্দর এবং চকচকে দেখতে এই পাখি একটি শিকারি পাখি।
fasttechit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url