কাকের উপকারিতা ও অপকারিতা

ময়ূরের পালক এর কাজ কিকাক বাংলাদেশের বিখ্যাত একটি পাখি হিসেবে পরিচিত। সাধারণত বাংলাদেশ সহ আরো বিভিন্ন দেশে কাক দেখতে পাওয়া যায়। আমাদের উচিত কাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানা।
https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi8DPTmkcSDivU5lm7xgQfBSR0qcVp2FY9aaLHOTzPq0VaYSVU6bOhp9JxWPxtbMoPeq_08rZqfmoMta0epbdy55FMb8vm9tAEKSu-SuqS3l7Mxpze1U5kd_UhyJ_APd2SbEnYs-AQ-gSZX7Tw2to2soM9-7_XHPUWi9X06wjyr5CEFxzdOY3_aLi3bWVc/s320/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE%20%E0%A6%93%20%E0%A6%85%E0%A6%AA%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE.jpg

পোস্ট সূচীপত্রঃসাধারণত পরিবেশের জন্য কাক অনেক উপকারী একটি পাখি। এই পাখি পরিবেশে থাকা বিভিন্ন ময়লা আবর্জনা এবং নোংরা খেয়ে শেষ করে ফেলে, ফলে আমাদের পরিবেশ অনেক পরিষ্কার এবং ভালো থাকে। তবে এই পাখির অনেক অপকারিতাও আছে । আমাদের উচিত কাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে ধারণা রাখা।

কাকের বৈশিষ্ট্য

সাধারণত পৃথিবীর অন্য সকল পাখির তুলনায় কাকের বৈশিষ্ট্য একটু ব্যতিক্রম হয়ে থাকে। আমাদের উচিত কাকের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে অবগত থাকা। সাধারণত কাক দেখতে কালো রঙের হয়ে থাকে। এই পাখির দুটো পা এবং ধারালো একটি ঠোট আছে। 

সাধারণত কাকের ঠোঁট অনেক শক্তিশালী হয়। কাক বিভিন্ন ময়লা আবর্জনা এবং ডাস্টবিন থেকে খাদ্য খেয়ে থাকে। এই পাখি সম্পর্কিত অনেক তথ্য বর্তমান সময়ে অজানা, আমাদের উচিত কাকের বৈশিষ্ট্য এবং কাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানা।

কাকের খাদ্য

সাধারণত অন্য পাখির তুলনায় কাকের খাদ্য ব্যতিক্রম হয়ে থাকে। সাধারণত মানুষের ফেলে দেওয়া সকল খাদ্য এবং উৎকৃষ্ট কাক খেয়ে থাকে। কাকের খাদ্য তালিকার সব থেকে পছন্দের খাবার হলো মানুষের ফেলে দেওয়া খিচুড়ি এবং কেক। 

সাধারণত কাক খিচুড়ি অনেক পছন্দ করে থাকে। এই পাখি মানুষের ফেলে দেওয়ার সকল ময়লা আবর্জনা খেয়ে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। আমাদের উচিত এই পাখি সম্পর্কে জানা।

কাকের বাসস্থান

কাকের বাসস্থান সম্পর্কে অনেকেই জানেনা। আমাদের উচিত কাকের বাসস্থান এবং কাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে ধারণা রাখা। সাধারণত কাক অত্যন্ত শান্তশ্রেণীর পাখি হওয়ার কারণে এটি লোকালয়ের অনেক কাছেই থাকে। 

কাক বিভিন্ন উঁচু গাছের ডালে, ল্যাম্পপোস্টের ওপর এবং বিভিন্ন বাসার ছাদে বাসা তৈরি করে থাকে। অন্য সকল পাখির তুলনায় কাকের বাসস্থান একটু ব্যতিক্রম হয়ে থাকে। সাধারণত কাক বিভিন্ন খরকুটা এবং ঝরে যাওয়া পাতা দিয়ে বাসা তৈরি করে থাকে।

কাকের স্বভাব

বর্তমান সময়ে কাকের স্বভাব সম্পর্কে অনেক মানুষ জানে না। আমাদের উচিত কাকের স্বভাব এবং এই পাখি সম্পর্কিত সকল তথ্য জেনে রাখা। সাধারণত কাক অনেক শান্ত স্বভাবের একটি পাখি, এই পাখি অনেক শান্ত স্বভাবের হওয়ার কারণে এরার লোকালয়ের অনেক কাছেই থাকে। 

কাক শান্ত স্বভাবের পাখি হওয়া সত্ত্বেও এরা কখনো কখনো অনেক হিংস্র হয়ে ওঠে এদের বাচ্চা কে বাঁচানোর জন্য। কাক সম্পর্কিত অনেক তথ্য বর্তমান সময় অজানা, আমাদের উচিত এই পাখি সম্পর্কিত পূর্ণ জ্ঞান রাখা।

একটি কাক কতো বছর বাঁচে

একটি কাক কত বছর বাঁচে এই বিষয়ে অনেকেই জানে না। আমাদের উচিত কাক সম্পর্কিত সকল তথ্য এবং কাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে ধারণা রাখা। সাধারণত একটি কাক 20 থেকে 30 বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে। এই পাখি সর্ব ভোজী এবং পরিবেশে থাকা সকল অপকারী জিনিস খেয়ে থাকে। আমাদের উচিত এই পাখি সম্পর্কিত সকল তথ্য জেনে রাখা।

কাক কি সর্বভোজী

সাধারণত কাক কি সর্বভোজী এই বিষয়ে অনেক মানুষের প্রশ্ন রয়েছে, আমাদের উচিত এই পাখি সম্পর্কিত সকল তথ্য জেনে রাখা। সাধারণত অনেক গবেষণায় দেখা গেছে কাক সর্বভোজী একটি পাখি। এই পাখি পরিবেশে থাকা সকল খাবার খেয়ে থাকে। 

তবে কাকের সব থেকে প্রিয় খাবার হলো মানুষের ফেলে দেওয়া খিচুড়ি এবং কেক। সাধারণত কাক পরিবেশে থাকা সকল ময়লা আবর্জনা খেয়ে শেষ করে ফেলে।

কাকের ঠোঁট কেমন

অনেক মানুষ আছে যারা কাক এবং কাকের ঠোঁট কেমন এই বিষয়ে জানেনা। আমাদের উচিত কাক সম্পর্কিত সকল তথ্য এবং কাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে ধারণা রাখা। সাধারণত কাকের ঠোট দেখতে কুচকুচে কালো হয়ে থাকে । কাকের ঠোঁট সাধারণত বড় হয় এবং অনেক শক্তিশালী হয়। 

সাধারণত কাক তার ঠোঁট দিয়ে বিভিন্ন ময়লা আবর্জনা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে খাবার বের করে। এই পাখি তার ঠোট ব্যবহার করে মাটির নিচ থেকে অনেক প্রকারের জীব যেমন কেঁচো খেয়ে থাকে। আমাদের উচিত এই পাখি সম্পর্কে আরও তথ্য নেওয়া।

কাকের প্রজনন

কাকের প্রজনন অন্য পাখির তুলনায় একটু ব্যতিক্রম হয়ে থাকে। আমাদের উচিত কাকের প্রজনন সম্পর্কে জানা। সাধারণত স্ত্রী এবং পুরুষ কাকের মিলনের ফলে কাকের প্রজনন ঘটে। পুরুষ এবং স্ত্রী কাকের মিলনের কিছুদিন পর স্ত্রী কাক তার বাসায় ডিম পাড়ে। সাধারণত কাকের বাসায় অন্য পাখি ডিম পেড়ে যায় বলে শোনা গেছে। 

সাধারণত কাক একবারে তিন থেকে ছয়টি ডিম পাড়তে পারে। সাধারণত ডিম পাড়ার কিছুদিন পর ড্রিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। বৈচিত্রময় এই পাখি সম্পর্কিত অনেক তথ্য অজানা রয়েছে। আমাদের উচিত এই পাখি সম্পর্কের রিসার্চ করা।

কাকের উপকারিতা ও অপকারিতা

অনেক মানুষের মনে প্রশ্ন রয়েছে কাকের উপকারিতা ও অপকারিতা কি এই বিষয়ে। আমাদের সকলেরই উচিত কাকের উপকারিতা ও অপকারিতা দুটোই জেনে রাখা। সাধারণত কাক পরিবেশের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি পাখি। এই পাখি পরিবেশে থাকা সকল ময়লা আবর্জনা এবং বজ্র খেয়ে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। 

এই পাখি মানুষের ফেলে দেওয়া অনেক খাবার খেয়ে পরিবেশকে পরিষ্কার রাখে। তবে এই পাখির অনেক উপকারিতা রয়েছে, এই পাখি লোকালয়ের অনেক কাছে থাকে বলে, অনেক মানুষের বাসা বাড়িতে ঢুকে তাদের খাবার নষ্ট করে ফেলে। এই পাখি মানুষের কাপড়-চোপড় সহ আরো বাড়ীর আঙ্গিনা নষ্ট করে ফেলে। আমাদের উচিত এই পাখি সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা রাখা।

আমাদের শেষ কথা

কাক বাংলাদেশের বিখ্যাত একটি পাখি। এই পাখি বাংলাদেশের প্রায় সকল আঞ্চলিক কম বেশি দেখতে পাওয়া যায়। সাধারণত কাক দেখতে কালো রঙের হয়ে থাকে। এই পাখির লম্বা একটি ঠোঁট রয়েছে যা দেখতে অনেক শক্তিশালী। সাধারণত কাক পরিবেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং উপকারী একটি পাখি। এই পাখি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা রাখে। 

সাধারণত এই পাখি মানুষের ফেলে দেওয়া সকল খাবার খেয়ে বেঁচে থাকে। সাধারণত একটি কাক ২০ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে। এই পাখির যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি অনেক অপকারিতাও রয়েছে। আমাদের উচিত কাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অবগত থাকা। সাধারণত এই কাক লোকালয়ের অনেক কাছে থাকে বলে। 

অনেক মানুষের বাসা বাড়িতে ঢুকে তাদের খাবার নষ্ট করে ফেলে। তাছাড়া কাক অনেক ক্ষতির কারণও বলা যায়। মানুষের ফসলের জমি নষ্ট করে ফেলে এই কাক। আমাদের উচিত এই বিষয়ে সতর্ক হওয়া। বৈচিত্রময় এই পাখি সম্পর্কিত অনেক তথ্য বর্তমান সময়ে অজানা, আমাদের উচিত এই পাখি সম্পর্কে রিসার্চ করা।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

fasttechit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url